চালচিত্র-পাল্টাপাল্টি শো ডাউন সমস্যার সমাধান নয়, চাই সুস্থ রাজনীতি by শুভ রহমান
আজ ২৯ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের ঘোষিত গণমিছিল। এর পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। এদিকে সংঘাত এড়াতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীতে সভা-সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে একটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট অবশেষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এক হঠকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলেই বিশ্লেষকদের
অভিমত। লক্ষণীয় যে সাম্প্রতিক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠনের পর পরই বিডিআরে লোমহর্ষক ঘটনা, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনার নামে গত ২৮ নভেম্বর জঙ্গি হামলা_এসব একসূত্রে গাঁথা। আইন প্রতিমন্ত্রীর এমন মূল্যায়ন মনে হয় সঠিকই। সে যাই হোক, বিএনপি যতই নাশকতার সম্ভাবনা নাকচ করে দিক, দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে, বারবার একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য সেনা, গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতার পাশাপাশি নাশকতার সম্ভাবনার বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতাও জরুরি। প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়ে সব কিছুর ঊধর্ে্ব দেশ, দেশের স্থাপনা আর মানুষের জান-মাল রক্ষার জন্য সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেটাই যথেষ্ট নয়। সময় এসেছে, ষড়যন্ত্রকারী ও হঠকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাথা তুলে দাঁড়াবার আহ্বান জানানোর। সে জন্য বিশেষজ্ঞ মহল ও সচেতন দেশবাসীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত আর কালক্ষেপণ না করে সম্ভাব্য নাশকতা, অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো। দেশে যেকোনো মূল্যে কষ্টার্জিত সংসদীয় গণতন্ত্রকে সচল, কার্যকর ও অর্থবহ রাখতে হবে এবং আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন ও দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের দণ্ড কার্যকর করতে হবে এবং তা বর্তমান মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই। এর কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষ এই গভীর প্রত্যাশা নিয়েই এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে মহাজোট সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের আরব্ধ বিচার সুসম্পন্ন করতে না পারলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বারবার সরকার ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে সংসদে ফিরে গিয়ে তাদের সব প্রস্তাব সংসদেই রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। চলতি দ্বাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতিও প্রধান বিরোধী দলকে তাদের সব প্রস্তাব ও দাবি সংসদে এসে রাখার জন্যই আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও গণতন্ত্রকামী জনসাধারণ কারো আবেদনের প্রতিই এতটুকুও কর্ণপাত না করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধকে পদদলিত করে প্রধান বিরোধী দল তাদের ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ ও হঠকারী পথই বেছে নিয়ে কার্যত গণতন্ত্র ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে নস্যাৎ করতেই রাজপথে দেশ ও জনজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করতে নেমেছে। দেশ ও জনগণের সর্বোচ্চ স্বার্থেই তাদের যেকোনো মূল্যে সে হঠকারী ও অপরিণামদর্শী পথ থেকে নিবৃত্ত করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তাদের এই চরম হঠকারী কার্যক্রমের ফলে যে উগ্র ও নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো, মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির, এমনকি তাদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ধ্বংসাত্মক শক্তির নেটওয়ার্ককে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে লোপাট করে দেশকে আবার পরাধীনতা ও মধ্যযুগীয় পশ্চাৎপদতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, প্রধান বিরোধী দল ও তাদের সমমনা দলগুলো তা আমলেই নিচ্ছে না।
প্রধান বিরোধী দল ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দিয়ে দেশবাসীর মনে সুস্থ ও ইতিবাচক রাজনীতির পথে ফিরে আসার যে সুচেতনার আভাস দিয়েছিল, এমনকি সংসদে শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্যই নয়, স্বাভাবিক সংসদীয় নীতির প্রতি অনুগত থেকেই সংসদে ফেরার যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, ২৯ জানুয়ারির হঠকারী গণমিছিলের কর্মসূচিকে আঁকড়ে ধরে নিজেরাই সেসব সচেতনতাকে দুপায়ে দলে জনবিমুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তারা রাষ্ট্রপতির দেওয়া সার্চ কমিটির প্রস্তাব, সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ, একের পর এক শুধু প্রত্যাখ্যান করেই যাচ্ছে, নিজেদের কোনো গঠনমূলক প্রস্তাবও রাখছে না, সার্চ কমিটিতে নাম দিতেও অস্বীকৃতি করেছে_এভাবে তারা নিজেরাই ক্রমে গণপ্রত্যাখ্যাত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা থেকে বিএনপিকে শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে জন-আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে সংসদে ফেরার আহ্বানও মহাজোট সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো উচিত বলেই সচেতন দেশবাসী মনে করে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় শাসক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অসহিষ্ণু ও অসংযত কথাবার্তাও বিরোধী দলের সংসদে ফেরার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। শাসক দলের তাও সংশোধন করা জরুরি। আবার, একইদিনে একই সময়ে শাসক দলের মহানগর শাখার পাল্টা শোডাউনের কর্মসূচি গ্রহণও মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়,_এতে যে সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় শাসক দলকেই বহন করতে হবে। দেশবাসী সে সংঘাতের আশঙ্কায় আতঙ্কিত।
তিন-তিনবার এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপির চৈতন্যোদয় ঘটবে এবং উগ্র জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও যুদ্ধাপরাধী অপশক্তির সঙ্গে সব সংশ্রব ছিন্ন করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে বিএনপি নিজেদের সুকৃতী ও সুনামকে আঁকড়ে ধরুক, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণেই নিবেদিত থাক, ভুল রাজনীতির পথে গিয়ে অতীতের মুসলিম লীগের মতো বিভিন্ন গণবিরোধী শক্তির যে পরিণতি হয়েছে, সেই করুণ পরিণতি বরণ না করুক_বস্তুত সচেতন ও গণপ্রিয় জনমানুষ সেটাই চায়।
আজ দেশের চরম বিপদের মুহূর্তে, গণতন্ত্রের চরম সংকটকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ এ দেশের জনমানুষের মনে স্থান নেওয়া গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো দেশে নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীসহ সব অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এবং সব জাতীয় স্বার্থে অভিন্ন নীতি ও অবস্থান গ্রহণ করুক_এটাই সচেতন দেশবাসীর ঐকান্তিক কামনা।
দেশবাসী দেখেছে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে প্রতিবেশী ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শাসক মহাজোটের সঙ্গে যৌথ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রশংসনীয় আহ্বান জানিয়ে বিএনপি সচেতন ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে। দেশবাসী মনে করে আগামী দিনে এ-জাতীয় অভিন্ন জাতীয় অবস্থান গ্রহণের আরো ইস্যু আসবে এবং সেসব ইস্যুতে বিএনপির মতো একটি অভিজ্ঞ ও সংগঠিত সংসদীয় শক্তির অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ জাতির জন্য জরুরি ও কল্যাণকর বলে অনুভূত হবে। সে অবস্থার কথা ভেবে এবং বিশ্বের প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বিএনপি দ্রুত নিজেদের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিজেদের রাজনৈতিক অপমৃত্যু রোধে যত্নবান হবে_এটাই গণতান্ত্রিক মহলের প্রত্যাশা।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বারবার সরকার ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে সংসদে ফিরে গিয়ে তাদের সব প্রস্তাব সংসদেই রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। চলতি দ্বাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতিও প্রধান বিরোধী দলকে তাদের সব প্রস্তাব ও দাবি সংসদে এসে রাখার জন্যই আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও গণতন্ত্রকামী জনসাধারণ কারো আবেদনের প্রতিই এতটুকুও কর্ণপাত না করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধকে পদদলিত করে প্রধান বিরোধী দল তাদের ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ ও হঠকারী পথই বেছে নিয়ে কার্যত গণতন্ত্র ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে নস্যাৎ করতেই রাজপথে দেশ ও জনজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করতে নেমেছে। দেশ ও জনগণের সর্বোচ্চ স্বার্থেই তাদের যেকোনো মূল্যে সে হঠকারী ও অপরিণামদর্শী পথ থেকে নিবৃত্ত করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তাদের এই চরম হঠকারী কার্যক্রমের ফলে যে উগ্র ও নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো, মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির, এমনকি তাদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ধ্বংসাত্মক শক্তির নেটওয়ার্ককে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে লোপাট করে দেশকে আবার পরাধীনতা ও মধ্যযুগীয় পশ্চাৎপদতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, প্রধান বিরোধী দল ও তাদের সমমনা দলগুলো তা আমলেই নিচ্ছে না।
