টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর by আন্দালিব রাশদী
একুশে বইমেলার বাতি নেভার সময়টাতে আরো অনেকের মতো আমিও মেলা চত্বরে ছিলাম। আমার মতো অনেকেরই মনে হয়েছে, মেলার মাসটা এত ছোট কেন? ফেব্রুয়ারি ৩১ দিনের মাস হলে কী এমন ক্ষতি হতো? ৩১ না হোক, ৩০ দিন তো হতেই পারত। বছরের হিসাব মেলাতে অন্য কোনো মাস থেকে ছেঁটে দেওয়া যেত দু-তিনটি দিন।
কেবল বইমেলার শেষ দিকটা আর একটু বাড়িয়ে দিতে ফেব্রুয়ারিকে একটু লম্বা করার আবেদন কার কাছে করব?
আবেদন যার কাছেই পেশ করি, আমি জানি, নাকচ হয়ে যাবে। কারণ জুলিয়াস সিজার এবং ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরিকে সহজে কেউ চটাতে চাইবেন না। তা ছাড়া লাতিন ফেব্রুয়া হচ্ছে পরিশোধন করে নিজেকে শুদ্ধ করার মাস। রোমান চান্দ্র ক্যালেন্ডারে পূর্ণ চাঁদের দিন পূর্ণিমাতে ফেব্রয়া উপাচারের মাধ্যমেই শুদ্ধ হতে হতো। অনেকটা ধর্মানুষ্ঠানের মতোই ছিল এই ফেব্রয়া উপাচার।
ফেব্রুয়ারি তখন খ্রিস্টের জন্মের ৪৫০ বছর আগ পর্যন্ত ২৩ থেকে ২৪ দিনেই ফুরিয়ে যেত। তারপর ২৭ দিন। খ্রিস্টজন্মের ৪৫ বছর আগে জুলিয়াস সিজার যে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করলেন, তাতেই ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনের মাস; লিপইয়ারে ২৯ দিন। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরির ফরমান নিয়ে চালু হওয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির ব্যাপারে জুলিয়াস সিজারের হিসাবটাই বলবৎ রাখা হলো।
এতকাল পরে আমার আবেদন নাকচ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বইমেলার শেষ প্রহরে বইয়ের দামের প্রশ্নে একটুখানি বাড়তি খাতিরও করা হয়েছে, ২৫ শতাংশ কমিশনের পর আরো ১০-২০ টাকা ছাড়। এ সুযোগটা আমিও নিয়েছি; শেষ মেলাতে ঝোলায় ভরেছি হাসান আজিজুল হকের দুই খণ্ডের প্রবন্ধসমগ্র। আরো কিছু নতুন বই, লেখক-সুবিধায় বাড়তি রেয়াতে বন্ধুতুষ্টির জন্য নিজেরও কয়েকটি বই। ঝোলার ওজন যত কিলোগ্রামই হোক না কেন, বইয়ের বোঝা বইতে জানলে ভার অনেক কমই মনে হয়।
মেলার মূল চত্বর থেকে বেরিয়ে একবার ডানে তাকাই, ওই যে দোয়েল চত্বর; একবার বাঁয়ে, ওই তো টিএসসির গোলচত্বর। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত_এটাও মেলার বর্ধিত চত্বর। এ চত্বরে বই ছিল, পোট্র্রেট আঁকিয়ে ছিল, ফুচকা ছিল, মুরালি ছিল, সদ্যভাজা বাদাম আর ঝাল-লবণ ছিল, আর ভালোবাসা ছিল। মায়ের চিকিৎসার আর্তি ছিল, শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার প্রার্থনা ছিল, সাংবাদিককে বাঁচানোর কান্না ছিল, মেডিক্যাল ছাত্রের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি ছিল। বাঁশি ছিল, হাসি ছিল, অফুরন্ত প্রাণ ছিল। এসবের কি সমাপ্তি ঘটল?
