পাকিস্তান-রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র? by আয়েশা সিদ্দিকা
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি সম্প্রতি দুজন লেফটেন্যান্ট জেনারেলের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। রাষ্ট্রের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পত্রিকা থেকে যে যৎসামান্য জানা গেছে তা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা সত্যিই জেনারেল কায়ানির আছে। এটিকে কার্যপ্রণালিগত ক্ষুদ্র বিষয় হিসেবে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।
জেনারেল কায়ানির এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতাকাঠামোর প্রকৃত চরিত্রের প্রতীকী রূপ। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনো অনুমোদন না নেওয়ার মাধ্যমে বর্তমান সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীকে আরও একবার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদায় আসীন করলেন। তিনি এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যেটি অনুসরণ করতে বেসামরিক প্রশাসনের অনেকেও প্রলুব্ধ হবেন।
প্রধানমন্ত্রী এতে কোনো আপত্তি জানিয়েছেন বলে মনে হয়নি। অনতিবিলম্বে তাঁকে রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রকে পুনর্গঠিত করতে হবে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংস্থাপন বিভাগের কাজের আর কোনো প্রয়োজন না থাকায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে গুটিয়ে নিতে হবে। বিভাগের প্রধানেরাই যদি এসব কাজ করতে পারেন, তাহলে এ দুই প্রতিষ্ঠানের আমলাদের রাখার কী দরকার?
রাষ্ট্রের ভেতর আমলাতন্ত্র যেভাবে কাজ করে সেদিক থেকে দেখলে জেনারেল কায়ানিকে একটি বিভাগের প্রধান হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। কেউ হয়তো যুক্তি দেখাতে পারেন, প্রতিরক্ষাসচিবই আসলে বিভাগটির প্রধান। কিন্তু যুক্তি চ্যালেঞ্জের মুখে। স্পষ্টত, জেনারেল নিজেই সর্বেসর্বা।
বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষমতাকে সংজ্ঞায়িত করার জায়গায় ‘বিভাগের প্রধান’ প্রত্যয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মোশাররফের শাসনামলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিভাগের প্রধানেরা অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি দিতে পারবেন। ছুটি অনুমোদনের জন্য একজনের পর আরেকজনের কাছে ছোটাছুটির যন্ত্রণা লাঘব করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পদোন্নতি বা মেয়াদ বাড়ানোসহ অন্য সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্তৃত্বে এই ক্ষমতা অর্পণ কোনো হস্তক্ষেপ ঘটায়নি।
উচ্চতম থেকে নিম্নতম পর্যায় পর্যন্ত ক্রমবিভক্ত কর্তৃত্বের ভিত্তিতে সংগঠিত কোনো বিভাগের একজন কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর অর্থ তার নিম্নপদের সবাই পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হবে। এর অর্থ হলো, আমলাতন্ত্রের প্রতিটি স্তরের কিছু কিছু কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে হবে, যা রাষ্ট্রের ওপর বাড়তি বোঝা। রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের দায় যেহেতু সরকারের ওপর পড়ে, তাই রাষ্ট্রই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। সুতরাং জেনারেল কায়ানি যদি চান কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ চালিয়ে যাক, তবে তাঁকে আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে।
এই মত কেউ কেউ অপছন্দ করতে পারেন; তাঁরা রাজনৈতিক সরকারগুলোর দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলতে পারেন। তাঁরা হয়তো বলবেন, যেখানে এত বিপুল পরিমাণে খারাপ ঘটনা ঘটছে, সেখানে কেন মাত্র দুজনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রসঙ্গ নিয়ে লাগলেন? এই আলোচনাটা কিন্তু কেবল কত অর্থ নষ্ট হলো তা নিয়ে নয়; বরং রাষ্ট্রকে শাসন করার নীতির প্রসঙ্গ এটি। আরও জরুরি প্রশ্নটি হলো, ‘রাষ্ট্রের ভেতরে আরেক রাষ্ট্রের’ বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এই আলোচনা।
