ডিমের ডজন ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে by আবুল হাসনাত
ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এক ডজন বা ১২টি ডিম কিনতে এখন ব্যয় করতে হচ্ছে অন্তত ১০৫ টাকা। ডিমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগির দামও। বাজারে সরবরাহ কমে গেছে, অনেকেই ডিম ও মুরগি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তার পরও কমছে না ডিম বা মুরগির দাম। আর দেশি মুরগির দাম তো আকাশ ছুঁয়েছে।
এমনিতেই বাজার চড়া। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে খাদ্যসূচকে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজার এখন সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। এ সময় ডিমের দাম বৃদ্ধি অনেককেই দুশ্চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে।
খামারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে ব্যাপক হারে মুরগি নিধন হয়েছে। ফলে খামারগুলোতে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। তাই ডিমের উৎপাদনেও সংকট চলছে। এই সংকট আগামীতে আরও বাড়তে পারে।
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গতকাল বুধবার এক হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে এর চেয়েও দুই থেকে তিন টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার ওপরে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেই ফার্মের ডিমের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে চার টাকা। আর এক মাসে বেড়েছে ১৩ শতাংশ। এক বছরে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির হার ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছরের এই সময়ে এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিল ২২ থেকে ২৩ টাকা।
কারওয়ান বাজারে গতকাল ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকা হালি। তবে পলাশী, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল বাজারে ডিমের হালি ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। দোকানিরা জানান, সারা দেশ থেকে ঢাকায় ডিম আসার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। সরবরাহ সংকটের সুযোগ নিয়েই পাইকারি ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মুরগির বাচ্চা ও বাবা-মা মুরগি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। আর সারা দেশের চাহিদা হচ্ছে তিন কোটি।
বিএবির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবে সারা দেশের ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। দেড় থেকে দুই কোটি চাহিদার বিপরীতে গত ১০-১৫ দিন ধরে ঢাকায় ডিম আসছে এক কোটির মতো। তাই ডিমের দামও বেড়েছে।
রাজধানীতে ডিমের পাইকারি বাজার তেজগাঁওয়ে গতকাল ১০০ ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। সে হিসাবে এক হালি ডিমের দাম ৩০ টাকা। আর প্রতি শ হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হয় ৮০০ টাকায়। এতে প্রতি হালি হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের হালি দাঁড়ায় ৩২ টাকা।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমানতউল্লাহ বলেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে পোলট্রিগুলোতে সব মুরগি মারা যাচ্ছে। সে কারণে ডিমের উৎপাদন খারাপ। বাজারে ডিমের সংকট থাকায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খামারিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই পোলট্রি খাতের অবস্থা খারাপ। অনেক খামারি ডিম উৎপাদনেও যায়নি, বাচ্চাও ফোটায়নি। তার ওপর এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক হারে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে ডিমের সংকট দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর ডিম ও মুরগির একটি বড় অংশ আসে গাজীপুর এলাকা থেকে। কালিয়াকৈরের পাইকপাড়ার মিনারা পোলট্রি অ্যান্ড ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মঈনুল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ‘মুরগি নাই, তাই ডিমও নাই। এই কারণেই দাম বেশি। কালিয়াকৈরের প্রতিটা খামার বার্ড ফ্লুর কারণে শেষ হইয়া গেছে।’
মুরগি মিলছে চড়া দামে: ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে রাজধানীতে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ লাখ ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির চাহিদা রয়েছে। দেশব্যাপী চাহিদা হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ মুরগি। কিন্তু এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে চাহিদা অনুযায়ী মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৬ টাকায়। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
খামারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশে ব্যাপক হারে মুরগি নিধন হয়েছে। ফলে খামারগুলোতে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। তাই ডিমের উৎপাদনেও সংকট চলছে। এই সংকট আগামীতে আরও বাড়তে পারে।
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গতকাল বুধবার এক হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে এর চেয়েও দুই থেকে তিন টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার ওপরে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেই ফার্মের ডিমের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়েছে চার টাকা। আর এক মাসে বেড়েছে ১৩ শতাংশ। এক বছরে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির হার ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছরের এই সময়ে এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ছিল ২২ থেকে ২৩ টাকা।
কারওয়ান বাজারে গতকাল ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকা হালি। তবে পলাশী, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল বাজারে ডিমের হালি ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। দোকানিরা জানান, সারা দেশ থেকে ঢাকায় ডিম আসার পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। সরবরাহ সংকটের সুযোগ নিয়েই পাইকারি ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মুরগির বাচ্চা ও বাবা-মা মুরগি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। আর সারা দেশের চাহিদা হচ্ছে তিন কোটি।
বিএবির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবে সারা দেশের ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। দেড় থেকে দুই কোটি চাহিদার বিপরীতে গত ১০-১৫ দিন ধরে ঢাকায় ডিম আসছে এক কোটির মতো। তাই ডিমের দামও বেড়েছে।
রাজধানীতে ডিমের পাইকারি বাজার তেজগাঁওয়ে গতকাল ১০০ ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। সে হিসাবে এক হালি ডিমের দাম ৩০ টাকা। আর প্রতি শ হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হয় ৮০০ টাকায়। এতে প্রতি হালি হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের হালি দাঁড়ায় ৩২ টাকা।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমানতউল্লাহ বলেন, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে পোলট্রিগুলোতে সব মুরগি মারা যাচ্ছে। সে কারণে ডিমের উৎপাদন খারাপ। বাজারে ডিমের সংকট থাকায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খামারিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই পোলট্রি খাতের অবস্থা খারাপ। অনেক খামারি ডিম উৎপাদনেও যায়নি, বাচ্চাও ফোটায়নি। তার ওপর এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক হারে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফলে ডিমের সংকট দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর ডিম ও মুরগির একটি বড় অংশ আসে গাজীপুর এলাকা থেকে। কালিয়াকৈরের পাইকপাড়ার মিনারা পোলট্রি অ্যান্ড ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মঈনুল হোসেন প্রথম আলোকে জানান, ‘মুরগি নাই, তাই ডিমও নাই। এই কারণেই দাম বেশি। কালিয়াকৈরের প্রতিটা খামার বার্ড ফ্লুর কারণে শেষ হইয়া গেছে।’
মুরগি মিলছে চড়া দামে: ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে রাজধানীতে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ লাখ ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির চাহিদা রয়েছে। দেশব্যাপী চাহিদা হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ মুরগি। কিন্তু এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে চাহিদা অনুযায়ী মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৬ টাকায়। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
No comments