মর্যাদার লড়াইয়ে জয়ী মোহামেডান
স্পোর্টস রিপোর্টার: অবশেষে ভিক্টোরিয়ার জয়রথ থামালো সেই মোহামেডানই। গতকাল ফতুল্লায় ৭ উইকেটে হারে সাকিবের দল। ব্যাট করতে নেমে ১৯৪ রানেই অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। আর মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের টার্গেট টপকে জয় পায় নাঈম ইসলামের দল। মোহামেডান আর ভিক্টোরিয়ার খেলা মাঠে যতটা না উত্তেজনাপূর্ণ ছিল তার চেয়ে বেশি উত্তেজনা ছিল কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাদলকে ঘিরে। অন্ধ সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোহামেডানের এই সাবেক কর্মকর্তা তার নতুন দল ভিক্টোরিয়ার দল-বদলের দিনই বলেছিলেন, ‘মোহামেডানকে আমি আমৃত্যু ভালবেসে যাবো। কিন্তু আজ আমার এই অবস্থান পরিবর্তনের কারণ মোহামেডানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেই’। তাই মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে মানসিক লড়াইটা ছিল এই ম্যাচের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে নিজের গড়া দলটি তুলনামূলক দুর্বল মোহামেডানের কাছে হারায় তার মাথা হয়তো নিচুই করতে হয়েছে!
মোহামেডানের পাকিস্তানি ক্রিকেটার হাম্মাদ আজমের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের সামনে ভিক্টোরিয়ার বোলাররা ছিলেন অসহায়। ৫০ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ রান করা হাম্মাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মোহামেডান অনায়াস ৭ জয় পায়। যে দলটি এখন পর্যন্ত ছিল ‘অপরাজিত’, সবচেয়ে বেশি টানা তিনটি জয় পেয়েছিল সেই ভিস্টোরিয়া। মোহামেডানের কাছে এসে নিরুপায় হার বরণ করে নিল। মর্যাদা রক্ষার ম্যাচে মোহামেডানেরই জয় হলো।
সকালে মোহামেডান টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের অধিনায়ক নাঈম ইসলামের এই সিদ্ধান্ত যে কতটা যৌক্তিক ছিল তা ভিক্টোরিয়ার টপাটপ উইকেট পড়াতেই বোঝা যায়। ইয়াসিম মর্তুজা একাই চার উইকেট নেন! হাম্মাদ বল হাতেও চমক দেখান, ২ উইকেট শিকার করে। তার সঙ্গে নূর হোসেনও ২ উইকেট তুলে নেন।
এই তিন বোলারের তোপে পড়ে ভিক্টোরিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ৪০ রানেই তামিম (৬) ও শেহজাদের (১৮) উইকেট হারিয়ে যখন দল ধুঁকতে থাকে তখন জহুরুল-কামরান মিলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ৭২ রানের এই জুটি জহুরুলের (৫৩) আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে দলীয় ১১২ রানে ভেঙে গেলে অবস্থান মজবুত করতে পারেনি ভিক্টোরিয়া। পরবর্তী ৮২ রানেই ৭ উইকেটের পতন ঘটে যায়! কামরান সাজিদ ও সাকিব ৩৬ রান করতে সক্ষম হন। ৪০তম ওভারে ইয়াসিম হ্যাটট্রিক করার আশা জাগিয়ে তোলেন। দলীয় ১৭৯ রানে সাকিবকে আউট করার পর আরও দুটি উইকেট নেন ইয়াসিম।
জবাব দিতে নেমে প্রথমেই ২৬ রানে মোহামেডানেরও দুটি উইকেট পড়ে যায়। ওপেনার ইমতিয়াজ (৭) ও রানের খাতা খোলার আগেই উমর আমিন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ইমরুল-নাঈম মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যে ইমরুলের ৭৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানও পূরণ হয়ে যায়। দলীয় ৯২ রানে ইমরুল আউট হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার বোলাররা আর কোন উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হননি। চতুর্থ উইকেটে নাঈম-হাম্মাদ মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েই দলকে জেতান। একদিকে নাঈম উইকেট ধরে খেলেন। আরেকদিকে হাম্মাদ যেন টি-২০ খেলায় মেতে ওঠেন। ১১০ বলে ৩ চারে করা অপরাজিত ৫০ রানেই বোঝা যায় কতটা দৃঢ়তা নিয়ে খেলেন মোহামেডান অধিনায়ক নাঈম। ভিক্টোরিয়া ৮ বোলার ব্যবহার করেও হাম্মাদ নাঈমকে রুখতে পারেনি। আর তাই মোহামেডানের সামনে এসে ভিক্টোরিয়া কুলিয়ে উঠতে পারেনি। এখন পয়েন্ট তালিকায় চার ম্যাচে তিনটি করে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থানেই আছে দুই দলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া: ১৯৪/১০; ৪২.৫ ওভার (জহুরুল ৫৩, সাকিব ৩৬, কামরান ৩৬, শেহজাদ ১৮, সৌমিয় ১৫, মোশাররফ ১০; ইয়াসিম ৪/২৮, হাম্মাদ ২/২০, নূর ২/৪৮)।
