সীমানা পেরিয়ে আবু সুফিয়ান by জাহিদ হোসাইন
প্রথমবারের মতো জার্মানির ডয়চে ভেলের আন্তর্জাতিক সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে একটি বাংলা ব্লগ। ছয়টি বিভাগের মধ্যে সীমানাবিহীন সাংবাদিক বা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বিভাগে পুরস্কার জয় করেছে বাংলাদেশের আবু সুফিয়ানের বাংলা ব্লগ
(blog.bdnews24.com/author/abusufianIR)। বিশ্বের আরও ১০টি ভাষার একই বিষয়ের বিভিন্ন ব্লগের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ী আবু সুফিয়ানের বাংলা ব্লগ। এ প্রতিযোগিতায় তিন হাজার ২০০ ব্লগ ও ওয়েব থেকে ১১টি ভাষায় মোট ১৭টি বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছিল ১৮৭টি ব্লগ ও ওয়েবসাইট।
আবু সুফিয়ানের অনলাইন জগতে লেখালেখির হাতেখড়ি ২০০৯ সালে। পেশাদার মূলধারার সাংবাদিক আবু সুফিয়ানের ব্লগিং শুরু গুগলের ব্লগার ডট কম দিয়ে। বর্তমানে ব্লগিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন ব্লগ ডট বিডিনিউজ ২৪-কে। ‘সুন্দরই সত্য, সত্যই সুন্দর’ আদর্শে মূল ধারার সাংবাদিকতার বাইরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই ব্লগকে বেছে নিয়েছেন আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ঘটনার গভীরের কথা জানানোর বিকল্প মাধ্যম এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। যেসব ঘটনা মূল ধারার সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল তুলে ধরতে পারে না, সেসব ঘটনা প্রকাশের বিরাট একটি জায়গা হচ্ছে বিভিন্ন ব্লগ সাইট।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক ব্লগার আবু সুফিয়ান বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অজানা ও অপ্রকাশিত ঘটনা তুলে ধরছেন তাঁর ব্লগের পাতায়। সুফিয়ান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ার, এসব ব্যাপারে অনুসন্ধানী কাজ করেছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছেন, আন্দোলনকে ব্লগিং থেকে নিয়ে গেছেন রাজপথে। ব্লগকে একবিংশ শতকের মানুষের বাকস্বাধীনতা চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘পশ্চিমা বিশ্বে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি যেখানে সংবাদ, সাংবাদিক এবং জনমানুষকে এক সূত্রে নিয়ে আসে; আমাদের দেশে সে ধরনের চর্চা এখনো শুরু হয়নি।’
বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো কখনো পূর্ণ স্বাধীন নয়। সেন্সরশিপ প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনাকে পরিবর্তনের প্রবণতা, প্রকাশ করতে না দেওয়াটা প্রচলিত একটা রীতি হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আবু সুফিয়ান। ব্লগ এই অপ্রকাশকে সবার কাছে প্রকাশের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে এখন সাংবাদিকদের পাশাপাশি ব্লগাররাও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে এখন অনেক বেশি সোচ্চার বলে জানান তিনি।
উচ্ছ্বসিত আবু সুফিয়ান এই অর্জনকে বাংলা ভাষাভাষী ব্লগারদের একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন। একজন সাধারণ ব্লগার হিসেবে, মূলধারার সাংবাদিক হিসেবে এবং একজন বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, এটা অনেক বড় অর্জন ও সাফল্য। এটি আন্তভুবনের সব বাঙালি ব্লগার এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য বিশাল অর্জন। এই অর্জন বাংলা ভাষার আরেকটি পরিচয় তুলে ধরে। ব্লগসহ ইন্টারনেট ভুবনে বাংলা ভাষা বিশেষ অবস্থানে আছে, তা প্রকাশ করে এই অর্জন। ডয়চে ভেলের আন্তর্জাতিক সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতায় গত বছরও চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার শুরু করা আবু সুফিয়ান মনে করেন, এ ধরনের অর্জন ভবিষ্যতে বাংলাভাষী যেকোনো ব্লগারকে আরও অনুপ্রেরণা দেবে। মেধাবী তরুণ প্রজন্মের বিশাল অংশ এখন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাভাষী প্রবাসীরাও আছেন ব্লগিং ভুবনে। তিনি মনে করেন, ‘এ প্রজন্মই ত্বরান্বিত করবে সামনের বাংলাদেশের উন্নয়ন, মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং পরিবর্তন করে আনবে আগামী বাংলাদেশ।’ তরুণ রাজনীতিবিদদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ব্লগের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
আবু সুফিয়ানের ব্লগ ছাড়াও আরও দুটি বাংলা ব্লগ এ প্রতিযোগিতায় সম্মাননা লাভ করেছে। জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলের এ প্রতিযোগিতায় অনলাইনে পাঠকদের ভোটে ইউজার পুরস্কার জয়ী বাংলা ব্লগ দুটি হলো আসিফ মহিউদ্দিনের ব্লগ ও সুড়ঙ্গ—নিয়াজের ভুবন। সেরা সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম ক্যাম্পেইন বিভাগে আসিফ মহিউদ্দিন এবং সেরা বাংলা ব্লগ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় সুড়ঙ্গ—নিয়াজের ভুবন। এ প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষার বিচারক হিসেবে ছিলেন দৃক ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম। আগামী জুন মাসে জার্মানির বন শহরে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে জুরি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
