দায় ইলিয়েভস্কিরই
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতার কারণ উদ্ঘাটন করে প্রতিবেদন তৈরি করছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। ব্যর্থতার জন্য কোচকেই বেশি দায়ী করা হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দল ব্যর্থ হওয়ার পর মেসেডোনিয়ান কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কিকে কৌশলে বিদায় করেছে বাফুফে। অন্তরে যাই থাকুক, যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসেডোনিয়ান এ ভদ্রলোক বলেছেন, তিনি নিজ থেকেই চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছেন।
কোচ বিদায়ের বদনাম থেকে দূরে থাকার জন্যই এ পথে হেঁটেছে বাফুফে। দিলি্ল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর বাফুফে কর্মকর্তারা যে যার মতো করে কোচের ওপরই দায় চাপিয়েছেন। দায়টা এখন আনুষ্ঠানিকভাবেও যাচ্ছে ইলিয়েভস্কির ঘাড়ে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি সাফ ব্যর্থতার যে কারণ উদ্ঘাটন করেছে, সেখানে কোচকেই সিংহভাগ দায়ী করা হয়েছে। ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করতে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ তিনটির ভিডিও দেখেছে একাধিকবার। দলনেতা, সহকারী কোচ ও ম্যানেজারের রিপোর্ট পর্যালোচনার পাশাপাশি জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি কথা বলেছে অধিনায়ক, সহকারী অধিনায়ক এবং দিলি্লতে খেলা দেখতে যাওয়া আরও কয়েকজনের সঙ্গে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হাসানুজ্জামান খান বাবলু জানান, সব কিছু পর্যালোচনা করে তারা ব্যর্থতার কারণ হিসেবে কোচের ভূমিকাকেই সিংহভাগ দায়ী করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন বাফুফে সভাপতির কাছে।
কোচের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়েছে অনেক সময় পাওয়ার পরও একটি একাদশ তৈরি করতে না পারাকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতি ম্যাচেই একাদশ পরিবর্তন করেছেন। সাফের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা গেছে দুই অর্ধে দুই একাদশ খেলিয়েছেন। কোচের এই অস্থিরতার প্রভাব দলে পড়েছে বলেও ধরে নিয়েছে কমিটি। এমিলি-মিঠুনকে দলে না নেওয়ার কথা একাধিকবার বলেও শেষ মুহূর্তে তাদের ডেকেছিলেন কোচ। তাদের যখন নেওয়াই হলো তাহলে আগে কেন ডাকা হয়নি_ এ প্রশ্নও উঠেছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বশেষ সভায়। ব্যর্থতার জন্য খেলোয়াড়দের কমিটমেন্টের অভাব ছিল বলেও চিহ্নিত করেছে কমিটি। ব্যর্থতার পেছনে কয়েকজন খেলোয়াড়ের স্বার্থপরতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা দলের চেয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ম্যানেজার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা ঠিক হয়নি বলে উপলব্ধি করেছে কমিটি। নতুন খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন তেমন নেই। যে কারণে কমিটি বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি আরও জোরদার করার সুপারিশ করবে ওই প্রতিবেদনে।
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি সাফ ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কিছু সুপারিশও করছে বাফুফেকে। এর অন্যতম আগামীতে বিদেশি কোচ নিয়োগ দিলে তা যেন দীর্ঘ মেয়াদের হয়। এ ক্ষেত্রে জর্জ কোটানের সময়কালের কথা আলোচনা হয় সভায়। এ অস্ট্রিয়ান কোচের অধীনেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল। কমিটি মনে করেছে স্বল্প মেয়াদে কোচ নিয়োগ দিয়ে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি কোচকে ঢালাও স্বাধীনতা না দেওয়ার পক্ষে কমিটি। বিশেষ করে বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে বিষয়টি যাতে গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়, সে সুপারিশ করছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। নতুন কোচ বিদেশি হলে সব খেলোয়াড় চিনেন না। যে কারণে খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজটি নিজেদের করাই ভালো মনে করেছেন কমিটির সদস্যরা। কমিটির ওই সদস্য জানিয়েছেন, বিদেশি কোচ হলে তার হাতে ৩৫ থেকে ৪০ জন খেলোয়াড় বাছাই করে দেওয়া উচিত। তবে নতুন বিদেশি কোচ কবে নাগাদ দেখা যেতে পারে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২২ এশিয়ান কাপ ছাড়া এ বছর তেমন কোনো আন্তর্জাতিক সিডিউল নেই। তাই এখনই নতুন করে বিদেশি কোচের কথা ভাবছে না বাফুফে।
কোচের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়েছে অনেক সময় পাওয়ার পরও একটি একাদশ তৈরি করতে না পারাকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রতি ম্যাচেই একাদশ পরিবর্তন করেছেন। সাফের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা গেছে দুই অর্ধে দুই একাদশ খেলিয়েছেন। কোচের এই অস্থিরতার প্রভাব দলে পড়েছে বলেও ধরে নিয়েছে কমিটি। এমিলি-মিঠুনকে দলে না নেওয়ার কথা একাধিকবার বলেও শেষ মুহূর্তে তাদের ডেকেছিলেন কোচ। তাদের যখন নেওয়াই হলো তাহলে আগে কেন ডাকা হয়নি_ এ প্রশ্নও উঠেছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বশেষ সভায়। ব্যর্থতার জন্য খেলোয়াড়দের কমিটমেন্টের অভাব ছিল বলেও চিহ্নিত করেছে কমিটি। ব্যর্থতার পেছনে কয়েকজন খেলোয়াড়ের স্বার্থপরতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা দলের চেয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ম্যানেজার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা ঠিক হয়নি বলে উপলব্ধি করেছে কমিটি। নতুন খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন তেমন নেই। যে কারণে কমিটি বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি আরও জোরদার করার সুপারিশ করবে ওই প্রতিবেদনে।
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি সাফ ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কিছু সুপারিশও করছে বাফুফেকে। এর অন্যতম আগামীতে বিদেশি কোচ নিয়োগ দিলে তা যেন দীর্ঘ মেয়াদের হয়। এ ক্ষেত্রে জর্জ কোটানের সময়কালের কথা আলোচনা হয় সভায়। এ অস্ট্রিয়ান কোচের অধীনেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল। কমিটি মনে করেছে স্বল্প মেয়াদে কোচ নিয়োগ দিয়ে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি কোচকে ঢালাও স্বাধীনতা না দেওয়ার পক্ষে কমিটি। বিশেষ করে বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে বিষয়টি যাতে গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়, সে সুপারিশ করছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। নতুন কোচ বিদেশি হলে সব খেলোয়াড় চিনেন না। যে কারণে খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজটি নিজেদের করাই ভালো মনে করেছেন কমিটির সদস্যরা। কমিটির ওই সদস্য জানিয়েছেন, বিদেশি কোচ হলে তার হাতে ৩৫ থেকে ৪০ জন খেলোয়াড় বাছাই করে দেওয়া উচিত। তবে নতুন বিদেশি কোচ কবে নাগাদ দেখা যেতে পারে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অনূর্ধ্ব-২২ এশিয়ান কাপ ছাড়া এ বছর তেমন কোনো আন্তর্জাতিক সিডিউল নেই। তাই এখনই নতুন করে বিদেশি কোচের কথা ভাবছে না বাফুফে।
No comments