বিরোধী দলের প্রস্তাব গ্রহণ করে আমরা নজির স্থাপন করেছি
প্রথম আলো জাতীয় সংসদে অপ্রয়োজনীয় আলোচনাই একমাত্র সমস্যা নয়, বিরোধী দল যে সংসদে আসে না বা এলেও ওয়াকআউট করে, এটিও একটি বড় সমস্যা। আইন প্রণয়নে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা লক্ষ করা যায় না।
আবদুস শহীদ প্রসঙ্গটি আপনি যথার্থ তুলেছেন।
আবদুস শহীদ প্রসঙ্গটি আপনি যথার্থ তুলেছেন।
তবে আইন প্রণয়নে ভারত ও ব্রিটেনের যে ধারা, তার সঙ্গে মিল কিন্তু আছে। তবে বাকস্বাধীনতা কী, কীভাবে ব্যবহার করবেন, সেটা ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। এটা নিয়ন্ত্রণে সংসদীয় কার্যপ্রণালি বিধি রয়েছে। আপনি হয়তো লক্ষ করেছেন, ৪ মার্চে বিমা-সংক্রান্ত একটি সরকারি বিলে আমরা বিএনপির আনা অনেক সংশোধনী গ্রহণ করেছি।
প্রথম আলো এটা ইতিবাচক। কিন্তু এসব টোটকা। বহু ক্ষেত্রে সেকেলে আইনের ব্যাপক সংশোধনী দরকার। ভারতে আইন কমিশনের ৯০ ভাগ সুপারিশ মেনে আইন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। আইন কমিশন একটি শ্বেতহস্তী। এসব বিষয়ের পরিবর্তনে কোনো পরিকল্পনা আপনাদের আছে কি না?
আবদুস শহীদ আইন কমিশন কোনো আইন করে দেবে আর সংসদ তা পাস করবে, সেটাকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলে না।
প্রথম আলো দেখুন, আমার নির্দিষ্ট প্রশ্ন হলো, ভারতের আইন কমিশন যেভাবে আইন সংশোধনে সুপারিশ করে, ভারতের সংসদ তার প্রতি মর্যাদা দেখিয়ে থাকে। প্রায় অবিকল মানার চেষ্টা করে। তেমন একটা মনোভাব আপনারা এখানে দেখাবেন কি না?
আবদুস শহীদ না। এটা যে একই হতে হবে তা নয়। এটা ঠিক যে ঔপনিবেশিক আইন আমরা বদলাতে পারিনি। কারণ, এখানে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আগে শক্তিশালী ও প্রলম্বিত সংসদ, তারপর আইনের শাসন, এরপর সুশাসন। আইন তৈরির ক্ষেত্রে দুটি শাখা আছে। লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং। এখন যে খসড়া আসবে তা পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে।
প্রথম আলো কিন্তু সেটা কোথায়? এই অনুশীলন তো আমরা দেখি না। জরুরি অবস্থায় জারি করা অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে আপনাদের পছন্দমাফিক পাস করা হলো। প্রায় হুবহু। তাহলে কোথায় পর্যালোচনা?
আবদুস শহীদ এসব তো কমিটিতে গেছে।
প্রথম আলো হ্যাঁ, গেছে। তবে যান্ত্রিক গতিতে চলেছে। তেমন কোনো গুণগত পরিবর্তন আমরা দেখিনি। এটা তো প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ভুলে ভরা তথ্য অধিকার আইন তার একটি দৃষ্টান্ত।
আবদুস শহীদ আমি কিন্তু আগেই বলেছি, আমাদের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে আমরা তো আইন প্রণয়নে ব্রিটেনের মতো ‘ক্রস পার্টি হুইপিং’ করতে পারছি না। আরও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একজন সাংসদ আইনের খসড়া তৈরির কাজে কোনো সহায়তাকারী স্টাফ পান না। আমাদের সরকার এর আগের মেয়াদে সংসদ শক্তিশালী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। একটা আইনও হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এসে তাতে হাত দেয়নি। এটা সচল রাখতে তাদের অনুরোধ করেছিলাম। তারা কান দেয়নি। স্পিকার, চিফ হুইপ এবং এ রকমের যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সহায়তাদানকারী কর্মকর্তারা যদি সমৃদ্ধ না থাকেন, তাহলে আইন প্রণয়নের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য। এখন সাংসদেরা ফ্লোরে তাঁদের এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, উন্নয়ন নিয়ে...
