৪ মার্চ ফেনী নদী অভিমুখে জাপার লংমার্চ-কারও উপদেশ নিতে ভারতে যাই না: এরশাদ

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তিনি কারও উপদেশ নিতে ভারতে যান না। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ভারতের অনুমতি নিয়ে লংমার্চ করেছি। আমি ভারতে যাই আজমির শরিফ জিয়ারত করতে, কারও কাছ থেকে উপদেশ নেওয়ার জন্য নয়।’


গতকাল শনিবার সকালে গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় এরশাদ এ দাবি করেন।
এ ছাড়া ফেনী নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আগামী ৪ মার্চ আরেকটি লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদ।
এরশাদ অভিযোগ করেন, তিস্তা ও টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চসহ তাঁর সরকারবিরোধী বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধিতা করছি, এটাও চরম মিথ্যাচার। কারও প্রেসক্রিপশনে আমরা রাজনীতি করি না। এ কথাগুলো ছড়ানো হচ্ছে।’
তিস্তা বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি সফল করায় দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘এই কর্মসূচির পর জাপা আলোচনায় উঠে এসেছে। আমাদের উত্থানে অনেকে খুশি হয়েছে, অনেককে হতবাক করেছে। তৃতীয় শক্তির উত্থান হচ্ছে।’ তিনি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘এবার আমরা নির্বাচন করব ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, বিরোধী দলে যাওয়ার জন্য নয়।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, ‘জেলে আমাকে যে নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে কি যেতে পারি?’ বক্তৃতার এ পর্যায়ে এরশাদের লেখা একটি কবিতার রেকর্ড করা আবৃত্তি শোনানো হয়। কারাগারে থাকাবস্থায় স্বরচিত কবিতার আবৃত্তি শুনে এরশাদ আবেগাপ্লুত ও অশ্রুসজল হন।
রেকর্ড শেষ হওয়ার পর আবার বক্তৃতা শুরু করেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘অত্যাচার সহ্য করে বেঁচে আছি। এসব কথা ভাষায় বলা যাবে না, তাই কবিতায় বলেছি। আজ প্রতিশোধের কথা বলব না, যারা অত্যাচার করেছে, তাদের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।’
জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘এই আঘাতের প্রতিশোধ নিতে হবে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে।’
এ সময় কাজী জাফর আহমেদসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.