এই ভয়াবহ অপরাধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে-এসিড-সন্ত্রাস
এক দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশে এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন চলছে। এ বিষয়ে কঠোর আইন করা হয়েছে, দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসিড-সহিংসতা রোধ, এসিড নিক্ষেপের শিকার নারীদের চিকিত্সা-পুনর্বাসন ও এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই সামাজিক আন্দোলনে প্রথম আলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসবের ফলে এসিড-সন্ত্রাস কিছুটা কমেছে, তবে এখনো যে মাত্রায় এ অপরাধ ঘটে চলেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন মোট দুই হাজার ৭৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে এক হাজার ৩৯২ জনই নারী, আর ৬৯৬ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এসিড নিক্ষেপের যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যৌতুক না দেওয়া, পারিবারিক বিরোধ, জমি নিয়ে বিরোধ ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেও এসিড নিক্ষেপের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। শুধু নারী নয়, পুরুষেরাও এসিড নিক্ষেপের শিকার হচ্ছে। এসিড নিক্ষেপকারীদের ৯৯ শতাংশই পুরুষ। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি স্কুল থেকে ঝরে পড়া ছাত্র, বেকার, বখাটে ও মাদকসেবী।
২০০৮ সালের চেয়ে ২০০৯ সালে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ২৫ শতাংশ কমেছে, এর পরও ২০০৯ সালে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৮৪ জন নারী, ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। দেখা যাচ্ছে, যৌতুক, প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কারণে যেখানে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন, সেখানে ৬২ জন এ অপরাধের শিকার হয়েছেন জমি ও টাকাপয়সা-সংক্রান্ত বিরোধের কারণে। এসিড-সন্ত্রাসের এটি আরেক লক্ষণীয় দিক। যেসব বিরোধে লাঠালাঠি-মারামারি সাধারণভাবে প্রচলিত, সেখানে এসিডের ব্যবহার অবশ্যই বাড়তি উদ্বেগের কারণ। প্রতিহিংসা-শত্রুতা চরিতার্থ করার অস্ত্র হিসেবে এসিড ব্যবহারের এই প্রবণতা এখনই অত্যন্ত কঠোর হাতে দমনের উদ্যোগ নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে এটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চেয়েও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে।
নারী-শিশু নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড—এই কঠোর আইনের ফলে তাদের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা যদি কিছু কমে থাকে, তবে তা নিশ্চয়ই ভালো কথা। কিন্তু এতেই সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। এই ভয়াবহ অপরাধের শিকার যাঁরা হন, তাঁদের জীবনে এমন স্থায়ী বিভীষিকা নেমে আসে, যা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সরকারের তরফ থেকে এসিডের বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর নিয়মিত কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা বিশেষভাবে জরুরি। সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নাগরিক সমাজ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, গ্রাম ও শহরের সাধারণ মানুষ—সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এসিড-সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।
এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন মোট দুই হাজার ৭৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে এক হাজার ৩৯২ জনই নারী, আর ৬৯৬ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এসিড নিক্ষেপের যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, যৌতুক না দেওয়া, পারিবারিক বিরোধ, জমি নিয়ে বিরোধ ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেও এসিড নিক্ষেপের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। শুধু নারী নয়, পুরুষেরাও এসিড নিক্ষেপের শিকার হচ্ছে। এসিড নিক্ষেপকারীদের ৯৯ শতাংশই পুরুষ। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি স্কুল থেকে ঝরে পড়া ছাত্র, বেকার, বখাটে ও মাদকসেবী।
২০০৮ সালের চেয়ে ২০০৯ সালে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ২৫ শতাংশ কমেছে, এর পরও ২০০৯ সালে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৮৪ জন নারী, ১৯ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। দেখা যাচ্ছে, যৌতুক, প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কারণে যেখানে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন, সেখানে ৬২ জন এ অপরাধের শিকার হয়েছেন জমি ও টাকাপয়সা-সংক্রান্ত বিরোধের কারণে। এসিড-সন্ত্রাসের এটি আরেক লক্ষণীয় দিক। যেসব বিরোধে লাঠালাঠি-মারামারি সাধারণভাবে প্রচলিত, সেখানে এসিডের ব্যবহার অবশ্যই বাড়তি উদ্বেগের কারণ। প্রতিহিংসা-শত্রুতা চরিতার্থ করার অস্ত্র হিসেবে এসিড ব্যবহারের এই প্রবণতা এখনই অত্যন্ত কঠোর হাতে দমনের উদ্যোগ নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে এটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চেয়েও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে।
নারী-শিশু নির্যাতনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড—এই কঠোর আইনের ফলে তাদের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা যদি কিছু কমে থাকে, তবে তা নিশ্চয়ই ভালো কথা। কিন্তু এতেই সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। এই ভয়াবহ অপরাধের শিকার যাঁরা হন, তাঁদের জীবনে এমন স্থায়ী বিভীষিকা নেমে আসে, যা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এসিড-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সরকারের তরফ থেকে এসিডের বিক্রি ও ব্যবহারের ওপর নিয়মিত কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা বিশেষভাবে জরুরি। সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নাগরিক সমাজ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, গ্রাম ও শহরের সাধারণ মানুষ—সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এসিড-সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।
No comments