প্রথম আলো আমরা ঠিক এখানেই গুরুত্ব দিতে যাচ্ছি। এখন আমরা দেখি, সাংসদেরা তিন কাজে ব্যস্ত। অতীতচর্চা বা পরচর্চা, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন আর আইন প্রণয়নপর্বে হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে—কথায় সুর তুলতে। তাঁরা যে আইন প্রণেতা, সেই পরিচয়টিই ঢাকা পড়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, দুই দলের টিকিট পেয়ে যাঁরা এলেন এবং ভবিষ্যতে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কি আপনার ওই প্রকল্পের বিষয়ে মাথা ঘামাবে? দলের গণতন্ত্রচর্চার যে হাল, তা আমাদের উদ্বেগ কমাচ্ছে না।
আবদুস শহীদ আপনার কথায় জটিল বিষয় সম্পৃক্ত হয়েছে। এখানে দল ও সংসদ এসেছে। দলের মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে তৈরির বিষয় আছে। তারা কীভাবে পরে নির্বাচনে আসবে? তারা কার্যকরভাবে সংসদে কাজ করতে পারবে কি না? এ জন্য অবশ্যই একটি দলীয় ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে। একটি আসনের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রার্থী উপযুক্তরূপে দলের ভূমিকা আছে। ১৬৮ জন এবার প্রথমবারের মতো জয়ী হয়েছেন। আমি বলব, এটা একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
প্রথম আলো দুঃখটা কিন্তু সেখানেই। নবাগত ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সংসদের চরিত্র বদলাচ্ছে না। আগের মতোই সবকিছু চলছে। সংসদের গুণগত অর্জন কি বলুন।
আবদুস শহীদ আমাকে শেষ করতে দিন। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা না করি, তাহলে আমার অনেক কিছু না জানারই কথা। আমি একাদিক্রমে চারবারের নির্বাচিত সাংসদ। আমার সংসদের রীতিনীতি জানা। কিন্তু অমি বিশেষজ্ঞ নই। আমি বড় বড় কর্তৃপক্ষের বরাতে উদ্ধৃতি দিলাম। এটা কিন্তু ভালো সাংসদের বৈশিষ্ট্য নয়। ভালো সাংসদ আইন তৈরির মাধ্যমে জাতির জন্য অবদান রাখবেন। সরকার হলো রাজনীতির সৃষ্টি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিন্তু তা নয়।
প্রথম আলো সংসদীয় কমিটিগুলোতে বিরোধী দলের ভূমিকা সম্পর্কে মন্তব্য করুন?
আবদুস শহীদ পরিবেশ ছাড়াও মত্স্য ও প্রাণীসম্পদবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিএনপির। এ ছাড়া আরও অনেক কমিটির সভাপতি পদে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ রয়েছেন। এখন ধরুন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যদি সংসদীয় কমিটি যথাযথ সুপারিশ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায় সেই কমিটিকেই নিতে হবে।
প্রথম আলো কিন্তু সব কমিটির সেরা হলো সরকারি হিসাব কমিটি। কেন এর সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দিলেন না?
আবদুস শহীদ আপনার কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি না। তবে আগেই বলেছি, আমাদের গণতন্ত্র অনুশীলনের জন্য যে সময়ের প্রয়োজন, সেটা কিন্তু আমরা পাইনি। দেখুন, গতকাল ও আজকের সংসদের সুরের মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। এটা অভিজ্ঞতার জন্য ঘটেছে। সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে হওয়া ভালো। ১৯৯৬ সালে এ কমিটি থেকে আমরা ১০১টি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। তার আগে কোনো প্রতিবেদনই সংসদে পেশ করা হয়নি। তাই সভাপতি পদ বিরোধী দলকে দিলেই যে খুব সফল হবে তা কিন্তু সেভাবে বলা যায় না। তবে এ কমিটি যাতে গতিশীল হতে পারে, সে জন্য চিফ হুইপ হিসেবে আমি সক্রিয় উদ্যোগ নিচ্ছি। আরেকটি কথা, আমরা যে বিমা বিলে সাত-আটটি সংশোধনী গ্রহণ করলাম। এর কিন্তু অতীত নজির নেই। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা অবশ্যই আমাদের রাস্তা দেখাবেন। কিন্তু সবটাই যে অনুসরণ করতে পারব সে অবস্থাটি কি আমরা সত্যিই অর্জন করতে পেরেছি?
