পবিত্র কোরআনের আলো-আকাশমণ্ডল ও জমিনে যা কিছু আছে সবাই আল্লাহর ধর্মের অনুসারী
৮৩. আফাগাইরা দীনিল্লাহি ইয়াব্গূনা ওয়ালাহূ আছলামা মান ফিচ্ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদ্বি ত্বাওআন ওয়া কারহান ওয়া ইলাইহি ইউরজাঊন। ৮৪. ক্বুল আ-মান্না-বিল্লাহি ওয়ামা-উনযিলা আ'লাইনা-ওয়ামা-উনযিলা আ'লা-ইবরাহীমা ওয়া ইছমা-ঈলা ওয়া ইছহা-ক্বা ওয়া ইয়া'কূবা ওয়ালআছবা-তি্ব ওয়ামা-ঊতিইয়া মূসা-ওয়া ঈছা-ওয়ান্নাবিয়্যু-না মির্ রাবি্বহিম; লা-নুফার্রিক্বু বাইনা আহাদিম্ মিনহুম; ওয়ানাহনু লাহূ মুছলিমূন।
৮৫. ওয়ামান ইয়্যাবতাগি গাইরাল ইসলামি দীনান ফালা ইঁউক্ববালু মিনহু; ওয়া হুয়া ফিল আ-খিরাতি মিনাল খা-ছিরীন। [সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৮৩-৮৫]
অনুবাদ : ৮৩. তারা কি আল্লাহর ধর্মের বদলে অন্য ধর্মের সন্ধান করছে? অথচ আকাশমণ্ডল ও জমিনে যা কিছু আছে সবাই সচেতনভাবে হোক বা অবচেতনভাবে হোক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে আছে; আর প্রত্যেককে তো তার কাছে ফিরে যেতেই হবে।
৮৪. (হে নবী!) আপনি বলুন, আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, ইমান এনেছি আমার ওপর যা নাজিল করা হয়েছে তার ওপর, ইমান এনেছি ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁদের অন্যান্য বংশধরের ওপর যা কিছু নাজিল হয়েছিল তার ওপর। আমরা আরো ইমান এনেছি মুসা, ঈসা এবং অন্য নবীদের প্রতি, তাঁদের প্রভুুর কাছ থেকে যা কিছু দেওয়া হয়েছে তার ওপর; এ নবীদের কারো মাঝেই আমরা কোনো তারতম্য করি না, আমরা সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।
৮৫. যদি কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম অনুসন্ধান করে তবে তার কাছ থেকে সে ধর্ম কখনো গ্রহণ করা হবে না পরকালে সে চরম ব্যর্থদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।
ব্যাখ্যা : এসব আয়াতে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত তাৎপর্য এবং অন্য ধর্মের সঙ্গে এর সম্পর্ক, সহাবস্থান ও বিশ্বজনীন মূল্যবোধের বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। ৮৩ নম্বর আয়াতে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত রূপ ও এর তাৎপর্য কী তা তুলে ধরার জন্য একটা কঠিন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। এখানে অন্য নবীদের উম্মত বলে দাবিদারদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছে_'তারা কি আল্লাহর ধর্মের বদলে অন্য কোনো ধর্মের সন্ধান করছে?' এর আগের আয়াত বলা হয়েছিল ইসলামের প্রতি সব নবীর অঙ্গীকারের কথা। অর্থাৎ সব নবীর ধর্মই ছিল ইসলাম এবং সব নবীই ছিলেন মুসলমান। তাঁদের অঙ্গীকার ছিল তাঁদের উম্মতদের মাধ্যমে পরবর্তী নবীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করার। কিন্তু অনেক উম্মত যখন আখেরি নবীর প্রতি ইমান আনতে অস্বীকার করছিল, তখন এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর ধর্ম ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। ইসলাম হচ্ছে ফিৎরাত বা প্রকৃতির ধর্ম। সমগ্র বিশ্বজগত আল্লাহর ফিৎরাত বা প্রকৃতির অনুগত। এই আনুগত্য ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়। সুতরাং মানুষের উচিত আল্লাহর ধর্ম ইসলামের অনুকূলে আল্লাহর অনুগত হওয়া।
৮৪ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে ইসলামের বিশ্বজনীন মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় একত্বের রূপ ও এর তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ইসলাম অন্য ধর্মকে কিভাবে দেখে এবং কী ধরনের বিশ্বাস পোষণ করে তা বিস্তারিত বলে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাসুল (সা.)-কে। এখানে রাসুলকে বলা হয়েছে, আপনি বলুন, আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আমার ওপর নাজিল হওয়া কোরআনের ওপর ইমান এনেছি এবং নবী ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুবসহ তাঁদের বংশে যত নবী জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের ওপর এবং মুসা, ঈসাসহ সব নবীর ওপর ইমান এনেছি। আয়াতে বলা হয়েছে, আপনি আরো বলুন, আমরা নবীদের মধ্যে কোনো তারতম্য করি না, আমরা সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী অর্থাৎ আমরা সবাই মুসলমান। এভাবেই ইসলাম ধর্মকে বিশ্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক ও সর্বমানবের ধর্ম বলে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগের ৮৩ নম্বর আয়াতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ইসলাম সমগ্র বিশ্ব-প্রকৃতির ধর্ম, বিশ্বজগৎ যে প্রকৃতিতে আল্লাহর আনুগত্যে নিমজ্জিত সেই ধর্ম। আর এই আয়াতে বলা হয়েছে, ইসলাম মানবজাতির সম্মানিত আদি পিতা ও নবী-রাসুলদের ধর্ম। ৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ইসলাম ছাড়া যারা অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে তারা পথভ্রষ্ট।