শুরু হলো স্বপ্ন দেখা
স্পোর্টস রিপোর্টার: বিসিবি’র সিইও মঞ্জুর আহমেদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নিয়ে ১ মিনিট নীরবতার পর শুরু বিপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলাম। হোটেল ওয়েস্টিনে গতকাল বেলা ১১টায় বিপিএলের ছয় দলের নিলাম হয়। অনুষ্ঠানের সব চিত্তাকর্ষক আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে একেবারেই সাদামাটাভাবে চলতে থাকে দল কেনার লড়াই। তবে খোলা চোখে নিলামকে স্বচ্ছ মনে হলেও নিন্দুকেরা বলতে ছাড়েনি যে পর্দার পিছনে হয়েছে আসলে সাজানো নাটক। এক কথায় নিলাম দেখে মনে হয়েছে, সাজানো মঞ্চে সাজানো চমক।
নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় চট্টগ্রাম আর সব চেয়ে কম দামে বিক্রি হয় বরিশাল। সর্বোচ্চ ১২ লাখ (১.২০ মিলিয়ন) ডলারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল কিনেছে এসকিউ স্পোর্টস। আর সর্বনিম্ন ১.০১ মিলিয়ন ডলারে বরিশাল বিভাগের মালিকানা পেয়েছে আলিফ গ্রুপ। এছাড়াও ১.০৫ মিলিয়ন ডলারে ঢাকা বিভাগের দল কিনেছে ইউরোপা গ্রুপ। ১.১০ ডলার দিয়ে খুলনার মালিকানা পেয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ। ডিজিটাল অটো কেয়ার ১.০৭ মিলিয়ন ডলারে রাজশাহী বিভাগের মালিকানা পেয়েছে। সিলেট বিভাগের স্বত্ব পেয়েছে ওয়ালটন লিমিটেড। এজন্য তাদেরকে খরচ করতে হচ্ছে ১.০৬ মিলিয়ন ডলার। নিলামে অংশ নেয়া দল কেনার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান। আলিফ গ্রুপ, এসকিউ স্পোর্টস, ইউরোপা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, ডিজিটাল অটো কেয়ার, ওয়ালটন, ইউরো ইমপেক্স, সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল ও পার্ল ট্রেডিং। তাদের মধ্যে দল কিনতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরো ইমপেক্স, সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল ও পার্ল ট্রেডিং।
বর্ণানুক্রমে শুরুতেই বরিশালে কোন কোন প্রতিষ্ঠান কেনার জন্য দাম দিয়েছে তাদের নাম ও মূল্য জানানো হয়। সবার সামনে উন্মুক্ত এই নিলাম প্রক্রিয়ায় শুরুতেই লজ্জা উপহার দেন যেন সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল। যেখানে দল কিনতে হলে সর্বনিম্ন এক মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮ কোটি টাকা দর দিতে হবে। সেখানে সাউদার্ন .৯০ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়! আগেই বাদ পড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। তাদের চেয়ে বেশি দামে আলিফ গ্রুপ কিনে নেয় বরিশাল। চট্টগ্রামের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। ডিজিটাল অটো কেয়ার ১ মিলিয়ন ও ১.০৫ মিলিয়ন দাম দেয়া পার্ল গ্রুপকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে এসকিউ চট্টগ্রাম কিনে।
নিলামের আগের দিন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর বলেছিলেন, ‘সব চমক উন্মুক্ত হবে নিলামের সময়ই।’ তবে তার কথানুসারে সেই চমক খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ নিলামে অংশ নেয়া কোন দলই চমক দেখাতে পারেনি তাদের দল কেনার মূল্য দিয়ে। আশা করা হয়েছিল, নির্ধারিত ১ মিলিয়ন ডলারের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে কিনে নিবে দল। এতে থাকবে ভীষণ লড়াইও। কিন্তু নিলামে অংশ নেয়া ৯টি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানের কেউই খুব বেশি বড় ব্যবধানে তাদের বিট প্রাইজ দাখিল করেনি। যে কারণে ১২ লাখ (১.২০ মিলিয়ন) ডলারের বেশি কোন দলই যেতে পারেনি। তবে নিলাম শেষে তিনি এই নিলাম প্রক্রিয় নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে এই কাজাটি শেষ করতে পেরেছি।’
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এতবড় একটি আসরের দল কিনতে পেরে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। নিজেদের স্বপ্ন আর অনুভূতি ও পরবর্তী লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন তারা। এর পাশাপাশি নিজ নিজ দল গঠন এবং তা নিয়ে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের একটা রূপরেখা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন তারা। মূলত দল কেনার পর এখন তা নিয়ে বোনা হচ্ছে নানা স্বপ্ন যা আলোকিত করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।