মোহামেডান: ১৯৮/৩; ৪২.২ ওভার (হাম্মাদ ৮৩*, নাঈম ৫০*, ইমরুল ৫০; আল আমিন ২/৪৯)।
মোহামেডানের পাকিস্তানি ক্রিকেটার হাম্মাদ আজমের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের সামনে ভিক্টোরিয়ার বোলাররা ছিলেন অসহায়। ৫০ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৩ রান করা হাম্মাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মোহামেডান অনায়াস ৭ জয় পায়। যে দলটি এখন পর্যন্ত ছিল ‘অপরাজিত’, সবচেয়ে বেশি টানা তিনটি জয় পেয়েছিল সেই ভিস্টোরিয়া। মোহামেডানের কাছে এসে নিরুপায় হার বরণ করে নিল। মর্যাদা রক্ষার ম্যাচে মোহামেডানেরই জয় হলো।
সকালে মোহামেডান টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের অধিনায়ক নাঈম ইসলামের এই সিদ্ধান্ত যে কতটা যৌক্তিক ছিল তা ভিক্টোরিয়ার টপাটপ উইকেট পড়াতেই বোঝা যায়। ইয়াসিম মর্তুজা একাই চার উইকেট নেন! হাম্মাদ বল হাতেও চমক দেখান, ২ উইকেট শিকার করে। তার সঙ্গে নূর হোসেনও ২ উইকেট তুলে নেন।
এই তিন বোলারের তোপে পড়ে ভিক্টোরিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ৪০ রানেই তামিম (৬) ও শেহজাদের (১৮) উইকেট হারিয়ে যখন দল ধুঁকতে থাকে তখন জহুরুল-কামরান মিলে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ৭২ রানের এই জুটি জহুরুলের (৫৩) আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে দলীয় ১১২ রানে ভেঙে গেলে অবস্থান মজবুত করতে পারেনি ভিক্টোরিয়া। পরবর্তী ৮২ রানেই ৭ উইকেটের পতন ঘটে যায়! কামরান সাজিদ ও সাকিব ৩৬ রান করতে সক্ষম হন। ৪০তম ওভারে ইয়াসিম হ্যাটট্রিক করার আশা জাগিয়ে তোলেন। দলীয় ১৭৯ রানে সাকিবকে আউট করার পর আরও দুটি উইকেট নেন ইয়াসিম।
জবাব দিতে নেমে প্রথমেই ২৬ রানে মোহামেডানেরও দুটি উইকেট পড়ে যায়। ওপেনার ইমতিয়াজ (৭) ও রানের খাতা খোলার আগেই উমর আমিন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর ইমরুল-নাঈম মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যে ইমরুলের ৭৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানও পূরণ হয়ে যায়। দলীয় ৯২ রানে ইমরুল আউট হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার বোলাররা আর কোন উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হননি। চতুর্থ উইকেটে নাঈম-হাম্মাদ মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েই দলকে জেতান। একদিকে নাঈম উইকেট ধরে খেলেন। আরেকদিকে হাম্মাদ যেন টি-২০ খেলায় মেতে ওঠেন। ১১০ বলে ৩ চারে করা অপরাজিত ৫০ রানেই বোঝা যায় কতটা দৃঢ়তা নিয়ে খেলেন মোহামেডান অধিনায়ক নাঈম। ভিক্টোরিয়া ৮ বোলার ব্যবহার করেও হাম্মাদ নাঈমকে রুখতে পারেনি। আর তাই মোহামেডানের সামনে এসে ভিক্টোরিয়া কুলিয়ে উঠতে পারেনি। এখন পয়েন্ট তালিকায় চার ম্যাচে তিনটি করে জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সমান অবস্থানেই আছে দুই দলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া: ১৯৪/১০; ৪২.৫ ওভার (জহুরুল ৫৩, সাকিব ৩৬, কামরান ৩৬, শেহজাদ ১৮, সৌমিয় ১৫, মোশাররফ ১০; ইয়াসিম ৪/২৮, হাম্মাদ ২/২০, নূর ২/৪৮)।
মোহামেডান: ১৯৮/৩; ৪২.২ ওভার (হাম্মাদ ৮৩*, নাঈম ৫০*, ইমরুল ৫০; আল আমিন ২/৪৯)।
No comments