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু ২৮ দিনের পুরো মাসই দুপুরের পর থেকে গাড়ির বেলায় না বলত, পায়ে হাঁটা মানুষের বেলায় হ্যাঁ। ছুটির দিনে সকাল থেকেই।
লম্বা লাইন_টিএসসি প্রান্তের লাইনের শুরুটা কখনো কখনো জাদুঘরের উল্টো দিকে ফুল প্রান্ত থেকেই। ফুলের ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে এগিয়ে যাওয়া_বাঙালি সংস্কৃতির সবই কি আর ভালো, মাঝপথে ফুটপাতে মূত্রের সয়লাব। সব ডিঙিয়ে মেলায় যাওয়া চাই। বই দেখতে ও বই কিনতে যাওয়া এ মানুষগুলো কেবল মেলার প্রাণ নয়, দেশেরও। দেশ কি কেবল একটি মাস প্রাণবন্ত থাকবে, আর এগারো মাস থাকবে নির্জীব? পুরান ঢাকার কৌতুকের কাওয়ালি শোনা মুরগির মতো কেবল ঝিমুতে থাকবে?
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু স্থায়ীভাবে প্রতিদিন অন্তত বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকলে রাজধানীর ট্রাফিক-ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়বে? একুশের বইমেলা কি শহরকে নিশ্চল করে দিয়েছে?
ভাগ্য ভালো, রাস্তাটা উত্তর-দক্ষিণে টানা। এই রাজধানীতে উত্তর-দক্ষিণে টানা বেশ কয়েকটি রাস্তা আছে, নেই পূর্ব-পশ্চিম সড়ক। ট্রাফিক জ্যামের হাজারটা কারণ, মূল কারণটি অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং রাস্তার জন্য জমি ছাড়তে জাতিগত অনীহা। শহর এলাকার ২৫ শতাংশেরও বেশি জায়গাজুড়ে রাস্তা থাকার কথা, ঢাকার বেলায় ছয় কি সাত ভাগ, সেই রাস্তার আবার অর্ধেকটা হকার ও পথচারীর দখলে। ঢাকাবাসীর দিনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কাটে ট্রাফিক জ্যামে। ট্রাফিক জ্যাম হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়, এটা গবেষণার কথা।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় তেমন একটা বাড়ে না। বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষকরা এ সত্যটি আবিষ্কার করেছেন।
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু গাড়িমুক্ত রাখা প্রয়োজন নগরবাসীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়েই হোক, স্বজনদের নিয়েই হোক কিংবা অন্য কাউকে নিয়েই হোক_ঢাকা শহরে যাওয়ার জায়গা নেই। হাঁটার জায়গা নেই, বসারও নেই। তাই এ জায়গাটুকু কি ছেড়ে দেওয়া যায় না?
রাস্তার দুই পাশে থাকবে বইয়ের দোকান, কোনো একদিকে লিটল ম্যাগাজিন প্রান্ত, ফুলের পসরা নিয়েও বসতে পারে কেউ, চলতে পারে রক্তদান কর্মসূচি, থাকুক ফুচকা-চটপটি, পাটিসাপটা, থাকুক লোক-ঐতিহ্যের স্মারক উপহার, কাচের চুড়ি, চিনামাটির পাত্র_সব কিছু নিয়ে এ জায়গাটুকু প্রাণবন্ত থাকুক সারা বছর। যারা বই কেনে, বই পড়ে, বই বিলিয়ে দেয়_সভ্যতা তো তাদেরই সৃষ্টি। তাদের জন্য এটুকু করবে না বাংলাদেশ!
আমার বিনীত প্রস্তাব :
ক. টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে যাক বিকেল ও সন্ধ্যার বইমেলা প্রাঙ্গণ।
খ. ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকুক।
গ. কর্তৃপক্ষ রাস্তার দুই পাশে বানিয়ে দিক অস্থায়ী স্টলের কাঠামো।
ঘ. লটারিতেই হোক আর পালা করেই হোক, প্রকৃত সব প্রকাশকই পাবেন সাপ্তাহিক বরাদ্দ।
ঙ. সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রকাশকরা নিজেরাই নিতে পারেন। বাংলা একাডেমী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বাড়িয়ে দিতে পারে সহযোগিতার হাত।
চ. সারা বছর এখানে চলবে বই বেচাকেনা, মেলার আমেজ থাকবে। উৎসবের আনন্দ থাকবে; হরতাল, কারফিউ সব কিছুর আওতা থেকে মুক্ত থাকবে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর।
এ প্রস্তাবটি কি কেবলই প্রস্তাব? সাড়া কি মিলবে না?