ঢাকা: ঢাকা নিয়ে হতাশই হতে হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। যার মধ্যে ডিজিটাল অটো কেয়ার এখানেও হারে। ১ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। ইউরোপা গ্রুপ তারচেয়ে বেশি দাম দিয়ে ঢাকা কিনে। ইউরোপা গ্রুপের চেয়ারম্যান সিহাব হোসাইন চৌধুরী জানান, দলের প্রধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। ঢাকা কেনার বিষয়ে তার পরিবারের সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা দেশের প্রাণকেন্দ্র। এখানেই বেশির ভাগ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বেশি দর্শক ও ক্রিকেটার ঢাকার। এ কারণে আমাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকার দিকে।’
চট্টগ্রাম: ডিজিটাল অটো কেয়ার ১ মিলিয়ন ও ১.০৫ মিলিয়ন দাম দেয়া পার্ল গ্রুপকে পিছনে ফেলে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নিজস্ব কোম্পানি ‘এসকিউ স্পোর্টস’ চট্টগ্রাম কিনে নিয়েছে। নিলামের পর কোম্পানির সিএফও আলী আহসান মাহবুব বলেন, ‘আমরা আগেও চট্টগ্রাম কিনেছিলাম। সেবার পোর্ট সিটি লীগ (পিসিএল) খেলেছিল দলটি।’
খুলনা: খুলনা দলটি কেনার জন্য সাউদার্ন ১.০৩ মিলিয়ন ডলার, পার্ল ১.০২ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। এই দুই প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে ওরিয়ন খুলনা দল কিনতে সক্ষম হয়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খুলনা দলের আইকন আর এ বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ওরিয়নের প্রতিনিধি তানভীর কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেয়ে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি। একাধারে আমরা তার কাছ থেকে ব্যাটিং ও বোলিং দুটোই সমানভাবে পাবো। ‘তিনি জানান, খুলনাতে ‘সুন্দর’ শব্দটির গভীর সম্পর্ক রয়েছে কারণ সুন্দরবন এখানেই অবস্থিত। যে কারণে তারা খুলনা কিনতে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানান তানভীর। দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে আমরা এ আসরেই খেলার সুযোগ দিতে চাই।
রাজশাহী: রাজশাহী দলটি কিনতে মোটামুটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় বলা চলে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরো ইমপেক্স ১.০৫ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। তার চেয়ে কম মূল্য দেয় পার্ল গ্রুপ ১.০২ মিলিয়ন ডলার। আর ডিজিটাল অটো কেয়ার এবার রাজশাহী দলটি পেয়ে যায়। ডিজিটাল অটোর কর্ণধার সিরাজগঞ্জের ছেলে মুশফিকুর রহমান মোহন রাজশাহী দল কিনে নেয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে তার দলের সকল দায়িত্ব আতহার আলী ও ফারুক আহমেদের উপর ছেড়ে দিলেন। এবার মূল দল গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করবেন তারাই। আর আমরা স্থানীয় কোচ হিসেবে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করছি।
বরিশাল: দল কিনতে গিয়ে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে আলিফ গ্রুপ। তারা সর্বনিম্ন মূল্যেই পেয়েছে বরিশাল বিভাগকে। তবে সর্বনিম্ন মূল্যে পাওয়াতে আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বরং ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সব টাকা শুধু দল কেনার জন্যই ব্যবহার করি তবে ক্রিকেটারদের উন্নয়নের জন্য এবং দল পরিচালনার ক্ষেত্রে ফান্ডের সমস্যায় পড়তাম। কিন্তু এখন ওই জন্য যে টাকা ছিল সেটার সঙ্গে এই টাকাও যোগ হয়ে ওই খাতে পরিমাণটা বেড়ে গেল। এখন আমরা দল ভালভাবে গোছাতে পারবো।’ তিনি জানান, বরিশালের যোগ্য রাজনীতিক ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেই বরিশালর দল কেনার প্রতি আগ্রহ ছিল তার।
সিলেট: সর্বশেষ সিলেট দলটি নিয়েও তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরোপা ১.০৩ মিলিয়ন ডলার, সাউদার্ন ১.০২ মিলিয়ন ডলার দাম দিয়েও দল পায়নি। কারণ, ওয়ালটন তাদের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে সিলেট দলটি কিনে নেয়। ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সিলেট বিভাগের বিশেষ মর্যাদা আছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের গুরুত্ব শুধু এই দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বাইরেও সিলেটের সুনাম আছে। এবার ক্রিকেটের মাধ্যমেও সিলেটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ক্রিকেটারদের জন্য ইনডোর সুবিধাকে উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো।’
নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় চট্টগ্রাম আর সব চেয়ে কম দামে বিক্রি হয় বরিশাল। সর্বোচ্চ ১২ লাখ (১.২০ মিলিয়ন) ডলারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল কিনেছে এসকিউ স্পোর্টস। আর সর্বনিম্ন ১.০১ মিলিয়ন ডলারে বরিশাল বিভাগের মালিকানা পেয়েছে আলিফ গ্রুপ। এছাড়াও ১.০৫ মিলিয়ন ডলারে ঢাকা বিভাগের দল কিনেছে ইউরোপা গ্রুপ। ১.১০ ডলার দিয়ে খুলনার মালিকানা পেয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ। ডিজিটাল অটো কেয়ার ১.০৭ মিলিয়ন ডলারে রাজশাহী বিভাগের মালিকানা পেয়েছে। সিলেট বিভাগের স্বত্ব পেয়েছে ওয়ালটন লিমিটেড। এজন্য তাদেরকে খরচ করতে হচ্ছে ১.০৬ মিলিয়ন ডলার। নিলামে অংশ নেয়া দল কেনার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান। আলিফ গ্রুপ, এসকিউ স্পোর্টস, ইউরোপা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, ডিজিটাল অটো কেয়ার, ওয়ালটন, ইউরো ইমপেক্স, সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল ও পার্ল ট্রেডিং। তাদের মধ্যে দল কিনতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরো ইমপেক্স, সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল ও পার্ল ট্রেডিং।
বর্ণানুক্রমে শুরুতেই বরিশালে কোন কোন প্রতিষ্ঠান কেনার জন্য দাম দিয়েছে তাদের নাম ও মূল্য জানানো হয়। সবার সামনে উন্মুক্ত এই নিলাম প্রক্রিয়ায় শুরুতেই লজ্জা উপহার দেন যেন সাউদার্ন ইন্টারন্যাশনাল। যেখানে দল কিনতে হলে সর্বনিম্ন এক মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮ কোটি টাকা দর দিতে হবে। সেখানে সাউদার্ন .৯০ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়! আগেই বাদ পড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। তাদের চেয়ে বেশি দামে আলিফ গ্রুপ কিনে নেয় বরিশাল। চট্টগ্রামের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। ডিজিটাল অটো কেয়ার ১ মিলিয়ন ও ১.০৫ মিলিয়ন দাম দেয়া পার্ল গ্রুপকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে এসকিউ চট্টগ্রাম কিনে।
নিলামের আগের দিন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর বলেছিলেন, ‘সব চমক উন্মুক্ত হবে নিলামের সময়ই।’ তবে তার কথানুসারে সেই চমক খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ নিলামে অংশ নেয়া কোন দলই চমক দেখাতে পারেনি তাদের দল কেনার মূল্য দিয়ে। আশা করা হয়েছিল, নির্ধারিত ১ মিলিয়ন ডলারের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে কিনে নিবে দল। এতে থাকবে ভীষণ লড়াইও। কিন্তু নিলামে অংশ নেয়া ৯টি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানের কেউই খুব বেশি বড় ব্যবধানে তাদের বিট প্রাইজ দাখিল করেনি। যে কারণে ১২ লাখ (১.২০ মিলিয়ন) ডলারের বেশি কোন দলই যেতে পারেনি। তবে নিলাম শেষে তিনি এই নিলাম প্রক্রিয় নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে এই কাজাটি শেষ করতে পেরেছি।’
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এতবড় একটি আসরের দল কিনতে পেরে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। নিজেদের স্বপ্ন আর অনুভূতি ও পরবর্তী লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন তারা। এর পাশাপাশি নিজ নিজ দল গঠন এবং তা নিয়ে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের একটা রূপরেখা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন তারা। মূলত দল কেনার পর এখন তা নিয়ে বোনা হচ্ছে নানা স্বপ্ন যা আলোকিত করবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।
ঢাকা: ঢাকা নিয়ে হতাশই হতে হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। যার মধ্যে ডিজিটাল অটো কেয়ার এখানেও হারে। ১ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। ইউরোপা গ্রুপ তারচেয়ে বেশি দাম দিয়ে ঢাকা কিনে। ইউরোপা গ্রুপের চেয়ারম্যান সিহাব হোসাইন চৌধুরী জানান, দলের প্রধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। ঢাকা কেনার বিষয়ে তার পরিবারের সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা দেশের প্রাণকেন্দ্র। এখানেই বেশির ভাগ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বেশি দর্শক ও ক্রিকেটার ঢাকার। এ কারণে আমাদের লক্ষ্য ছিল ঢাকার দিকে।’
চট্টগ্রাম: ডিজিটাল অটো কেয়ার ১ মিলিয়ন ও ১.০৫ মিলিয়ন দাম দেয়া পার্ল গ্রুপকে পিছনে ফেলে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নিজস্ব কোম্পানি ‘এসকিউ স্পোর্টস’ চট্টগ্রাম কিনে নিয়েছে। নিলামের পর কোম্পানির সিএফও আলী আহসান মাহবুব বলেন, ‘আমরা আগেও চট্টগ্রাম কিনেছিলাম। সেবার পোর্ট সিটি লীগ (পিসিএল) খেলেছিল দলটি।’
খুলনা: খুলনা দলটি কেনার জন্য সাউদার্ন ১.০৩ মিলিয়ন ডলার, পার্ল ১.০২ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। এই দুই প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে ওরিয়ন খুলনা দল কিনতে সক্ষম হয়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান খুলনা দলের আইকন আর এ বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ওরিয়নের প্রতিনিধি তানভীর কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সাকিবের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেয়ে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি। একাধারে আমরা তার কাছ থেকে ব্যাটিং ও বোলিং দুটোই সমানভাবে পাবো। ‘তিনি জানান, খুলনাতে ‘সুন্দর’ শব্দটির গভীর সম্পর্ক রয়েছে কারণ সুন্দরবন এখানেই অবস্থিত। যে কারণে তারা খুলনা কিনতে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানান তানভীর। দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে আমরা এ আসরেই খেলার সুযোগ দিতে চাই।
রাজশাহী: রাজশাহী দলটি কিনতে মোটামুটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় বলা চলে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরো ইমপেক্স ১.০৫ মিলিয়ন ডলার দাম দেয়। তার চেয়ে কম মূল্য দেয় পার্ল গ্রুপ ১.০২ মিলিয়ন ডলার। আর ডিজিটাল অটো কেয়ার এবার রাজশাহী দলটি পেয়ে যায়। ডিজিটাল অটোর কর্ণধার সিরাজগঞ্জের ছেলে মুশফিকুর রহমান মোহন রাজশাহী দল কিনে নেয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে তার দলের সকল দায়িত্ব আতহার আলী ও ফারুক আহমেদের উপর ছেড়ে দিলেন। এবার মূল দল গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করবেন তারাই। আর আমরা স্থানীয় কোচ হিসেবে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করছি।
বরিশাল: দল কিনতে গিয়ে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে আলিফ গ্রুপ। তারা সর্বনিম্ন মূল্যেই পেয়েছে বরিশাল বিভাগকে। তবে সর্বনিম্ন মূল্যে পাওয়াতে আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বরং ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সব টাকা শুধু দল কেনার জন্যই ব্যবহার করি তবে ক্রিকেটারদের উন্নয়নের জন্য এবং দল পরিচালনার ক্ষেত্রে ফান্ডের সমস্যায় পড়তাম। কিন্তু এখন ওই জন্য যে টাকা ছিল সেটার সঙ্গে এই টাকাও যোগ হয়ে ওই খাতে পরিমাণটা বেড়ে গেল। এখন আমরা দল ভালভাবে গোছাতে পারবো।’ তিনি জানান, বরিশালের যোগ্য রাজনীতিক ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেই বরিশালর দল কেনার প্রতি আগ্রহ ছিল তার।
সিলেট: সর্বশেষ সিলেট দলটি নিয়েও তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউরোপা ১.০৩ মিলিয়ন ডলার, সাউদার্ন ১.০২ মিলিয়ন ডলার দাম দিয়েও দল পায়নি। কারণ, ওয়ালটন তাদের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে সিলেট দলটি কিনে নেয়। ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সিলেট বিভাগের বিশেষ মর্যাদা আছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের গুরুত্ব শুধু এই দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বাইরেও সিলেটের সুনাম আছে। এবার ক্রিকেটের মাধ্যমেও সিলেটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ক্রিকেটারদের জন্য ইনডোর সুবিধাকে উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো।’
No comments