ন্যাশনাল সার্ভিস-দুর্নীতি ও দলীয়করণ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে
কুড়িগ্রামে গত শনিবার চারজন তরুণের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় কর্মসূচিটি অভিনব। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম ন্যাশনাল সার্ভিস চালুর অঙ্গীকার ঘোষিত হলে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়।
এতে বলা হয়েছিল, প্রতিটি পরিবারে একজনকে ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় চাকরি দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশ যেমন তাঁদের সেবা পাবে, তেমনি তাঁদেরও কর্মসংস্থান হবে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ন্যাশনাল সার্ভিসের কথা উল্লেখ করা হলেও কীভাবে এর বাস্তবায়ন হবে, তা পরিষ্কার ছিল না। পরবর্তী সময়ে দলীয়ভাবে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হলে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছুটা বিতর্কও সৃষ্টি হয়। অতীতে কোনো সরকার শিক্ষিত বেকার তরুণদের এ ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার কর্মসূচি নেয়নি। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি করতে পারে।
প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচিটি চালু হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও বরগুনা জেলায়। পরবর্তী ধাপে সারা দেশে এ কার্যক্রম চলবে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কুড়িগ্রাম জেলার নয় উপজেলায় ৫৩০ জন দুই বছরের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় থাকবেন। ইতিমধ্যে নয় হাজার ৯৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বরগুনা জেলায়ও সমসংখ্যক তরুণ-তরুণী কাজের সুবিধা পাবেন। এ সময় কাজ করলে দৈনিক ২০০ টাকা ও কাজ না থাকলে দৈনিক ১০০ টাকা ভাতা পাবেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। টাকার অঙ্কে এ অর্থ বেশি না হলেও একজন তরুণ বা তরুণীর স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে, নিজের প্রতি তাঁদের আস্থা ফিরে আসবে। অন্যদিকে এ দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ তাঁকে গড়ে তুলবে দক্ষ ও যোগ্য কর্মশক্তি হিসেবে। সেদিক থেকে এ ধরনের কর্মসূচি কেবল প্রয়োজনীয় নয়, অপরিহার্যও।
তবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত। অতীতে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের কারণে জনগণ এ ধরনের কর্মসূচির সুফল পায়নি। অনিয়ম-অব্যবস্থায় পুরো প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার নজিরও কম নয়। ন্যাশনাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে না বলেই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ন্যাশনাল সার্ভিসের কথা উল্লেখ করা হলেও কীভাবে এর বাস্তবায়ন হবে, তা পরিষ্কার ছিল না। পরবর্তী সময়ে দলীয়ভাবে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হলে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কিছুটা বিতর্কও সৃষ্টি হয়। অতীতে কোনো সরকার শিক্ষিত বেকার তরুণদের এ ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার কর্মসূচি নেয়নি। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার অবশ্যই কৃতিত্ব দাবি করতে পারে।
প্রথম পর্যায়ে কর্মসূচিটি চালু হচ্ছে কুড়িগ্রাম ও বরগুনা জেলায়। পরবর্তী ধাপে সারা দেশে এ কার্যক্রম চলবে, সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কুড়িগ্রাম জেলার নয় উপজেলায় ৫৩০ জন দুই বছরের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় থাকবেন। ইতিমধ্যে নয় হাজার ৯৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বরগুনা জেলায়ও সমসংখ্যক তরুণ-তরুণী কাজের সুবিধা পাবেন। এ সময় কাজ করলে দৈনিক ২০০ টাকা ও কাজ না থাকলে দৈনিক ১০০ টাকা ভাতা পাবেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। টাকার অঙ্কে এ অর্থ বেশি না হলেও একজন তরুণ বা তরুণীর স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে, নিজের প্রতি তাঁদের আস্থা ফিরে আসবে। অন্যদিকে এ দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ তাঁকে গড়ে তুলবে দক্ষ ও যোগ্য কর্মশক্তি হিসেবে। সেদিক থেকে এ ধরনের কর্মসূচি কেবল প্রয়োজনীয় নয়, অপরিহার্যও।
তবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত। অতীতে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের কারণে জনগণ এ ধরনের কর্মসূচির সুফল পায়নি। অনিয়ম-অব্যবস্থায় পুরো প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার নজিরও কম নয়। ন্যাশনাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে সে রকম কিছু হবে না বলেই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
No comments