প্রতিরক্ষা বিষয়ে ১৯৭০-এর দশকে প্রণীত প্রথম ও একমাত্র শ্বেতপত্রটি সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে প্রধান সাধারণ ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছিল। প্রথম প্রতিরক্ষাসচিব সামরিক সদস্য বা আমলা। সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় এটি ছিল সরকারের প্রধান প্রতিষ্ঠান। তখন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (জেসিএসসি) আঙ্গিকে একটি মধ্যবর্তী জায়গা তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৭৭ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ফলে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাড়তে পারেনি। ক্ষমতায় বসা সামরিক বাহিনীর চাপ সহ্য করে জিসিএসসি আসলে উঠে দাঁড়াতে পারেনি। পরে মোশাররফের সময়ে, পালাক্রমে চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত জেসিএসসির অন্যতম মূলনীতিটি পাল্টে দিয়ে সেনাবাহিনী এই প্রতিষ্ঠানটিকে মেরে ফেলেছে। এমনকি নওয়াজ শরিফও এই অপকর্মে ভূমিকা রেখেছিলেন, যখন নৌবাহিনীপ্রধানের পালা তখন মোশাররফকে তিনি এটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের ক্ষমতার রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন সেনাপ্রধান। কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বর্তমান সেনাপ্রধান তাঁর স্বাধীনতা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন। এ অঞ্চলের ইতিহাসে দেখা গেছে, শাসনব্যবস্থার নীতি পাল্টে ফেলতে চাইলে এর জন্য বিরাট মূল্য দিতে হয়। ১৯৬০-এর দশকে ভারতবাসী এর ফলে অনেক ভুগেছে। সশস্ত্র বাহিনীতে প্রশ্নসাপেক্ষে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়েছিল তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। যে জন্য চীনের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
জেনারেল কায়ানি হয়তো সরকারের কাছে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা তাঁর আওতায় পড়ে এবং তিনি চান না সামরিক বাহিনীর হূদয়ের কাছের বিষয়াবলি নিয়ে রাজনীতিবিদেরা সিদ্ধান্ত নিক। অবশ্য আফগানিস্তান অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ঠিক লোককে ঠিক জায়গায় বসানো নিয়ে রাজধানীসহ অন্য শহরগুলোয় যে রাজনীতি চলে এটি তার অংশ। জেনারেল কায়ানি তাঁর আমেরিকান বন্ধুদের ভাবজগতে জায়গা করে নেওয়ায় ওয়াশিংটনে এখন অনেকে তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষপাতী। এটা যদি কাজে না দেয়, তাহলে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দের ব্যক্তিরাই যাতে সামনের সারিতে থাকেন সে বিবেচনায় তিনি তাঁদের জায়গা করে দেবেন।
ওবামা প্রশাসনের কেউ কেউ এখনো বেসামরিক সরকারের চেয়ে সামরিক কর্তাদের ওপর ভরসা করেন। সামরিক বাহিনীর ভেতর তাঁদের পছন্দ কিছু কর্মকর্তা, বিশেষভাবে তাঁদের পছন্দ আইএসআইপ্রধান জেনারেল পাশা। ‘রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র’কে জায়গা করে দিতে ইতিমধ্যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দেওয়া হয়েছে।
ডন থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব।
আয়েশা সিদ্দিকা: পাকিস্তানি কলামিস্ট; কৌশলগত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
প্রধানমন্ত্রী এতে কোনো আপত্তি জানিয়েছেন বলে মনে হয়নি। অনতিবিলম্বে তাঁকে রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রকে পুনর্গঠিত করতে হবে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংস্থাপন বিভাগের কাজের আর কোনো প্রয়োজন না থাকায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে গুটিয়ে নিতে হবে। বিভাগের প্রধানেরাই যদি এসব কাজ করতে পারেন, তাহলে এ দুই প্রতিষ্ঠানের আমলাদের রাখার কী দরকার?
