সাংবাদিক দম্পতি হত্যা-বিচারের আশায় ছোট্ট মেঘ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তিন মাস পূর্ণ হলেও খুনিরা ধরা পড়েনি। হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে র্যাব-পুলিশ কিছুই করতে পারেনি। শিগগিরই খুনি ধরা পড়বে—এমন আশা এখন আর কেউ করছে না।
রুনির ভাই নওশের আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিচার পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি।
রুনির ভাই নওশের আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিচার পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি।
আবার লাশ তোলা হলো। এতে শুধু স্বজনদের কষ্টটাই বাড়ল। এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা মেঘের ভবিষ্যৎ নিয়ে। প্রতি রাতেই মেঘ প্রার্থনা করে, চোররা যেন ধরা পড়ে। ও খুনিদের চোর বলে।’
নওশের বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ডেকে তাঁদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি মেঘের দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেছেন। কিন্তু এরপর আর কেউ খবর নেয়নি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন খুনিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এ ঘটনার তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য’ অগ্রগতির কথা ঘোষণা করেন। তবে বাস্তবে কোনো অগ্রগতি নেই।
শেষ পর্যন্ত গত ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আদালতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে। আদালত র্যাবকে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। র্যাব তদন্তভার পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল ভিসেরা আলামতের জন্য দুজনের লাশ কবর থেকে ওঠায়।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, এ মামলা পাওয়ার পর একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ তদন্ত দল ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণও চলছে। ১৫ মের মধ্যে ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকেরা ক্ষুব্ধ: তিন মাসেও সাগর-রুনির খুনি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর যৌথ সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যা, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে ১৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে, ডিইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে সব সাংবাদিককে অনুরোধ জানানো হয়।
এ ছাড়া সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মাছরাঙা টেলিভিশনের কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করবেন।
নওশের বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ডেকে তাঁদের সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি মেঘের দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেছেন। কিন্তু এরপর আর কেউ খবর নেয়নি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই দিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন খুনিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এ ঘটনার তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য’ অগ্রগতির কথা ঘোষণা করেন। তবে বাস্তবে কোনো অগ্রগতি নেই।
শেষ পর্যন্ত গত ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আদালতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে। আদালত র্যাবকে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। র্যাব তদন্তভার পেয়ে গত ২৬ এপ্রিল ভিসেরা আলামতের জন্য দুজনের লাশ কবর থেকে ওঠায়।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, এ মামলা পাওয়ার পর একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ তদন্ত দল ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণও চলছে। ১৫ মের মধ্যে ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকেরা ক্ষুব্ধ: তিন মাসেও সাগর-রুনির খুনি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর যৌথ সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যা, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে ১৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে, ডিইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে সব সাংবাদিককে অনুরোধ জানানো হয়।
এ ছাড়া সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মাছরাঙা টেলিভিশনের কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করবেন।
No comments