২৮ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল কিনবে সরকার
২৮ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল কিনবে সরকার। বোরো মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ হিসেবে এ চাল কেনা হবে। বর্তমানে ধানের বাজারদর কিছুটা নিম্নমুখী। সরকারি সংগ্রহ অভিযান শুরু হলে এ দাম বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দূর হবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারণ ও মূল্যায়ন কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চাল সংগ্রহ চলবে ৩ মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। চালকলের মালিকদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে নয় লাখ টন চাল এবং দেড় লাখ টন ধান কেনা হবে। দেড় লাখ টন ধান ভানলে এক লাখ টন চাল পাওয়া যায়।
সভা শেষে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি গুদামে মজুদ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, এ বছর প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৫ টাকা ৭৬ পয়সা। চাল আকারে এ খরচ প্রতি কেজিতে ২৪ টাকা ২৭ পয়সা। এখন ধান ১৮ টাকা এবং চালের সংগ্রহ মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করায় কৃষক লাভবান হবেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ধানের দামের নিম্নগতির বর্তমান প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। অবশ্য তা নির্ভর করে সরকার কত দ্রুত এ চাল সংগ্রহ করবে, তার ওপর। তিনি বলেন, গত বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় কিছু চাল ব্যবসায়ীদের গুদামে রয়ে গেছে। সরকারের গুদামেও যথেষ্ট পরিমাণে চাল আছে। ফলে এ ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে ধানের দাম খুব বেশি বাড়ানো যাবে না। উদ্বৃত্ত চাল সীমিত পরিমাণে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রতি মণ ধান বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ তুলতে দাম আরও ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তে হবে। এ জন্য সরকারি সংগ্রহের পাশাপাশি সীমিত পরিমাণে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
গতকালের সভায় বলা হয়, এবার ধানের আবাদ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় এক লাখ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এ বছরে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, খাদ্যসচিব বরুণ দেব মিত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম, বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি গুদামে মজুদ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, এ বছর প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৫ টাকা ৭৬ পয়সা। চাল আকারে এ খরচ প্রতি কেজিতে ২৪ টাকা ২৭ পয়সা। এখন ধান ১৮ টাকা এবং চালের সংগ্রহ মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করায় কৃষক লাভবান হবেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ধানের দামের নিম্নগতির বর্তমান প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। অবশ্য তা নির্ভর করে সরকার কত দ্রুত এ চাল সংগ্রহ করবে, তার ওপর। তিনি বলেন, গত বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় কিছু চাল ব্যবসায়ীদের গুদামে রয়ে গেছে। সরকারের গুদামেও যথেষ্ট পরিমাণে চাল আছে। ফলে এ ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহের মাধ্যমে ধানের দাম খুব বেশি বাড়ানো যাবে না। উদ্বৃত্ত চাল সীমিত পরিমাণে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রতি মণ ধান বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ তুলতে দাম আরও ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তে হবে। এ জন্য সরকারি সংগ্রহের পাশাপাশি সীমিত পরিমাণে চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
গতকালের সভায় বলা হয়, এবার ধানের আবাদ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় এক লাখ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এ বছরে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, খাদ্যসচিব বরুণ দেব মিত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম, বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments