নাইন-ইলেভেনের এক দশক by একরামুল হক শামীম
তুমি কোথায় ছিলে যখন পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়েছিল, সেপ্টেম্বরের সেই দিনে? বাগানে হাঁটছিলে তোমার স্ত্রী আর ছেলেমেয়েদের সঙ্গে, না লস অ্যাঞ্জেলেসের কোনো মঞ্চে কাজ করেছিলে? তুমি কি সেদিন হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলে, নীল আকাশের সেই কালো ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে?' ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় মর্মাহত হয়ে কলম হাতে তুলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গায়ক অ্যালান জ্যাকসন। তার মর্মব্যথাগুলো কলমের কালি বেয়ে স্থান পায় কাগজের পাতায়।
হয়ে ওঠে একটি গান, যার শিরোনাম 'হোয়ার ওয়ের ইউ হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপ টার্নিং'। ২০০১ সালের ৭ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অ্যালান জ্যাকসন একটি অনুষ্ঠানে দরদি কণ্ঠে গেয়ে উঠেছিলেন তার সেই গান। নাইন-ইলেভেনের ঘটনা নিয়ে রচিত গানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় গানের একটি অ্যালান জ্যাকসনের 'হোয়ার ওয়ের ইউ'।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের মতোই শুরু হয়েছিল সেদিনের সকাল। সকাল সকাল অনেকেই হাজির হয়েছিলেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। স্থানীয় সময় তখন ৮-৪৬। হঠাৎ পাল্টে যায় নিউইয়র্ক সিটির অবস্থা। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত তাতে আঘাত হানে সন্ত্রাসীদের দখল করা দুটি যাত্রীবাহী বিমান। মুহূর্তেই নিউইয়র্কের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। টুইন টাওয়ার হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার লোক, আহত হয়েছিলেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। সন্ত্রাসীরা মোট চারটি যাত্রীবাহী বিমান দখল করেছিল। এরমধ্যে দুটি বিমান আঘাত হানে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে। অন্য একটি বিমান ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে আঘাত হানে। চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ার কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়। টুইন টাওয়ার হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে প্রতিবছরই নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরোতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ নাইন-ইলেভেন ট্র্যাজেডিতে নিহত লোকজনের প্রতি সপ্তাহজুড়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এ বছর ১১ সেপ্টেম্বরের জঙ্গি হামলার দশ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। ফলে এ বছরে নিউইয়র্কবাসী আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০০১ সালের সেই সন্ত্রাসী হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের স্মরণে গ্রাউন্ড জিরোতে ন্যাশনাল মেমোরিয়াল হল নির্মাণের কাজ চলছে। এই মেমোরিয়াল হলটি খুলে দেওয়া হবে ১২ সেপ্টেম্বর। হলের দেয়ালে দেয়ালে লিখে রাখা হবে নিহতদের নাম।
নাইন-ইলেভেনের ঘটনা রাতারাতি পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১১ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনার জের বিশ্ববাসীকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এখনও। আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের কারণও সেই নাইন-ইলেভেন। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ এখনও চলছে। যদিও এরই মধ্যে টুইন টাওয়ার হামলার অন্যতম দায়ী হিসেবে পরিচিত আল কায়দার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন বাহিনী। প্রায় এক দশকের চেষ্টার পর এই বছরের মে মাসে পাকিস্তানের এবোটাবাদের একটি বাড়িতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে লাদেনকে বধ করতে সক্ষম হয় মার্কিন বাহিনী। তবে লাদেনের মৃত্যুর পরও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ থামেনি। নাইন-ইলেভেনের হামলার এক দশক পূর্তির অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতর। তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মিডিয়াগুলো নানা আয়োজনে স্মরণ করছে টুইন টাওয়ার ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্তির দিনটিকে। ইয়াহু তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে মহাশূন্য থেকে রেকর্ড করা টুইন টাওয়ার হামলার ভিডিও রয়েছে। গার্ডিয়ান তাদের ওয়েবসাইটে নাইন-ইলেভেন নিয়ে করা বিশেষ পাতায় বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এনবিসি নিউইয়র্কও তাদের ওয়েবসাইটে এক যুগপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ পাতা খুলেছে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার বিশেষ একটি চ্যানেল খুলেছে '#৯১১ৎবসবসনবৎবফ' নামে। এখানে লোকজন নাইন-ইলেভেনের স্মৃতি শেয়ার করছেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের মতোই শুরু হয়েছিল সেদিনের সকাল। সকাল সকাল অনেকেই হাজির হয়েছিলেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। স্থানীয় সময় তখন ৮-৪৬। হঠাৎ পাল্টে যায় নিউইয়র্ক সিটির অবস্থা। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, যা টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত তাতে আঘাত হানে সন্ত্রাসীদের দখল করা দুটি যাত্রীবাহী বিমান। মুহূর্তেই নিউইয়র্কের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। টুইন টাওয়ার হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার লোক, আহত হয়েছিলেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। সন্ত্রাসীরা মোট চারটি যাত্রীবাহী বিমান দখল করেছিল। এরমধ্যে দুটি বিমান আঘাত হানে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে। অন্য একটি বিমান ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে আঘাত হানে। চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ার কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়। টুইন টাওয়ার হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে প্রতিবছরই নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরোতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ নাইন-ইলেভেন ট্র্যাজেডিতে নিহত লোকজনের প্রতি সপ্তাহজুড়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এ বছর ১১ সেপ্টেম্বরের জঙ্গি হামলার দশ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। ফলে এ বছরে নিউইয়র্কবাসী আলাদা প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০০১ সালের সেই সন্ত্রাসী হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের স্মরণে গ্রাউন্ড জিরোতে ন্যাশনাল মেমোরিয়াল হল নির্মাণের কাজ চলছে। এই মেমোরিয়াল হলটি খুলে দেওয়া হবে ১২ সেপ্টেম্বর। হলের দেয়ালে দেয়ালে লিখে রাখা হবে নিহতদের নাম।
নাইন-ইলেভেনের ঘটনা রাতারাতি পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১১ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনার জের বিশ্ববাসীকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এখনও। আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক অভিযানের কারণও সেই নাইন-ইলেভেন। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ এখনও চলছে। যদিও এরই মধ্যে টুইন টাওয়ার হামলার অন্যতম দায়ী হিসেবে পরিচিত আল কায়দার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন বাহিনী। প্রায় এক দশকের চেষ্টার পর এই বছরের মে মাসে পাকিস্তানের এবোটাবাদের একটি বাড়িতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে লাদেনকে বধ করতে সক্ষম হয় মার্কিন বাহিনী। তবে লাদেনের মৃত্যুর পরও সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ থামেনি। নাইন-ইলেভেনের হামলার এক দশক পূর্তির অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতর। তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মিডিয়াগুলো নানা আয়োজনে স্মরণ করছে টুইন টাওয়ার ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্তির দিনটিকে। ইয়াহু তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে মহাশূন্য থেকে রেকর্ড করা টুইন টাওয়ার হামলার ভিডিও রয়েছে। গার্ডিয়ান তাদের ওয়েবসাইটে নাইন-ইলেভেন নিয়ে করা বিশেষ পাতায় বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এনবিসি নিউইয়র্কও তাদের ওয়েবসাইটে এক যুগপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ পাতা খুলেছে। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার বিশেষ একটি চ্যানেল খুলেছে '#৯১১ৎবসবসনবৎবফ' নামে। এখানে লোকজন নাইন-ইলেভেনের স্মৃতি শেয়ার করছেন।
No comments