বিয়ের জন্য ৪০ লাখ রুপির রাজকীয় নেকলেস কিনলেন কারিনা by অনন্যা আশরাফ
কাপুর পরিবারের লাডলি বেভো কারিনা কাপুর ও সাইফ আলী খানের রাজকীয় বিয়ে হতে যাচ্ছে এ বছর । রাজকীয় বিয়ের প্রস্তুতিটাও তাই রাজকীয় হওয়া চাই। শুরুতেই মিডিয়ার আলোচনায় উঠে আসে নিজের বিয়ে উপলক্ষে কারিনার ৪০ লাখ রুপির রাজকীয় নেকলেস কেনার খবরটি।
রাজ পরিবারের বিয়েতে কনেকে গলায় মূল্যবান নেকলেস পরতে দেখা যায়। যা কারুকাজে ও মূল্যের দিক থেকেও থাকে স্বতন্ত্রতা । ঠিক তেমনি এক রাজকীয় নেকলেস গলায় জড়াবেন কারিনা কাপুর । এর মধ্যেই বিয়েকে সামনে রেখে নেকলেসটির অর্ডারও করেছেন তিনি। ৪০০ গ্রাম ওজনের এ নেকলেসটি আবৃত থাকবে মূল্যবান পাথরে। এক অভিজ্ঞ অরনামেন্টস ডিজাইনারের নিখুত কারুকাজে তৈরি হবে নেকলেসটি। প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে রাজকীয় এ নেকলেসটি তৈরিতে। শুধু নেকলেসেই শেষ নয়, এরই মধ্যে খবর এসেছে হবু বৌ কারিনাকে বিয়ের উপহার হিসেবে দেবার জন্যে বড় একটি হিরের আংটিও কিনছেন সাইফ ।
২০০৮ সালে ‘টাসান’ ছবির শুটিংয়ে সাইফ ও কারিনার ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে । সেই থেকে প্রেমের নদীতে ডুব দিয়েছে এ ‘সাইফিনা’ জুটি । ২২ সেপ্টেম্বর পিতা মনসুর আলী পতৌদি মারা যাবার পর নবাবের খেতাব নেন সাইফ । এরপরই সিদ্ধান্ত নেন করিনার সঙ্গে ৩ বছরের প্রেমের সফল পরিনতি টানার সময় এসেছে। ঘোষনা দেন ২০১২ সালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তারা ।
সাইফ ও কারিনা দুজনই নিজেদের বিয়ে নিয়ে দারুন উত্তেজিত । প্রেমকে সমাজ স্বীকৃতি দেয়ার আনন্দে দুজনই আটছেন নানা পরিকল্পনা। সাইফের মা বলিউডের এক সময়ের নামকরা নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরও চেয়েছেন রাজকীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে সাইফ-কারিনার বিয়ে। সব মিলিয়ে রাজকীয় বিয়ের পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে তাদের বিয়ের প্রস্তুতি । বিয়ের তারিখটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত না হলেও কিছুটা আভাষ দিয়েছেন তারা । সাইফের হোম প্রডাকশনের ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিটি মুক্তির পর এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন এ জুটি। সাইফের বোন সোহা আলী খানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিটি ২৩ মার্চ মুক্তি পাবে। তাই মার্চের শেষে কিংবা এপ্রিলের প্রথমেই বিয়ের আয়োজন করা হবে।
বলিউডের বহুল প্রতিক্ষীত এ বিয়ে নিয়ে ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই । বিয়েতে কারিনা কি পোষাক পরছেন, কি গহণা পরছেন, এমনকি বিয়ের রীতিতে কোন নিয়ম অনুকরন করা হচ্ছে তা জানার আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ভক্তরা । তাই কারিনার ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকার বিয়ে উপলক্ষে ৪০ লাখ রূপির নেকলেস কেনার খবরে গর্ববোধ করতেই পারেন । তবে এখানেই তো শেষ নয়, রাজকীয় এ বিয়েতে এমন আরো অনেক চমকই দেখতে পাবে ভক্তরা এ বিষয়টি নিশ্চিত।
ভক্তদের জন্য সুখবর হলো, প্রয়াত মনসুর আলী পতৌদির পুত্র সাইফ আলী খান ও রাজ কাপুরের নাতনি বেভো কারিনা কাপুরের এই বিয়ের মধ্য দিয়েই তারা দেখতে পাবে বলিউডের প্রথম রাজকীয় বিয়েটি ।
এক নজরে-
সাইফ আলী খান
