রিকাবীবাজার খাল থেকে ২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় চারটি খাল দখল করে তৈরি করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান গতকাল শনিবার আবারও শুরু হয়েছে। গতকাল ২৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এদিকে দ্রুত খাল খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল রিকাবীবাজার খাল ও ফেচন্নি খালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অনেকে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেন। রিকাবীবাজার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দানেসুর রহমান জানান, শনিবার রিকাবীবাজার খালের ২৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেচন্নি খালের আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছিল—এমন ১৫টির মতো স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সব অবৈধ স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার অভিযান চালিয়ে ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ১৯ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘নয়নের খাল আর নয়ন জুড়ায় না’ শিরোনামে মুন্সিগঞ্জের চারটি খাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, খালের ওপর এখনো বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। রিকাবীবাজার খালের পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়নি। এ ছাড়া কিছু পাকা স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, পুরোপুরি উচ্ছেদ করা না হলে এগুলো আবার নির্মাণ করা হবে। কোনো কোনো স্থানে উচ্ছেদে ধীরগতিরও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মাহফুজ আহমেদ বলেন, এখনো অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। রিকাবীবাজার খালের পশ্চিমপাড়ায় অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে। পূর্বপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির মার্কেটের পেছনের অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও শৌচাগার অক্ষত রয়েছে।
সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রেজাউল করিম জানান, কিছু স্থাপনা নিয়ে মামলা আছে। সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মিরকাদিমবাসী দ্রুত খনন করে খালে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, খালগুলো খনন করলে যে পরিমাণ মাটি পাওয়া যাবে তা বিক্রি করেই খননের খরচ পাওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিমের পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে খাল খননের জন্য পৌরসভায় অর্থ বরাদ্দ নেই। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে মাটি বিক্রি করে খননের উদ্যোগ নিতে পারি।’
জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম বলেন, ‘খাল খননের বিষয়ে মেয়রকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে কেউ যদি খাল থেকে মাটি কেটে নিতে চায় আমরা তাকে অনুমতি দেব।’
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার অভিযান চালিয়ে ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ১৯ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘নয়নের খাল আর নয়ন জুড়ায় না’ শিরোনামে মুন্সিগঞ্জের চারটি খাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, খালের ওপর এখনো বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। রিকাবীবাজার খালের পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়নি। এ ছাড়া কিছু পাকা স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, পুরোপুরি উচ্ছেদ করা না হলে এগুলো আবার নির্মাণ করা হবে। কোনো কোনো স্থানে উচ্ছেদে ধীরগতিরও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মাহফুজ আহমেদ বলেন, এখনো অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। রিকাবীবাজার খালের পশ্চিমপাড়ায় অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে। পূর্বপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির মার্কেটের পেছনের অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও শৌচাগার অক্ষত রয়েছে।
সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রেজাউল করিম জানান, কিছু স্থাপনা নিয়ে মামলা আছে। সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মিরকাদিমবাসী দ্রুত খনন করে খালে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, খালগুলো খনন করলে যে পরিমাণ মাটি পাওয়া যাবে তা বিক্রি করেই খননের খরচ পাওয়া সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিমের পৌর মেয়র শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে খাল খননের জন্য পৌরসভায় অর্থ বরাদ্দ নেই। জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে মাটি বিক্রি করে খননের উদ্যোগ নিতে পারি।’
জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম বলেন, ‘খাল খননের বিষয়ে মেয়রকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তবে কেউ যদি খাল থেকে মাটি কেটে নিতে চায় আমরা তাকে অনুমতি দেব।’
No comments