আবু সুফিয়ানের অনলাইন জগতে লেখালেখির হাতেখড়ি ২০০৯ সালে। পেশাদার মূলধারার সাংবাদিক আবু সুফিয়ানের ব্লগিং শুরু গুগলের ব্লগার ডট কম দিয়ে। বর্তমানে ব্লগিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন ব্লগ ডট বিডিনিউজ ২৪-কে। ‘সুন্দরই সত্য, সত্যই সুন্দর’ আদর্শে মূল ধারার সাংবাদিকতার বাইরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই ব্লগকে বেছে নিয়েছেন আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ঘটনার গভীরের কথা জানানোর বিকল্প মাধ্যম এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। যেসব ঘটনা মূল ধারার সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল তুলে ধরতে পারে না, সেসব ঘটনা প্রকাশের বিরাট একটি জায়গা হচ্ছে বিভিন্ন ব্লগ সাইট।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক ব্লগার আবু সুফিয়ান বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অজানা ও অপ্রকাশিত ঘটনা তুলে ধরছেন তাঁর ব্লগের পাতায়। সুফিয়ান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ার, এসব ব্যাপারে অনুসন্ধানী কাজ করেছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি এখনো আঁকড়ে ধরে রেখেছেন, আন্দোলনকে ব্লগিং থেকে নিয়ে গেছেন রাজপথে। ব্লগকে একবিংশ শতকের মানুষের বাকস্বাধীনতা চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘পশ্চিমা বিশ্বে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি যেখানে সংবাদ, সাংবাদিক এবং জনমানুষকে এক সূত্রে নিয়ে আসে; আমাদের দেশে সে ধরনের চর্চা এখনো শুরু হয়নি।’
বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো কখনো পূর্ণ স্বাধীন নয়। সেন্সরশিপ প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনাকে পরিবর্তনের প্রবণতা, প্রকাশ করতে না দেওয়াটা প্রচলিত একটা রীতি হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আবু সুফিয়ান। ব্লগ এই অপ্রকাশকে সবার কাছে প্রকাশের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে এখন সাংবাদিকদের পাশাপাশি ব্লগাররাও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে এখন অনেক বেশি সোচ্চার বলে জানান তিনি।
উচ্ছ্বসিত আবু সুফিয়ান এই অর্জনকে বাংলা ভাষাভাষী ব্লগারদের একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন। একজন সাধারণ ব্লগার হিসেবে, মূলধারার সাংবাদিক হিসেবে এবং একজন বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, এটা অনেক বড় অর্জন ও সাফল্য। এটি আন্তভুবনের সব বাঙালি ব্লগার এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য বিশাল অর্জন। এই অর্জন বাংলা ভাষার আরেকটি পরিচয় তুলে ধরে। ব্লগসহ ইন্টারনেট ভুবনে বাংলা ভাষা বিশেষ অবস্থানে আছে, তা প্রকাশ করে এই অর্জন। ডয়চে ভেলের আন্তর্জাতিক সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতায় গত বছরও চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার শুরু করা আবু সুফিয়ান মনে করেন, এ ধরনের অর্জন ভবিষ্যতে বাংলাভাষী যেকোনো ব্লগারকে আরও অনুপ্রেরণা দেবে। মেধাবী তরুণ প্রজন্মের বিশাল অংশ এখন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও ব্লগিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাভাষী প্রবাসীরাও আছেন ব্লগিং ভুবনে। তিনি মনে করেন, ‘এ প্রজন্মই ত্বরান্বিত করবে সামনের বাংলাদেশের উন্নয়ন, মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং পরিবর্তন করে আনবে আগামী বাংলাদেশ।’ তরুণ রাজনীতিবিদদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ব্লগের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
আবু সুফিয়ানের ব্লগ ছাড়াও আরও দুটি বাংলা ব্লগ এ প্রতিযোগিতায় সম্মাননা লাভ করেছে। জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলের এ প্রতিযোগিতায় অনলাইনে পাঠকদের ভোটে ইউজার পুরস্কার জয়ী বাংলা ব্লগ দুটি হলো আসিফ মহিউদ্দিনের ব্লগ ও সুড়ঙ্গ—নিয়াজের ভুবন। সেরা সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম ক্যাম্পেইন বিভাগে আসিফ মহিউদ্দিন এবং সেরা বাংলা ব্লগ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় সুড়ঙ্গ—নিয়াজের ভুবন। এ প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষার বিচারক হিসেবে ছিলেন দৃক ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম। আগামী জুন মাসে জার্মানির বন শহরে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে জুরি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
No comments