বীর না দানব!
ইরাকি বিদ্রোহীদের কাছে ‘দানব’ আর নিজ দলের কাছে ‘বীর’। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নেভি সিলের সদস্য ‘গুপ্তঘাতক’ ক্রিস কাইলি আসলে কী? পেন্টাগনের দাপ্তরিক হিসাব অনুযায়ী, ইরাকে ৬ বছর গুপ্তঘাতক’র (স্নাইপার) দায়িত্ব পালনকালে সে ১৬০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। আর নিজের হিসাবে তার দূরপাল্লার রাইফেলের গুলিতে নিহত মানুষের সংখ্যা ২৫৫। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স নেভি সিলে যোগ দেয়ার আগে কাইলি ছিল টেক্সাসের এক তরুণ কাউবয়। পরবর্তীকালে সে পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক গুপ্তঘাতক। যার কাজ- অপেক্ষা করা, পর্যবেক্ষণ করা আর ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা। ২০০৩ সালে তাকে ইরাকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাদের সেনাদল একটি ইরাকি শহরে ঢোকার মুখে তাকে একটি দূরপাল্লার রাইফেল দিয়ে পাহারা দেয়ার আদেশ দিয়েছিল। এ সময় একদল লোক ওই সেনাদলটিকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসে। হঠাৎ কাইলি দেখে পাশে একটি বালকসহ এক নারী তাদের সেনাদলের দিকে এগিয়ে আসছেন। নারীর হাতে একটি গ্রেনেড। নিজ সেনাদলকে বাঁচাতে মুহূর্তের সিদ্ধান্তে সে ওই নারীকে হত্যা করে। এটি ছিল তার প্রথম শিকার, প্রথম হত্যাকাণ্ড। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সে ইরাকে ছিল। ২০০৩ থেকে ২০০৯, এই ৬ বছরে সে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘গুপ্তঘাতক’ হয়ে ওঠে। তার মাথার দাম হিসেবে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ইরাকি বিদ্রোহীরা। সূত্র বিডিনিউজ
No comments