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক
আবেদন যার কাছেই পেশ করি, আমি জানি, নাকচ হয়ে যাবে। কারণ জুলিয়াস সিজার এবং ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরিকে সহজে কেউ চটাতে চাইবেন না। তা ছাড়া লাতিন ফেব্রুয়া হচ্ছে পরিশোধন করে নিজেকে শুদ্ধ করার মাস। রোমান চান্দ্র ক্যালেন্ডারে পূর্ণ চাঁদের দিন পূর্ণিমাতে ফেব্রয়া উপাচারের মাধ্যমেই শুদ্ধ হতে হতো। অনেকটা ধর্মানুষ্ঠানের মতোই ছিল এই ফেব্রয়া উপাচার।
ফেব্রুয়ারি তখন খ্রিস্টের জন্মের ৪৫০ বছর আগ পর্যন্ত ২৩ থেকে ২৪ দিনেই ফুরিয়ে যেত। তারপর ২৭ দিন। খ্রিস্টজন্মের ৪৫ বছর আগে জুলিয়াস সিজার যে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করলেন, তাতেই ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনের মাস; লিপইয়ারে ২৯ দিন। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরির ফরমান নিয়ে চালু হওয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারির ব্যাপারে জুলিয়াস সিজারের হিসাবটাই বলবৎ রাখা হলো।
এতকাল পরে আমার আবেদন নাকচ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বইমেলার শেষ প্রহরে বইয়ের দামের প্রশ্নে একটুখানি বাড়তি খাতিরও করা হয়েছে, ২৫ শতাংশ কমিশনের পর আরো ১০-২০ টাকা ছাড়। এ সুযোগটা আমিও নিয়েছি; শেষ মেলাতে ঝোলায় ভরেছি হাসান আজিজুল হকের দুই খণ্ডের প্রবন্ধসমগ্র। আরো কিছু নতুন বই, লেখক-সুবিধায় বাড়তি রেয়াতে বন্ধুতুষ্টির জন্য নিজেরও কয়েকটি বই। ঝোলার ওজন যত কিলোগ্রামই হোক না কেন, বইয়ের বোঝা বইতে জানলে ভার অনেক কমই মনে হয়।
মেলার মূল চত্বর থেকে বেরিয়ে একবার ডানে তাকাই, ওই যে দোয়েল চত্বর; একবার বাঁয়ে, ওই তো টিএসসির গোলচত্বর। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত_এটাও মেলার বর্ধিত চত্বর। এ চত্বরে বই ছিল, পোট্র্রেট আঁকিয়ে ছিল, ফুচকা ছিল, মুরালি ছিল, সদ্যভাজা বাদাম আর ঝাল-লবণ ছিল, আর ভালোবাসা ছিল। মায়ের চিকিৎসার আর্তি ছিল, শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার প্রার্থনা ছিল, সাংবাদিককে বাঁচানোর কান্না ছিল, মেডিক্যাল ছাত্রের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি ছিল। বাঁশি ছিল, হাসি ছিল, অফুরন্ত প্রাণ ছিল। এসবের কি সমাপ্তি ঘটল?
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু ২৮ দিনের পুরো মাসই দুপুরের পর থেকে গাড়ির বেলায় না বলত, পায়ে হাঁটা মানুষের বেলায় হ্যাঁ। ছুটির দিনে সকাল থেকেই।
লম্বা লাইন_টিএসসি প্রান্তের লাইনের শুরুটা কখনো কখনো জাদুঘরের উল্টো দিকে ফুল প্রান্ত থেকেই। ফুলের ঘ্রাণ শুঁকতে শুঁকতে এগিয়ে যাওয়া_বাঙালি সংস্কৃতির সবই কি আর ভালো, মাঝপথে ফুটপাতে মূত্রের সয়লাব। সব ডিঙিয়ে মেলায় যাওয়া চাই। বই দেখতে ও বই কিনতে যাওয়া এ মানুষগুলো কেবল মেলার প্রাণ নয়, দেশেরও। দেশ কি কেবল একটি মাস প্রাণবন্ত থাকবে, আর এগারো মাস থাকবে নির্জীব? পুরান ঢাকার কৌতুকের কাওয়ালি শোনা মুরগির মতো কেবল ঝিমুতে থাকবে?