ভারতের নয়া দিল্লীতে ১৯৭০ সালে ১৬ আগস্ট জন্ম নেন ছোটে নবাব সাইফ আলী খান। প্রয়াত মনসুর আলী পতৌদি ও অভিনেত্রী শর্মিলার ঠাকুরের ছেলে তিনি। তার বোন বলিউডের অভিনেত্রী সোহা আলী খান । ১৯৯১ সালে বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন সাইফ । তবে ২০০৪ সালেই আলাদা হয়ে যান তারা। তাদের সংসারে আছে ২টি সন্তান । ১৯৯২ সালে ‘পরম্পরা’ ছবিতে অভিনয় করে প্রথম বলিউডে পা রাখেন তিনি । তবে প্রথম সাফল্য পান ১৯৯৪ সালের ‘মে খিলাড়ি তু আনড়ি’ ও ‘ইয়ে দিল্লাগি’ ছবিতে অভিনয় করে। ক্যারিয়ারে খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারও অভিনয়ে ফিরেন । ২০০১ সালের ‘দিল চাহাতা হে’, ২০০৩ সালের ‘কাল হো না হো’, ২০০৪ সালের ‘হাম তোম’ ছবির সাফল্যে আবারও অভিনয় ক্যারিয়ারে সাফল্য ফিরে পান ।এরপর একে একে ২০০৫ সালের ‘সালামে নামাস্তে’ ও ‘পরিনিতা’, ২০০৬ সালের ‘ওম কারা’, ২০০৮ সালের ’রেস’ এবং ২০০৯ সালে ‘লাভ আজ কাল’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়াও ২০১০ সালে ভারতের সরকার সাইফকে ‘পদ্ম শ্রি’ উপাধিতে সম্মানিত করেন এবং ২০১১ সালে ৩১ অক্টোবর দশম নবাবের খেতাব অর্জন করেন ।
কারিনা কাপুর
কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ কাপুরের নাতনি কারিনা কাপুর । ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্ম নেন তিনি । বলিউডের অভিনেতা রনধীর কাপুর ও অভিনেত্রী ববিতার ছোট মেয়ে কারিনা । বড় বোন কারিশমা কাপুরের আদরের ছোট বোন তিনি ।পরিবারের সদস্যরা আদর করে তাকে ‘বেভো’ বলে ডাকেন। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউড ফিল্মে প্রথম পা রাখেন ।তবে ২০০১ সালের ‘ কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টের কাজ করে। ২০০৪ সালে’চামেলী’ ছবিতে বির্তকিত চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় উঠে আসেন । ২০০৬ সালের ‘ওমকারা’, ২০০৭ সালের ‘যাব উই মিট’, ২০০৯ সালের ‘ কুরবান’ ও ‘থ্রি ইডিয়েট’ ছবির সাফল্যে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ সময়ের বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়িকাদের একজন হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছেন কারিনা কাপুর।
২০০৮ সালে ‘টাসান’ ছবির শুটিংয়ে সাইফ ও কারিনার ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে । সেই থেকে প্রেমের নদীতে ডুব দিয়েছে এ ‘সাইফিনা’ জুটি । ২২ সেপ্টেম্বর পিতা মনসুর আলী পতৌদি মারা যাবার পর নবাবের খেতাব নেন সাইফ । এরপরই সিদ্ধান্ত নেন করিনার সঙ্গে ৩ বছরের প্রেমের সফল পরিনতি টানার সময় এসেছে। ঘোষনা দেন ২০১২ সালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তারা ।
সাইফ ও কারিনা দুজনই নিজেদের বিয়ে নিয়ে দারুন উত্তেজিত । প্রেমকে সমাজ স্বীকৃতি দেয়ার আনন্দে দুজনই আটছেন নানা পরিকল্পনা। সাইফের মা বলিউডের এক সময়ের নামকরা নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরও চেয়েছেন রাজকীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে সাইফ-কারিনার বিয়ে। সব মিলিয়ে রাজকীয় বিয়ের পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে তাদের বিয়ের প্রস্তুতি । বিয়ের তারিখটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত না হলেও কিছুটা আভাষ দিয়েছেন তারা । সাইফের হোম প্রডাকশনের ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিটি মুক্তির পর এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন এ জুটি। সাইফের বোন সোহা আলী খানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এজেন্ট বিনোদ’ ছবিটি ২৩ মার্চ মুক্তি পাবে। তাই মার্চের শেষে কিংবা এপ্রিলের প্রথমেই বিয়ের আয়োজন করা হবে।
