একুশে বইমেলার আগে সরগরম ছাপাখানা by মোছাব্বের হোসেন
দরজায় কড়া নাড়ছে অমর একুশে বইমেলা। ছাপাখানায় একটানা খটখট আওয়াজ। মুদ্রণযন্ত্রের একদিকে কাগজ ঢুকছে আর অন্যদিকে ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসছে। স্তূপ করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে সেগুলো। বাঁধাই হয়ে নতুন বই হয়ে চলে যাবে মেলায়।
একুশে বইমেলার ঠিক তিন দিন আগে গতকাল শনিবার এই ছিল রাজধানীর বাংলাবাজারের বিভিন্ন ছাপাখানার দৃশ্য।
বেশ কয়েকটি ছাপাখানা ঘুরে দেখা গেছে, বইমেলার বই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। ছাপাখানার শ্রমিকদের বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত নেই। পালা করে বিভিন্ন ধরনের কাজ ভাগাভাগি করে করছেন তাঁরা।
বাংলাবাজারের শ্রীশ দাস লেনের ঢাকা প্রিন্টার্সে দেখা গেল দুটি মুদ্রণযন্ত্রই নতুন বই ছাপার কাজে ব্যস্ত। রঙের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া গেল সেখানে ঢুকেই। একপাশে ছাপা ফর্মা স্তূপ করে রাখা।
এখানকার কর্মী রিপন হোসেন বলেন, ‘বইমেলা উপলক্ষে এখন অনেক ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। দিন-রাত কাজের ব্যস্ততা থাকে। কাজের চাপে ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়া বা খাওয়ার সুযোগও পাওয়া যায় না।’
ঢাকা প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারী আমিন খান জানান, এখন প্রায় ২৪ ঘণ্টাই বই ছাপার কাজ চলছে। এ বই ছাপার কাজ মূলত শুরু হয়েছে নভেম্বর মাস থেকেই। এখন থেকে বইমেলার সারা মাস পর্যন্ত পুরোদমে কাজ চলবে বলে তিনি জানান। এসব ছাপাখানার ব্যবসাটা মূলত বইমেলাকেন্দ্রিক বলে এ সময়েই ছাপাখানাগুলো বেশি ব্যস্ত থাকে ।
আল-ফয়সাল প্রিন্টার্সের মুদ্রণযন্ত্রের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বই ছাপার কাজ একধরনের নেশার মতো। মেলার আগে চাপ থাকে বলে অনেক
পরিশ্রম হয়। তার পরও যখন এ বই সারা দেশের পাঠকদের হাতে পৌঁছে এতেই আমাদের আনন্দ।’
জানা গেল, শীতের সময়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট তুলনামূলক কম। ফলে বই ছাপার কাজে বিঘ্ন ঘটছে না।
বড় বড় কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ছাপাখানা থাকলেও মেলায় নির্দিষ্ট সময়ে বই সরবরাহ করার জন্য তাদেরও বিভিন্ন ছাপাখানার ওপর নির্ভর করতে হয়।
এ জন্যই মূলত এ সময় সারা বেলা ব্যস্ত থাকে ছাপাখানাগুলো। বাংলাবাজার, প্যারীদাস রোড, সূত্রাপুর, আরামবাগ, পল্টন ও বাবুবাজারে সবচেয়ে বেশি বই ছাপার প্রতিষ্ঠান।
বইমেলা শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগ থেকেই এসব এলাকায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফরমায়েশ দেয়। সেই অনুপাতেই বই তৈরির কাজ শুরু হয় ছাপাখানায়। এ ছাড়া বই তৈরির সময় এর মলাট তৈরির কাজেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যস্ততা সমানতালে বেড়ে যায়। বইকে নান্দনিক রূপ দিতে তাদের চেষ্টাও এ সময়ে কম থাকে না।
ছাপাখানাগুলোর পাশাপাশি সমানতালে ব্যস্ত বই বাঁধাই করার প্রতিষ্ঠানগুলোও। বাংলাবাজারের রাতুল বুক বাইন্ডার্সের কর্মী রাসেল খান জানান, এখন দিনরাত বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। বই মজবুত করার জন্যই এসব কাজও করতে হয় যত্ন নিয়ে।
ছাপাসংক্রান্ত কাজ ফেব্রুয়ারিজুড়ে তো চলবেই, কোনো কোনো ক্ষেত্রের মার্চ পর্যন্তও গড়াবে। কারণ, মেলার পর নতুন বই পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাই মেলা শেষ হলেও ছাপাখানার ব্যস্ততা শেষ হবে না।
বেশ কয়েকটি ছাপাখানা ঘুরে দেখা গেছে, বইমেলার বই ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। ছাপাখানার শ্রমিকদের বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত নেই। পালা করে বিভিন্ন ধরনের কাজ ভাগাভাগি করে করছেন তাঁরা।
বাংলাবাজারের শ্রীশ দাস লেনের ঢাকা প্রিন্টার্সে দেখা গেল দুটি মুদ্রণযন্ত্রই নতুন বই ছাপার কাজে ব্যস্ত। রঙের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া গেল সেখানে ঢুকেই। একপাশে ছাপা ফর্মা স্তূপ করে রাখা।
এখানকার কর্মী রিপন হোসেন বলেন, ‘বইমেলা উপলক্ষে এখন অনেক ধরনের কাজ করতে হচ্ছে। দিন-রাত কাজের ব্যস্ততা থাকে। কাজের চাপে ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়া বা খাওয়ার সুযোগও পাওয়া যায় না।’
ঢাকা প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারী আমিন খান জানান, এখন প্রায় ২৪ ঘণ্টাই বই ছাপার কাজ চলছে। এ বই ছাপার কাজ মূলত শুরু হয়েছে নভেম্বর মাস থেকেই। এখন থেকে বইমেলার সারা মাস পর্যন্ত পুরোদমে কাজ চলবে বলে তিনি জানান। এসব ছাপাখানার ব্যবসাটা মূলত বইমেলাকেন্দ্রিক বলে এ সময়েই ছাপাখানাগুলো বেশি ব্যস্ত থাকে ।
আল-ফয়সাল প্রিন্টার্সের মুদ্রণযন্ত্রের কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বই ছাপার কাজ একধরনের নেশার মতো। মেলার আগে চাপ থাকে বলে অনেক
পরিশ্রম হয়। তার পরও যখন এ বই সারা দেশের পাঠকদের হাতে পৌঁছে এতেই আমাদের আনন্দ।’
জানা গেল, শীতের সময়ে বিদ্যুৎবিভ্রাট তুলনামূলক কম। ফলে বই ছাপার কাজে বিঘ্ন ঘটছে না।
বড় বড় কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ছাপাখানা থাকলেও মেলায় নির্দিষ্ট সময়ে বই সরবরাহ করার জন্য তাদেরও বিভিন্ন ছাপাখানার ওপর নির্ভর করতে হয়।
এ জন্যই মূলত এ সময় সারা বেলা ব্যস্ত থাকে ছাপাখানাগুলো। বাংলাবাজার, প্যারীদাস রোড, সূত্রাপুর, আরামবাগ, পল্টন ও বাবুবাজারে সবচেয়ে বেশি বই ছাপার প্রতিষ্ঠান।
বইমেলা শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগ থেকেই এসব এলাকায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফরমায়েশ দেয়। সেই অনুপাতেই বই তৈরির কাজ শুরু হয় ছাপাখানায়। এ ছাড়া বই তৈরির সময় এর মলাট তৈরির কাজেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যস্ততা সমানতালে বেড়ে যায়। বইকে নান্দনিক রূপ দিতে তাদের চেষ্টাও এ সময়ে কম থাকে না।
ছাপাখানাগুলোর পাশাপাশি সমানতালে ব্যস্ত বই বাঁধাই করার প্রতিষ্ঠানগুলোও। বাংলাবাজারের রাতুল বুক বাইন্ডার্সের কর্মী রাসেল খান জানান, এখন দিনরাত বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। বই মজবুত করার জন্যই এসব কাজও করতে হয় যত্ন নিয়ে।
ছাপাসংক্রান্ত কাজ ফেব্রুয়ারিজুড়ে তো চলবেই, কোনো কোনো ক্ষেত্রের মার্চ পর্যন্তও গড়াবে। কারণ, মেলার পর নতুন বই পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাই মেলা শেষ হলেও ছাপাখানার ব্যস্ততা শেষ হবে না।
No comments