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু স্থায়ীভাবে প্রতিদিন অন্তত বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকলে রাজধানীর ট্রাফিক-ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়বে? একুশের বইমেলা কি শহরকে নিশ্চল করে দিয়েছে?
ভাগ্য ভালো, রাস্তাটা উত্তর-দক্ষিণে টানা। এই রাজধানীতে উত্তর-দক্ষিণে টানা বেশ কয়েকটি রাস্তা আছে, নেই পূর্ব-পশ্চিম সড়ক। ট্রাফিক জ্যামের হাজারটা কারণ, মূল কারণটি অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং রাস্তার জন্য জমি ছাড়তে জাতিগত অনীহা। শহর এলাকার ২৫ শতাংশেরও বেশি জায়গাজুড়ে রাস্তা থাকার কথা, ঢাকার বেলায় ছয় কি সাত ভাগ, সেই রাস্তার আবার অর্ধেকটা হকার ও পথচারীর দখলে। ঢাকাবাসীর দিনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কাটে ট্রাফিক জ্যামে। ট্রাফিক জ্যাম হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়, এটা গবেষণার কথা।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় তেমন একটা বাড়ে না। বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষকরা এ সত্যটি আবিষ্কার করেছেন।
টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর_এ রাস্তাটুকু গাড়িমুক্ত রাখা প্রয়োজন নগরবাসীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়েই হোক, স্বজনদের নিয়েই হোক কিংবা অন্য কাউকে নিয়েই হোক_ঢাকা শহরে যাওয়ার জায়গা নেই। হাঁটার জায়গা নেই, বসারও নেই। তাই এ জায়গাটুকু কি ছেড়ে দেওয়া যায় না?
রাস্তার দুই পাশে থাকবে বইয়ের দোকান, কোনো একদিকে লিটল ম্যাগাজিন প্রান্ত, ফুলের পসরা নিয়েও বসতে পারে কেউ, চলতে পারে রক্তদান কর্মসূচি, থাকুক ফুচকা-চটপটি, পাটিসাপটা, থাকুক লোক-ঐতিহ্যের স্মারক উপহার, কাচের চুড়ি, চিনামাটির পাত্র_সব কিছু নিয়ে এ জায়গাটুকু প্রাণবন্ত থাকুক সারা বছর। যারা বই কেনে, বই পড়ে, বই বিলিয়ে দেয়_সভ্যতা তো তাদেরই সৃষ্টি। তাদের জন্য এটুকু করবে না বাংলাদেশ!
আমার বিনীত প্রস্তাব :
ক. টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে যাক বিকেল ও সন্ধ্যার বইমেলা প্রাঙ্গণ।
খ. ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকুক।
গ. কর্তৃপক্ষ রাস্তার দুই পাশে বানিয়ে দিক অস্থায়ী স্টলের কাঠামো।
ঘ. লটারিতেই হোক আর পালা করেই হোক, প্রকৃত সব প্রকাশকই পাবেন সাপ্তাহিক বরাদ্দ।
ঙ. সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রকাশকরা নিজেরাই নিতে পারেন। বাংলা একাডেমী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বাড়িয়ে দিতে পারে সহযোগিতার হাত।
চ. সারা বছর এখানে চলবে বই বেচাকেনা, মেলার আমেজ থাকবে। উৎসবের আনন্দ থাকবে; হরতাল, কারফিউ সব কিছুর আওতা থেকে মুক্ত থাকবে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর।
এ প্রস্তাবটি কি কেবলই প্রস্তাব? সাড়া কি মিলবে না?
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক
No comments