রাষ্ট্রের ভেতর আমলাতন্ত্র যেভাবে কাজ করে সেদিক থেকে দেখলে জেনারেল কায়ানিকে একটি বিভাগের প্রধান হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। কেউ হয়তো যুক্তি দেখাতে পারেন, প্রতিরক্ষাসচিবই আসলে বিভাগটির প্রধান। কিন্তু যুক্তি চ্যালেঞ্জের মুখে। স্পষ্টত, জেনারেল নিজেই সর্বেসর্বা।
বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষমতাকে সংজ্ঞায়িত করার জায়গায় ‘বিভাগের প্রধান’ প্রত্যয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মোশাররফের শাসনামলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিভাগের প্রধানেরা অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি দিতে পারবেন। ছুটি অনুমোদনের জন্য একজনের পর আরেকজনের কাছে ছোটাছুটির যন্ত্রণা লাঘব করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পদোন্নতি বা মেয়াদ বাড়ানোসহ অন্য সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্তৃত্বে এই ক্ষমতা অর্পণ কোনো হস্তক্ষেপ ঘটায়নি।
উচ্চতম থেকে নিম্নতম পর্যায় পর্যন্ত ক্রমবিভক্ত কর্তৃত্বের ভিত্তিতে সংগঠিত কোনো বিভাগের একজন কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর অর্থ তার নিম্নপদের সবাই পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হবে। এর অর্থ হলো, আমলাতন্ত্রের প্রতিটি স্তরের কিছু কিছু কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে হবে, যা রাষ্ট্রের ওপর বাড়তি বোঝা। রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের দায় যেহেতু সরকারের ওপর পড়ে, তাই রাষ্ট্রই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। সুতরাং জেনারেল কায়ানি যদি চান কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ চালিয়ে যাক, তবে তাঁকে আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে।
এই মত কেউ কেউ অপছন্দ করতে পারেন; তাঁরা রাজনৈতিক সরকারগুলোর দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলতে পারেন। তাঁরা হয়তো বলবেন, যেখানে এত বিপুল পরিমাণে খারাপ ঘটনা ঘটছে, সেখানে কেন মাত্র দুজনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রসঙ্গ নিয়ে লাগলেন? এই আলোচনাটা কিন্তু কেবল কত অর্থ নষ্ট হলো তা নিয়ে নয়; বরং রাষ্ট্রকে শাসন করার নীতির প্রসঙ্গ এটি। আরও জরুরি প্রশ্নটি হলো, ‘রাষ্ট্রের ভেতরে আরেক রাষ্ট্রের’ বিষয়টিকে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এই আলোচনা।
প্রতিরক্ষা বিষয়ে ১৯৭০-এর দশকে প্রণীত প্রথম ও একমাত্র শ্বেতপত্রটি সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে প্রধান সাধারণ ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছিল। প্রথম প্রতিরক্ষাসচিব সামরিক সদস্য বা আমলা। সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় এটি ছিল সরকারের প্রধান প্রতিষ্ঠান। তখন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (জেসিএসসি) আঙ্গিকে একটি মধ্যবর্তী জায়গা তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৭৭ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ফলে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাড়তে পারেনি। ক্ষমতায় বসা সামরিক বাহিনীর চাপ সহ্য করে জিসিএসসি আসলে উঠে দাঁড়াতে পারেনি। পরে মোশাররফের সময়ে, পালাক্রমে চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত জেসিএসসির অন্যতম মূলনীতিটি পাল্টে দিয়ে সেনাবাহিনী এই প্রতিষ্ঠানটিকে মেরে ফেলেছে। এমনকি নওয়াজ শরিফও এই অপকর্মে ভূমিকা রেখেছিলেন, যখন নৌবাহিনীপ্রধানের পালা তখন মোশাররফকে তিনি এটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের ক্ষমতার রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন সেনাপ্রধান। কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বর্তমান সেনাপ্রধান তাঁর স্বাধীনতা ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন। এ অঞ্চলের ইতিহাসে দেখা গেছে, শাসনব্যবস্থার নীতি পাল্টে ফেলতে চাইলে এর জন্য বিরাট মূল্য দিতে হয়। ১৯৬০-এর দশকে ভারতবাসী এর ফলে অনেক ভুগেছে। সশস্ত্র বাহিনীতে প্রশ্নসাপেক্ষে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়েছিল তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। যে জন্য চীনের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে তাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।
জেনারেল কায়ানি হয়তো সরকারের কাছে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা তাঁর আওতায় পড়ে এবং তিনি চান না সামরিক বাহিনীর হূদয়ের কাছের বিষয়াবলি নিয়ে রাজনীতিবিদেরা সিদ্ধান্ত নিক। অবশ্য আফগানিস্তান অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ঠিক লোককে ঠিক জায়গায় বসানো নিয়ে রাজধানীসহ অন্য শহরগুলোয় যে রাজনীতি চলে এটি তার অংশ। জেনারেল কায়ানি তাঁর আমেরিকান বন্ধুদের ভাবজগতে জায়গা করে নেওয়ায় ওয়াশিংটনে এখন অনেকে তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষপাতী। এটা যদি কাজে না দেয়, তাহলে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পছন্দের ব্যক্তিরাই যাতে সামনের সারিতে থাকেন সে বিবেচনায় তিনি তাঁদের জায়গা করে দেবেন।
ওবামা প্রশাসনের কেউ কেউ এখনো বেসামরিক সরকারের চেয়ে সামরিক কর্তাদের ওপর ভরসা করেন। সামরিক বাহিনীর ভেতর তাঁদের পছন্দ কিছু কর্মকর্তা, বিশেষভাবে তাঁদের পছন্দ আইএসআইপ্রধান জেনারেল পাশা। ‘রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র’কে জায়গা করে দিতে ইতিমধ্যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দেওয়া হয়েছে।
ডন থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব।
আয়েশা সিদ্দিকা: পাকিস্তানি কলামিস্ট; কৌশলগত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
No comments