সর্বগ্রাসী দলীয়করণঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবসও বাদ গেল না
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আমাদের অহঙ্কার। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর এই প্রতিষ্ঠান দলমত গোত্র-ধর্ম নির্বিশেষে গোটা জাতির সমর্থনকে ধারণ করে দেশ রক্ষায় অকুতোভয় ভূমিকা পালন করবে এটাই প্রত্যাশিত। সে প্রত্যাশা থেকেই সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য রাখার চেষ্টা সবসময় লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এবার তার ব্যতিক্রম ঘটে গেল মহাজোট সরকারের অঙ্গুলি হেলনে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়ে সরকার দলীয়করণ শুরু করেছে প্রথম থেকেই। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংগঠন, সমিতি, প্রতিষ্ঠানই এর আছর থেকে বাইরে থাকতে পারেনি। কিন্তু দলীয়করণের এই ঢেউ যে সেনাকুঞ্জেও আঘাত হানবে, তা ভাবা কষ্টকর ছিল বৈকি। অথচ বাস্তবে তারই স্থূল বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে কেন্দ্র করে।
গত শনিবার যথাযোগ্য আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অনুষ্ঠানটির খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে অতীতের ধারা বদলে এবারই প্রথম সরকার সমর্থক পত্রিকা ছাড়া অন্যদের বঞ্চিত করা হলো। বহুল প্রচারিত বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিককে ক্রোড়পত্র দেয়া হয়নি। সেসব পত্রিকার সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। অতীতে এ ধরনের সব অনুষ্ঠানেই প্রথম শ্রেণীর দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের দাওয়াত দেয়া হতো। এবার প্রচার সংখ্যার শীর্ষে অবস্থানকারী ৫টি পত্রিকার দুটিকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে। এর মধ্যে তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী আমার দেশও রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের মতো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এ ধরনের নজিরবিহীন বৈষম্যকে সংকীর্ণতার পরাকাষ্ঠা না বলে পারা যায় না।
বিষয়টি এজন্য গুরুত্ব দাবি করে যে, এ ধরনের দলীয়করণ অনাকাঙ্ক্ষিত বিভক্তির সৃষ্টি করলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। অতীতে আমরা তেমন অতল গহ্বরে পড়তে গিয়েও আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। মহাজোট সরকারের এগারো মাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ শুধু দলীয়করণই নয়, আত্মীয়করণের দোষেও দুষ্ট। ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়েও এর বিষময় প্রতিক্রিয়া মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারকে বিতর্কিত করেছে। এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসকেও তার অন্তর্ভুক্ত করা হলো। দেশের সশস্ত্র বাহিনী সব সময়ই দল-মতের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। এর ব্যত্যয় কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমানে ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব জাতীয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনায় কাঙ্ক্ষিত পরিপকস্ফতা না দেখিয়ে তাদের পুরনো নীতিকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। দিনবদলের কথা নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক স্লোগান বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ফলে অতীতের মতো এবারও দলীয়করণের অপচেষ্টা সব জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করছে। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। একে যদি কেউ একদলীয় বাকশালী শাসনের আভাস বলে মনে করে তবে তাকে কি দোষ দেয়া যাবে? দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ক্রমেই জনমনে তেমন আশঙ্কাকেই গভীর করে তুলছে। বিষয়টি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক, সেটা বলতেই হয়।
গত শনিবার যথাযোগ্য আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অনুষ্ঠানটির খবর সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে অতীতের ধারা বদলে এবারই প্রথম সরকার সমর্থক পত্রিকা ছাড়া অন্যদের বঞ্চিত করা হলো। বহুল প্রচারিত বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিককে ক্রোড়পত্র দেয়া হয়নি। সেসব পত্রিকার সাংবাদিকদের ডাকা হয়নি। অতীতে এ ধরনের সব অনুষ্ঠানেই প্রথম শ্রেণীর দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের দাওয়াত দেয়া হতো। এবার প্রচার সংখ্যার শীর্ষে অবস্থানকারী ৫টি পত্রিকার দুটিকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে। এর মধ্যে তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী আমার দেশও রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের মতো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এ ধরনের নজিরবিহীন বৈষম্যকে সংকীর্ণতার পরাকাষ্ঠা না বলে পারা যায় না।
বিষয়টি এজন্য গুরুত্ব দাবি করে যে, এ ধরনের দলীয়করণ অনাকাঙ্ক্ষিত বিভক্তির সৃষ্টি করলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। অতীতে আমরা তেমন অতল গহ্বরে পড়তে গিয়েও আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। মহাজোট সরকারের এগারো মাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ শুধু দলীয়করণই নয়, আত্মীয়করণের দোষেও দুষ্ট। ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়েও এর বিষময় প্রতিক্রিয়া মানুষের দুর্ভোগ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারকে বিতর্কিত করেছে। এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসকেও তার অন্তর্ভুক্ত করা হলো। দেশের সশস্ত্র বাহিনী সব সময়ই দল-মতের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে। এর ব্যত্যয় কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমানে ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব জাতীয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনায় কাঙ্ক্ষিত পরিপকস্ফতা না দেখিয়ে তাদের পুরনো নীতিকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। দিনবদলের কথা নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক স্লোগান বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ফলে অতীতের মতো এবারও দলীয়করণের অপচেষ্টা সব জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করছে। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। একে যদি কেউ একদলীয় বাকশালী শাসনের আভাস বলে মনে করে তবে তাকে কি দোষ দেয়া যাবে? দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ক্রমেই জনমনে তেমন আশঙ্কাকেই গভীর করে তুলছে। বিষয়টি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক, সেটা বলতেই হয়।
No comments