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৮৩. তারা কি আল্লাহর ধর্মের বদলে অন্য ধর্মের সন্ধান করছে? অথচ আকাশমণ্ডল ও জমিনে যা কিছু আছে সবাই সচেতনভাবে হোক বা অবচেতনভাবে হোক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে আছে; আর প্রত্যেককে তো তার কাছে ফিরে যেতেই হবে।
৮৪. (হে নবী!) আপনি বলুন, আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, ইমান এনেছি আমার ওপর যা নাজিল করা হয়েছে তার ওপর, ইমান এনেছি ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁদের অন্যান্য বংশধরের ওপর যা কিছু নাজিল হয়েছিল তার ওপর। আমরা আরো ইমান এনেছি মুসা, ঈসা এবং অন্য নবীদের প্রতি, তাঁদের প্রভুুর কাছ থেকে যা কিছু দেওয়া হয়েছে তার ওপর; এ নবীদের কারো মাঝেই আমরা কোনো তারতম্য করি না, আমরা সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।
৮৫. যদি কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম অনুসন্ধান করে তবে তার কাছ থেকে সে ধর্ম কখনো গ্রহণ করা হবে না পরকালে সে চরম ব্যর্থদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।
ব্যাখ্যা : এসব আয়াতে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত তাৎপর্য এবং অন্য ধর্মের সঙ্গে এর সম্পর্ক, সহাবস্থান ও বিশ্বজনীন মূল্যবোধের বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। ৮৩ নম্বর আয়াতে ইসলাম ধর্মের প্রকৃত রূপ ও এর তাৎপর্য কী তা তুলে ধরার জন্য একটা কঠিন প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। এখানে অন্য নবীদের উম্মত বলে দাবিদারদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছে_'তারা কি আল্লাহর ধর্মের বদলে অন্য কোনো ধর্মের সন্ধান করছে?' এর আগের আয়াত বলা হয়েছিল ইসলামের প্রতি সব নবীর অঙ্গীকারের কথা। অর্থাৎ সব নবীর ধর্মই ছিল ইসলাম এবং সব নবীই ছিলেন মুসলমান। তাঁদের অঙ্গীকার ছিল তাঁদের উম্মতদের মাধ্যমে পরবর্তী নবীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করার। কিন্তু অনেক উম্মত যখন আখেরি নবীর প্রতি ইমান আনতে অস্বীকার করছিল, তখন এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর ধর্ম ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। ইসলাম হচ্ছে ফিৎরাত বা প্রকৃতির ধর্ম। সমগ্র বিশ্বজগত আল্লাহর ফিৎরাত বা প্রকৃতির অনুগত। এই আনুগত্য ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়। সুতরাং মানুষের উচিত আল্লাহর ধর্ম ইসলামের অনুকূলে আল্লাহর অনুগত হওয়া।
৮৪ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে ইসলামের বিশ্বজনীন মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় একত্বের রূপ ও এর তাৎপর্য তুলে ধরার জন্য বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ইসলাম অন্য ধর্মকে কিভাবে দেখে এবং কী ধরনের বিশ্বাস পোষণ করে তা বিস্তারিত বলে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাসুল (সা.)-কে। এখানে রাসুলকে বলা হয়েছে, আপনি বলুন, আমরা আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি, আমার ওপর নাজিল হওয়া কোরআনের ওপর ইমান এনেছি এবং নবী ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুবসহ তাঁদের বংশে যত নবী জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের ওপর এবং মুসা, ঈসাসহ সব নবীর ওপর ইমান এনেছি। আয়াতে বলা হয়েছে, আপনি আরো বলুন, আমরা নবীদের মধ্যে কোনো তারতম্য করি না, আমরা সবাই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী অর্থাৎ আমরা সবাই মুসলমান। এভাবেই ইসলাম ধর্মকে বিশ্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক ও সর্বমানবের ধর্ম বলে গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগের ৮৩ নম্বর আয়াতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ইসলাম সমগ্র বিশ্ব-প্রকৃতির ধর্ম, বিশ্বজগৎ যে প্রকৃতিতে আল্লাহর আনুগত্যে নিমজ্জিত সেই ধর্ম। আর এই আয়াতে বলা হয়েছে, ইসলাম মানবজাতির সম্মানিত আদি পিতা ও নবী-রাসুলদের ধর্ম। ৮৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ইসলাম ছাড়া যারা অন্য ধর্ম অন্বেষণ করে তারা পথভ্রষ্ট।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments