‘ওসামাবিরোধী অভিযানে এক ডাক্তার ছিলেন মূল তথ্যদাতা’
মানবজমিন ডেস্ক: আদালত চাইলে, জেলে যেতেও প্রস্তুত রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি নিজেই এমন মন্তব্য করেছেন। এর মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে রক্ষায় তার সরকার যে বদ্ধপরিকর সে ব্যাপারেই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জারদারিকে সুইস আদালতে বিচার ইস্যু নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষা দেয়ার প্রশ্নে গিলানির সরকার অবিভক্ত। সিএনএন গিলানির কাছে জানতে চায়, তার বিরুদ্ধে আদালত কি ধরনের অভিযোগ এনেছেন। এর জবাবে গিলানি জানান, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি। তিনি বলেন, এটা সেই পুরনো মামলা, যা বহুদিন ধরে অমীমাংসিত রয়েছে। এ মামলায় এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জারদারি দীর্ঘ ৮ বছর জেল খেটেছেন। বর্তমানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি সাধারণ ক্ষমার আওতায় রয়েছেন। গিলানি আরও বলেন, আদালত চেয়েছিলেন সুইস আদালতে একটি চিঠি পাঠানো হোক। কিন্তু আমরা বলেছি, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পরিপূর্ণভাবে সাধারণ ক্ষমার আওতায় রয়েছেন। আর তা শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়, দেশের বাইরেও এ সুরক্ষার বিধান রয়েছে প্রেসিডেন্টের জন্য। একই বিধান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও এমনকি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জন্যও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন গিলানি। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি জেলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কিনা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদালত চাইলে আমার কোন আপত্তি নেই। ওদিকে ওই একই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ দেশে ফিরলে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রকৃত অর্থে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগ ছাড়াও মোশাররফের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর কিছু অভিযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি যখন দেশে ফিরবেন, অবশ্যই তাকে সে সমস্ত অভিযোগের সম্মুখীন হতে হবে ও তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা-সংস্থা আইএএনএস। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা মোশাররফের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
এমন অবস্থায় পাকিস্তানে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোশাররফ। স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়া এ নেতার এক সহযোগীর বরাতে অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, মোশাররফ দেশে ফেরার সিদ্ধান্তটি বাতিল করেছেন। এদিকে এর আগে তিনি স্বেচ্ছায় বেছে নেয়া নির্বাসনের ইতি টেনে পাকিস্তানে ফেরার কথা বলেছিলেন। পুনরায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ মাসের শেষেই ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রেক্ষিতে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগেও অভিযুক্ত তিনি। ২০০৭ সালে বেনজির এক হামলায় নিহত হন।
এমন অবস্থায় পাকিস্তানে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোশাররফ। স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়া এ নেতার এক সহযোগীর বরাতে অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, মোশাররফ দেশে ফেরার সিদ্ধান্তটি বাতিল করেছেন। এদিকে এর আগে তিনি স্বেচ্ছায় বেছে নেয়া নির্বাসনের ইতি টেনে পাকিস্তানে ফেরার কথা বলেছিলেন। পুনরায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ মাসের শেষেই ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রেক্ষিতে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগেও অভিযুক্ত তিনি। ২০০৭ সালে বেনজির এক হামলায় নিহত হন।
No comments