প্রথম আলো এটা ইতিবাচক। কিন্তু এসব টোটকা। বহু ক্ষেত্রে সেকেলে আইনের ব্যাপক সংশোধনী দরকার। ভারতে আইন কমিশনের ৯০ ভাগ সুপারিশ মেনে আইন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। আইন কমিশন একটি শ্বেতহস্তী। এসব বিষয়ের পরিবর্তনে কোনো পরিকল্পনা আপনাদের আছে কি না?
আবদুস শহীদ আইন কমিশন কোনো আইন করে দেবে আর সংসদ তা পাস করবে, সেটাকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলে না।
প্রথম আলো দেখুন, আমার নির্দিষ্ট প্রশ্ন হলো, ভারতের আইন কমিশন যেভাবে আইন সংশোধনে সুপারিশ করে, ভারতের সংসদ তার প্রতি মর্যাদা দেখিয়ে থাকে। প্রায় অবিকল মানার চেষ্টা করে। তেমন একটা মনোভাব আপনারা এখানে দেখাবেন কি না?
আবদুস শহীদ না। এটা যে একই হতে হবে তা নয়। এটা ঠিক যে ঔপনিবেশিক আইন আমরা বদলাতে পারিনি। কারণ, এখানে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আগে শক্তিশালী ও প্রলম্বিত সংসদ, তারপর আইনের শাসন, এরপর সুশাসন। আইন তৈরির ক্ষেত্রে দুটি শাখা আছে। লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং। এখন যে খসড়া আসবে তা পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে।
প্রথম আলো কিন্তু সেটা কোথায়? এই অনুশীলন তো আমরা দেখি না। জরুরি অবস্থায় জারি করা অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে আপনাদের পছন্দমাফিক পাস করা হলো। প্রায় হুবহু। তাহলে কোথায় পর্যালোচনা?
আবদুস শহীদ এসব তো কমিটিতে গেছে।
প্রথম আলো হ্যাঁ, গেছে। তবে যান্ত্রিক গতিতে চলেছে। তেমন কোনো গুণগত পরিবর্তন আমরা দেখিনি। এটা তো প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ভুলে ভরা তথ্য অধিকার আইন তার একটি দৃষ্টান্ত।
আবদুস শহীদ আমি কিন্তু আগেই বলেছি, আমাদের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে আমরা তো আইন প্রণয়নে ব্রিটেনের মতো ‘ক্রস পার্টি হুইপিং’ করতে পারছি না। আরও নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একজন সাংসদ আইনের খসড়া তৈরির কাজে কোনো সহায়তাকারী স্টাফ পান না। আমাদের সরকার এর আগের মেয়াদে সংসদ শক্তিশালী করতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। একটা আইনও হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি এসে তাতে হাত দেয়নি। এটা সচল রাখতে তাদের অনুরোধ করেছিলাম। তারা কান দেয়নি। স্পিকার, চিফ হুইপ এবং এ রকমের যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সহায়তাদানকারী কর্মকর্তারা যদি সমৃদ্ধ না থাকেন, তাহলে আইন প্রণয়নের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য। এখন সাংসদেরা ফ্লোরে তাঁদের এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, উন্নয়ন নিয়ে...
