যা নিয়ে আছি-সমুদ্র ভীষণ প্রিয়
হরিশংকর জলদাস—কথাসাহিত্যিক। গল্প ও উপন্যাস দুই মাধ্যমেই তাঁর স্বচ্ছন্দ বিচরণ। অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১০। তাঁর দহনকাল প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৭ নির্বাচিত হয়েছে সৃজনশীল শাখায়কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট ছোটবেলা থেকেই বই পড়া আমার নেশা।
যার শুরু জাতকের গল্প, মহাভারত, রামায়ণ দিয়ে। সুখে-দুঃখে একটানা বই পড়ি। দিনের বেলায় সময় পাই না, সাধারণত রাতে পড়ি। এখন পড়ছি রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট। ভাবনার বৈচিত্র্য, নতুন তথ্য বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বারবার পড়া বই সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণদেবতা, হাসান আজিজুল হকের আগুনপাখি প্রভৃতি। প্রিয় লেখক সৈয়দ শামসুল হক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রফিক আজাদ, ইমদাদুল হক মিলন, নির্মলেন্দু গুণ প্রমুখ।
কথার চেয়ে সুর আপ্লুত করে
আমার জীবনের শেষ আশ্রয় রবীন্দ্রসংগীত। নচিকেতার গানও ভালো লাগে। বিকেলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত গান শুনি। ভোর বেলাও শোনা হয়। লিখতে লিখতে গান শোনা আমার প্রিয় অভ্যাস। তখন কথার চেয়ে সুর আমাকে বেশি আপ্লুত করে।
ভাবনার জানালা খুলে যায়
একসময় প্রচণ্ড আড্ডা দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও ঢাকা দুই জায়গাতেই আড্ডা দিয়ে মজা পাই। ইদানীং আড্ডা দেওয়ার সময় পাই না। আড্ডা দিলে লেখার সময়টা কমে যায়। আড্ডায় ভাবনার জানালা খুলে যায়। সাহিত্য-সংস্কৃতির অজানা খবর পাওয়া যায়। আড্ডায় আমার প্রিয়মুখ কবি ময়ূখ চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিলে জীবনের অনেক রসদ খুঁজে পাই।
উত্তর পতেঙ্গায় চলে যাই
আমার কোনো অবসর নেই। অবসর পেলে ঘুমোতে যাই। সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে একটু বেশি ছুটি পেলে আমার গ্রামের বাড়ি উত্তর পতেঙ্গায় চলে যাই। তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলি, সময় কাটাই। ওদের সম্বোধন ‘মাস্টোর বাবু ক্যান আছো’ আমার অবসরকে আনন্দিত করে।
গেরিলা, পিয়ানো বারবার দেখেছি
চলচ্চিত্র দেখার চেষ্টা করি। গেরিলা বেশ কয়েকবার দেখেছি। শুধু শব্দগতভাবে আমাকে আক্রান্ত করেনি, নির্মাণশৈলী, দৃশ্যায়নও মুগ্ধ করেছে। পিয়ানোও বেশ কয়েকবার দেখেছি। যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মাঝেও যে জীবন বিকশিত হতে পারে, পিয়ানো দেখে বুঝেছি।
একবার অন্তত কক্সবাজারে যাই
ভ্রমণ আমার অসম্ভব প্রিয়। অর্থনৈতিক সংকটে দেশের বাইরে যেতে পারিনি—দেশটাই দেখেছি। আজ পর্যন্ত উড়োজাহাজে ওঠাও হয়নি।
কক্সবাজার আমার প্রিয় জায়গা। প্রতিবছর একবার অন্তত ওখানে যাই। সমুদ্র আমার ভীষণ প্রিয়। ওখানে গেলে জমাটবদ্ধ দুঃখ-কষ্ট সব হালকা হয়ে যাই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আহমেদ হোসেন
কথার চেয়ে সুর আপ্লুত করে
আমার জীবনের শেষ আশ্রয় রবীন্দ্রসংগীত। নচিকেতার গানও ভালো লাগে। বিকেলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত গান শুনি। ভোর বেলাও শোনা হয়। লিখতে লিখতে গান শোনা আমার প্রিয় অভ্যাস। তখন কথার চেয়ে সুর আমাকে বেশি আপ্লুত করে।
ভাবনার জানালা খুলে যায়
একসময় প্রচণ্ড আড্ডা দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও ঢাকা দুই জায়গাতেই আড্ডা দিয়ে মজা পাই। ইদানীং আড্ডা দেওয়ার সময় পাই না। আড্ডা দিলে লেখার সময়টা কমে যায়। আড্ডায় ভাবনার জানালা খুলে যায়। সাহিত্য-সংস্কৃতির অজানা খবর পাওয়া যায়। আড্ডায় আমার প্রিয়মুখ কবি ময়ূখ চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিলে জীবনের অনেক রসদ খুঁজে পাই।
উত্তর পতেঙ্গায় চলে যাই
আমার কোনো অবসর নেই। অবসর পেলে ঘুমোতে যাই। সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে একটু বেশি ছুটি পেলে আমার গ্রামের বাড়ি উত্তর পতেঙ্গায় চলে যাই। তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলি, সময় কাটাই। ওদের সম্বোধন ‘মাস্টোর বাবু ক্যান আছো’ আমার অবসরকে আনন্দিত করে।
গেরিলা, পিয়ানো বারবার দেখেছি
চলচ্চিত্র দেখার চেষ্টা করি। গেরিলা বেশ কয়েকবার দেখেছি। শুধু শব্দগতভাবে আমাকে আক্রান্ত করেনি, নির্মাণশৈলী, দৃশ্যায়নও মুগ্ধ করেছে। পিয়ানোও বেশ কয়েকবার দেখেছি। যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মাঝেও যে জীবন বিকশিত হতে পারে, পিয়ানো দেখে বুঝেছি।
একবার অন্তত কক্সবাজারে যাই
ভ্রমণ আমার অসম্ভব প্রিয়। অর্থনৈতিক সংকটে দেশের বাইরে যেতে পারিনি—দেশটাই দেখেছি। আজ পর্যন্ত উড়োজাহাজে ওঠাও হয়নি।
কক্সবাজার আমার প্রিয় জায়গা। প্রতিবছর একবার অন্তত ওখানে যাই। সমুদ্র আমার ভীষণ প্রিয়। ওখানে গেলে জমাটবদ্ধ দুঃখ-কষ্ট সব হালকা হয়ে যাই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আহমেদ হোসেন
No comments