প্রধান বিরোধী দল ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দিয়ে দেশবাসীর মনে সুস্থ ও ইতিবাচক রাজনীতির পথে ফিরে আসার যে সুচেতনার আভাস দিয়েছিল, এমনকি সংসদে শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্যই নয়, স্বাভাবিক সংসদীয় নীতির প্রতি অনুগত থেকেই সংসদে ফেরার যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, ২৯ জানুয়ারির হঠকারী গণমিছিলের কর্মসূচিকে আঁকড়ে ধরে নিজেরাই সেসব সচেতনতাকে দুপায়ে দলে জনবিমুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে তারা রাষ্ট্রপতির দেওয়া সার্চ কমিটির প্রস্তাব, সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণ, একের পর এক শুধু প্রত্যাখ্যান করেই যাচ্ছে, নিজেদের কোনো গঠনমূলক প্রস্তাবও রাখছে না, সার্চ কমিটিতে নাম দিতেও অস্বীকৃতি করেছে_এভাবে তারা নিজেরাই ক্রমে গণপ্রত্যাখ্যাত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা থেকে বিএনপিকে শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে জন-আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে সংসদে ফেরার আহ্বানও মহাজোট সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো উচিত বলেই সচেতন দেশবাসী মনে করে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় শাসক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অসহিষ্ণু ও অসংযত কথাবার্তাও বিরোধী দলের সংসদে ফেরার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। শাসক দলের তাও সংশোধন করা জরুরি। আবার, একইদিনে একই সময়ে শাসক দলের মহানগর শাখার পাল্টা শোডাউনের কর্মসূচি গ্রহণও মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়,_এতে যে সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় শাসক দলকেই বহন করতে হবে। দেশবাসী সে সংঘাতের আশঙ্কায় আতঙ্কিত।
তিন-তিনবার এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিএনপির চৈতন্যোদয় ঘটবে এবং উগ্র জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও যুদ্ধাপরাধী অপশক্তির সঙ্গে সব সংশ্রব ছিন্ন করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে বিএনপি নিজেদের সুকৃতী ও সুনামকে আঁকড়ে ধরুক, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণেই নিবেদিত থাক, ভুল রাজনীতির পথে গিয়ে অতীতের মুসলিম লীগের মতো বিভিন্ন গণবিরোধী শক্তির যে পরিণতি হয়েছে, সেই করুণ পরিণতি বরণ না করুক_বস্তুত সচেতন ও গণপ্রিয় জনমানুষ সেটাই চায়।
আজ দেশের চরম বিপদের মুহূর্তে, গণতন্ত্রের চরম সংকটকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ এ দেশের জনমানুষের মনে স্থান নেওয়া গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো দেশে নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীসহ সব অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এবং সব জাতীয় স্বার্থে অভিন্ন নীতি ও অবস্থান গ্রহণ করুক_এটাই সচেতন দেশবাসীর ঐকান্তিক কামনা।
দেশবাসী দেখেছে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে প্রতিবেশী ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শাসক মহাজোটের সঙ্গে যৌথ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রশংসনীয় আহ্বান জানিয়ে বিএনপি সচেতন ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে। দেশবাসী মনে করে আগামী দিনে এ-জাতীয় অভিন্ন জাতীয় অবস্থান গ্রহণের আরো ইস্যু আসবে এবং সেসব ইস্যুতে বিএনপির মতো একটি অভিজ্ঞ ও সংগঠিত সংসদীয় শক্তির অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ জাতির জন্য জরুরি ও কল্যাণকর বলে অনুভূত হবে। সে অবস্থার কথা ভেবে এবং বিশ্বের প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বিএনপি দ্রুত নিজেদের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিজেদের রাজনৈতিক অপমৃত্যু রোধে যত্নবান হবে_এটাই গণতান্ত্রিক মহলের প্রত্যাশা।
No comments