প্রথম আলো আমরা ঠিক এখানেই গুরুত্ব দিতে যাচ্ছি। এখন আমরা দেখি, সাংসদেরা তিন কাজে ব্যস্ত। অতীতচর্চা বা পরচর্চা, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন আর আইন প্রণয়নপর্বে হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে—কথায় সুর তুলতে। তাঁরা যে আইন প্রণেতা, সেই পরিচয়টিই ঢাকা পড়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, দুই দলের টিকিট পেয়ে যাঁরা এলেন এবং ভবিষ্যতে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কি আপনার ওই প্রকল্পের বিষয়ে মাথা ঘামাবে? দলের গণতন্ত্রচর্চার যে হাল, তা আমাদের উদ্বেগ কমাচ্ছে না।
আবদুস শহীদ আপনার কথায় জটিল বিষয় সম্পৃক্ত হয়েছে। এখানে দল ও সংসদ এসেছে। দলের মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে তৈরির বিষয় আছে। তারা কীভাবে পরে নির্বাচনে আসবে? তারা কার্যকরভাবে সংসদে কাজ করতে পারবে কি না? এ জন্য অবশ্যই একটি দলীয় ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে। একটি আসনের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রার্থী উপযুক্তরূপে দলের ভূমিকা আছে। ১৬৮ জন এবার প্রথমবারের মতো জয়ী হয়েছেন। আমি বলব, এটা একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
প্রথম আলো দুঃখটা কিন্তু সেখানেই। নবাগত ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সংসদের চরিত্র বদলাচ্ছে না। আগের মতোই সবকিছু চলছে। সংসদের গুণগত অর্জন কি বলুন।
আবদুস শহীদ আমাকে শেষ করতে দিন। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা না করি, তাহলে আমার অনেক কিছু না জানারই কথা। আমি একাদিক্রমে চারবারের নির্বাচিত সাংসদ। আমার সংসদের রীতিনীতি জানা। কিন্তু অমি বিশেষজ্ঞ নই। আমি বড় বড় কর্তৃপক্ষের বরাতে উদ্ধৃতি দিলাম। এটা কিন্তু ভালো সাংসদের বৈশিষ্ট্য নয়। ভালো সাংসদ আইন তৈরির মাধ্যমে জাতির জন্য অবদান রাখবেন। সরকার হলো রাজনীতির সৃষ্টি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিন্তু তা নয়।
প্রথম আলো সংসদীয় কমিটিগুলোতে বিরোধী দলের ভূমিকা সম্পর্কে মন্তব্য করুন?
আবদুস শহীদ পরিবেশ ছাড়াও মত্স্য ও প্রাণীসম্পদবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিএনপির। এ ছাড়া আরও অনেক কমিটির সভাপতি পদে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ রয়েছেন। এখন ধরুন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যদি সংসদীয় কমিটি যথাযথ সুপারিশ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায় সেই কমিটিকেই নিতে হবে।
প্রথম আলো কিন্তু সব কমিটির সেরা হলো সরকারি হিসাব কমিটি। কেন এর সভাপতির পদ বিরোধী দলকে দিলেন না?
আবদুস শহীদ আপনার কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি না। তবে আগেই বলেছি, আমাদের গণতন্ত্র অনুশীলনের জন্য যে সময়ের প্রয়োজন, সেটা কিন্তু আমরা পাইনি। দেখুন, গতকাল ও আজকের সংসদের সুরের মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। এটা অভিজ্ঞতার জন্য ঘটেছে। সরকারি হিসাব কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে হওয়া ভালো। ১৯৯৬ সালে এ কমিটি থেকে আমরা ১০১টি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। তার আগে কোনো প্রতিবেদনই সংসদে পেশ করা হয়নি। তাই সভাপতি পদ বিরোধী দলকে দিলেই যে খুব সফল হবে তা কিন্তু সেভাবে বলা যায় না। তবে এ কমিটি যাতে গতিশীল হতে পারে, সে জন্য চিফ হুইপ হিসেবে আমি সক্রিয় উদ্যোগ নিচ্ছি। আরেকটি কথা, আমরা যে বিমা বিলে সাত-আটটি সংশোধনী গ্রহণ করলাম। এর কিন্তু অতীত নজির নেই। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা অবশ্যই আমাদের রাস্তা দেখাবেন। কিন্তু সবটাই যে অনুসরণ করতে পারব সে অবস্থাটি কি আমরা সত্যিই অর্জন করতে পেরেছি?
No comments