নাগরিক দায়িত্বশীলতা প্রশ্নে ইসলাম by মাহফুজ আবেদ
ইসলামের সামাজিক বিধানের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। কোরআনে কারিমে বিনা অপরাধে কোনো মুমিন নর-নারীকে কষ্ট দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এক মুমিনের প্রতি অন্য মুমিনকে সহানুভূতিশীল হতে বলা হয়েছে।
কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, 'যারা বিনা অপরাধে মুমিন নর-নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।' -সূরা আহজাব : ৫৮
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কসম! ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ওই ব্যক্তি কে? তিনি উত্তরে বলেন, ওই ব্যক্তি যার অত্যাচার ও অপকার হতে তার প্রতিবেশী লোকেরা নিরাপদে থাকে না। -বুখারি ও মুসলিম শরীফ
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিসের ভাষ্য হলো_ বিনা কারণে কোনো মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কিন্তু নগরজীবনে আমরা অবচেতনভাবেই কষ্ট দিচ্ছি হাজারো নাগরিককে। ছোট-বড় শপিংমল থেকে শুরু করে আবাসিক ভবনের ছাদের পানি নিষ্কাশনের পাইপ ও এসির পানির পাইপ রাস্তার ওপর। এভাবে ফোঁটা ফোঁটা এসির পানি ও ছাদের পানি সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ পথচারীরা। ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাফেরা করেছেন অথচ গায়ে এসির পানি, বাড়ির ছাদের পানি পড়েনি এমন লোকের সংখ্যা পাওয়া মুশকিল। মসজিদগামী মুসলিল্গ, অসুস্থ রোগী ও বাচ্চারাও এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ভালো কাপড় পরে বাসা থেকে বের হলেও নোংরা কাপড়ে বিভিন্ন কাজ সারতে হচ্ছে কিছু লোকের অজ্ঞতার প্রেক্ষিতে। আবার অনেকেই না জেনে নাপাক লাগা কাপড়েই নামাজ আদায় করে নিচ্ছেন।
বর্ষা মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে, অন্যদিকে গরমও বেড়েছে। পানি ফেলার অত্যাচার এখন আরও বাড়বে_ এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় বাড়ির মালিকদের বৃষ্টির পানি, ট্যাংকের অতিরিক্ত পানি ও এসি থেকে নিঃসৃত দূষিত পানি অপসারণের বিকল্প ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ছাদের পানির লাইন রাস্তায় দিয়ে পথচারীদের চলাচলে কষ্ট দেওয়া অনৈতিক কাজ। এটা কবিরা গোনাহও বটে। আমরা আশা করি, ভবন মালিকরা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে গড়িয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ-সংঘর্ষও হচ্ছে, যা কাম্য নয়। আমাদের মনে রাখা দরকার, ইসলামী শরিয়ত অন্যকে কষ্ট না দেওয়ার বিষয়টি কত গুরুত্বপূর্ণ। তা বোঝা যায় অধিক ভিড়ের মাঝে অনেক ফজিলত সত্ত্বেও মানুষকে কষ্ট দিয়ে হাজরে আসওয়াদ চুমো না দেওয়া ও মানুষের কষ্ট হলে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত থেকে বিরত থাকার নির্দেশের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় এসির পানির পাইপ ও ছাদের পানির লাইন রাস্তার ওপর দিয়ে কী পরিমাণ অন্যায় হচ্ছে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কসম! ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়, ওই ব্যক্তি ইমানদার নয়। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ওই ব্যক্তি কে? তিনি উত্তরে বলেন, ওই ব্যক্তি যার অত্যাচার ও অপকার হতে তার প্রতিবেশী লোকেরা নিরাপদে থাকে না। -বুখারি ও মুসলিম শরীফ
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিসের ভাষ্য হলো_ বিনা কারণে কোনো মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। কিন্তু নগরজীবনে আমরা অবচেতনভাবেই কষ্ট দিচ্ছি হাজারো নাগরিককে। ছোট-বড় শপিংমল থেকে শুরু করে আবাসিক ভবনের ছাদের পানি নিষ্কাশনের পাইপ ও এসির পানির পাইপ রাস্তার ওপর। এভাবে ফোঁটা ফোঁটা এসির পানি ও ছাদের পানি সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ পথচারীরা। ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাফেরা করেছেন অথচ গায়ে এসির পানি, বাড়ির ছাদের পানি পড়েনি এমন লোকের সংখ্যা পাওয়া মুশকিল। মসজিদগামী মুসলিল্গ, অসুস্থ রোগী ও বাচ্চারাও এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ভালো কাপড় পরে বাসা থেকে বের হলেও নোংরা কাপড়ে বিভিন্ন কাজ সারতে হচ্ছে কিছু লোকের অজ্ঞতার প্রেক্ষিতে। আবার অনেকেই না জেনে নাপাক লাগা কাপড়েই নামাজ আদায় করে নিচ্ছেন।
বর্ষা মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে, অন্যদিকে গরমও বেড়েছে। পানি ফেলার অত্যাচার এখন আরও বাড়বে_ এটাই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় বাড়ির মালিকদের বৃষ্টির পানি, ট্যাংকের অতিরিক্ত পানি ও এসি থেকে নিঃসৃত দূষিত পানি অপসারণের বিকল্প ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ছাদের পানির লাইন রাস্তায় দিয়ে পথচারীদের চলাচলে কষ্ট দেওয়া অনৈতিক কাজ। এটা কবিরা গোনাহও বটে। আমরা আশা করি, ভবন মালিকরা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানি ছাদ থেকে গড়িয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ-সংঘর্ষও হচ্ছে, যা কাম্য নয়। আমাদের মনে রাখা দরকার, ইসলামী শরিয়ত অন্যকে কষ্ট না দেওয়ার বিষয়টি কত গুরুত্বপূর্ণ। তা বোঝা যায় অধিক ভিড়ের মাঝে অনেক ফজিলত সত্ত্বেও মানুষকে কষ্ট দিয়ে হাজরে আসওয়াদ চুমো না দেওয়া ও মানুষের কষ্ট হলে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত থেকে বিরত থাকার নির্দেশের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় এসির পানির পাইপ ও ছাদের পানির লাইন রাস্তার ওপর দিয়ে কী পরিমাণ অন্যায় হচ্ছে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
No comments