বলিউডের বহুল প্রতিক্ষীত এ বিয়ে নিয়ে ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই । বিয়েতে কারিনা কি পোষাক পরছেন, কি গহণা পরছেন, এমনকি বিয়ের রীতিতে কোন নিয়ম অনুকরন করা হচ্ছে তা জানার আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন ভক্তরা । তাই কারিনার ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকার বিয়ে উপলক্ষে ৪০ লাখ রূপির নেকলেস কেনার খবরে গর্ববোধ করতেই পারেন । তবে এখানেই তো শেষ নয়, রাজকীয় এ বিয়েতে এমন আরো অনেক চমকই দেখতে পাবে ভক্তরা এ বিষয়টি নিশ্চিত।
ভক্তদের জন্য সুখবর হলো, প্রয়াত মনসুর আলী পতৌদির পুত্র সাইফ আলী খান ও রাজ কাপুরের নাতনি বেভো কারিনা কাপুরের এই বিয়ের মধ্য দিয়েই তারা দেখতে পাবে বলিউডের প্রথম রাজকীয় বিয়েটি ।
এক নজরে-
সাইফ আলী খান
ভারতের নয়া দিল্লীতে ১৯৭০ সালে ১৬ আগস্ট জন্ম নেন ছোটে নবাব সাইফ আলী খান। প্রয়াত মনসুর আলী পতৌদি ও অভিনেত্রী শর্মিলার ঠাকুরের ছেলে তিনি। তার বোন বলিউডের অভিনেত্রী সোহা আলী খান । ১৯৯১ সালে বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন সাইফ । তবে ২০০৪ সালেই আলাদা হয়ে যান তারা। তাদের সংসারে আছে ২টি সন্তান । ১৯৯২ সালে ‘পরম্পরা’ ছবিতে অভিনয় করে প্রথম বলিউডে পা রাখেন তিনি । তবে প্রথম সাফল্য পান ১৯৯৪ সালের ‘মে খিলাড়ি তু আনড়ি’ ও ‘ইয়ে দিল্লাগি’ ছবিতে অভিনয় করে। ক্যারিয়ারে খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারও অভিনয়ে ফিরেন । ২০০১ সালের ‘দিল চাহাতা হে’, ২০০৩ সালের ‘কাল হো না হো’, ২০০৪ সালের ‘হাম তোম’ ছবির সাফল্যে আবারও অভিনয় ক্যারিয়ারে সাফল্য ফিরে পান ।এরপর একে একে ২০০৫ সালের ‘সালামে নামাস্তে’ ও ‘পরিনিতা’, ২০০৬ সালের ‘ওম কারা’, ২০০৮ সালের ’রেস’ এবং ২০০৯ সালে ‘লাভ আজ কাল’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়াও ২০১০ সালে ভারতের সরকার সাইফকে ‘পদ্ম শ্রি’ উপাধিতে সম্মানিত করেন এবং ২০১১ সালে ৩১ অক্টোবর দশম নবাবের খেতাব অর্জন করেন ।
কারিনা কাপুর
কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ কাপুরের নাতনি কারিনা কাপুর । ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্ম নেন তিনি । বলিউডের অভিনেতা রনধীর কাপুর ও অভিনেত্রী ববিতার ছোট মেয়ে কারিনা । বড় বোন কারিশমা কাপুরের আদরের ছোট বোন তিনি ।পরিবারের সদস্যরা আদর করে তাকে ‘বেভো’ বলে ডাকেন। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউড ফিল্মে প্রথম পা রাখেন ।তবে ২০০১ সালের ‘ কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টের কাজ করে। ২০০৪ সালে’চামেলী’ ছবিতে বির্তকিত চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় উঠে আসেন । ২০০৬ সালের ‘ওমকারা’, ২০০৭ সালের ‘যাব উই মিট’, ২০০৯ সালের ‘ কুরবান’ ও ‘থ্রি ইডিয়েট’ ছবির সাফল্যে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ সময়ের বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়িকাদের একজন হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছেন কারিনা কাপুর।
No comments