তারপরও লোডশেডিং কেন? by সাইফুল সাইফ
সারাদেশে এখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ছোট-বড় জেনারেটর আর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি। তারপরও সরকার হিমশিম খাচ্ছে লোডশেডিং বন্ধ করতে। চাহিদা বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে চলে টালমাটাল অবস্থা। লোডশেডিংয়ের প্রভাব ওয়াসার ওপরও পড়ে থাকে। ঢাকা ওয়াসা চাহিদামতো পানি সরবরাহ করতে পারে না। পানি এবং বিদ্যুতের স্বল্পতায় মানুষের ভীষণ কষ্ট হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাতেও যদি এমন পরিস্থিতি হয় আর কত দিন পরে আমরা অন্তত একটু ভালোমতো বিদ্যুৎ পাব? বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের স্বল্পতা বেশ বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ৮৮ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেও তেমন ভালো ফল পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ দৈনিক ৮০ কোটি ঘনফুট। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে ঢিমেতালে। নতুনভাবে ২৫০ মেগাওয়াট (৩টি নতুন উৎপাদন কেন্দ্র) বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ নাকি যায় না, কোনো কোনো সময় আসে। মানুষ এটা সহ্য করে নিচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, আগের দিনের হারিকেন বা প্রদীপ জ্বালানো এর থেকে অনেক ভালো ছিল। গ্রাহকদের মাসিক নূ্যনতম যে টাকা সেটা তো দিতেই হয়, আবার প্রতিটি ঘরে হারিকেন, প্রদীপ, চার্জলাইট সব খরচ একসঙ্গে করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে অবিলম্বে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। গ্রামের মানুষের সবরবাহ লাইনও নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকে। বর্ষাকালে ঝড়-বৃষ্টি এবং গাছপালার জন্য লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রামগঞ্জে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি কারণে টানা দু'তিন বা সাতদিনও বিদ্যুতের দেখা মেলে না।
দেশের অনেক স্থানে আইপিএস বা সৌরবিদ্যুৎ কিছুটা হলেও মানুষের অনেক চাহিদা মেটাতে পারছে। কিন্তু সরকার ইচ্ছা করলে এসব সেক্টরে বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও সহজে জনগণকে সাহায্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু জনগণ উপকৃত হবে তা নয়, বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। সাধারণ জনগণের অভিমত, এত জেনারেটর (কলকারখানায়), সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের পরও কেন লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ছে? তাহলে এগুলো না থাকলে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো? বর্তমান পল্লী বিদ্যুতের ৭০টি সমিতিভুক্ত প্রায় ৯০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট, শহর এবং গ্রাম মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ। জনগণ এ চাহিদার অর্ধেকের হয়তো সামান্য একটু বেশি পেয়ে থাকে। পল্লী বিদ্যুতের অধীনে যেসব শহর, বন্দর বা শিল্প-কলকারখানা রয়েছে সেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সারাদিন বিদ্যুতের লোডশেডিং হজম করা বাঞ্ছনীয় হয়ে দাঁড়ায়। জনগণের চাহিদার কথা স্মরণ রেখে সরকারের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনকল্পে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
saif_m30@yahoo.com
বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ নাকি যায় না, কোনো কোনো সময় আসে। মানুষ এটা সহ্য করে নিচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, আগের দিনের হারিকেন বা প্রদীপ জ্বালানো এর থেকে অনেক ভালো ছিল। গ্রাহকদের মাসিক নূ্যনতম যে টাকা সেটা তো দিতেই হয়, আবার প্রতিটি ঘরে হারিকেন, প্রদীপ, চার্জলাইট সব খরচ একসঙ্গে করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে অবিলম্বে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত। গ্রামের মানুষের সবরবাহ লাইনও নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকে। বর্ষাকালে ঝড়-বৃষ্টি এবং গাছপালার জন্য লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্রামগঞ্জে ট্রান্সফরমার বিকল হওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি কারণে টানা দু'তিন বা সাতদিনও বিদ্যুতের দেখা মেলে না।
দেশের অনেক স্থানে আইপিএস বা সৌরবিদ্যুৎ কিছুটা হলেও মানুষের অনেক চাহিদা মেটাতে পারছে। কিন্তু সরকার ইচ্ছা করলে এসব সেক্টরে বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও সহজে জনগণকে সাহায্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু জনগণ উপকৃত হবে তা নয়, বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। সাধারণ জনগণের অভিমত, এত জেনারেটর (কলকারখানায়), সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের পরও কেন লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ছে? তাহলে এগুলো না থাকলে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো? বর্তমান পল্লী বিদ্যুতের ৭০টি সমিতিভুক্ত প্রায় ৯০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট, শহর এবং গ্রাম মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ। জনগণ এ চাহিদার অর্ধেকের হয়তো সামান্য একটু বেশি পেয়ে থাকে। পল্লী বিদ্যুতের অধীনে যেসব শহর, বন্দর বা শিল্প-কলকারখানা রয়েছে সেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সারাদিন বিদ্যুতের লোডশেডিং হজম করা বাঞ্ছনীয় হয়ে দাঁড়ায়। জনগণের চাহিদার কথা স্মরণ রেখে সরকারের উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনকল্পে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
saif_m30@yahoo.com
No comments