প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জাবি ছাত্রলীগ! by ইমদাদ হক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নানা অপকর্ম করছে। অভিযোগ রয়েছে, উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ছাত্র সংগঠনটির একটি গ্রুপ বারবার নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেও তাদের নানা কৌশলে বাঁচিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, নিয়ন্ত্রণহীন জাবি ছাত্রলীগের দায় নেবে কে? কার্যক্রম স্থগিতের দোহাই দিয়ে দায়ভার এড়াতে চায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি। অন্যদিকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনীত হন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। এরপর থেকে একক আধিপত্য বিস্তারে তিনি নানা কার্যক্রম নিতে শুরু করেন। এর অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ। ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ক্যাম্পাসে
ছাত্রলীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত গ্রুপগুলো বিশেষ অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জ কোরামের নাহিদুজ্জামান খান সাগর, শেখ নিয়ামুুল পারভেজ, এসএম শামীমকে নিয়ে গড়ে ওঠে বেপরোয়া একটি বাহিনী।
এদিকে ২০১০ সালের ১৯ মে রাশেদুল ইসলাম শাফিনকে সভাপতি ও নির্ঝর আলম সাম্যকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই কমিটির নেতৃত্বে অনুপস্থিত থাকেন গোপালগঞ্জ কোরামের নেতাকর্মীরা। উপাচার্য বলয়ের প্রভাবশালী এক শিক্ষক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে উপাচার্য আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে ঘোষিত তৎকালীন কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি।
২০১০ সালের ৫ জুলাই সংঘটিত হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট সূত্র। এরপর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দু'শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়। ৬ জন আজীবনসহ ২৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গোপালগঞ্জ কোরামের শেখ শরীফুল ইসলাম, এসএম শামীম ও নেয়ামুল পারভেজকে দিয়ে গঠন করা হয় আধিপত্য বিস্তারকারী বাহিনী। এর মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় নেয়ামুল পারভেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেও রয়ে গেছেন অপর দু'জন। সঙ্গে যোগ দেন ছাত্রত্ব শেষ হওয়া অপর নেতা আজগর আলী।
ছাত্রলীগ নামধারী নেতাকর্মীদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একের পর এক অপকর্ম করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এসএম শামীম ও মেহেদী হাসান সম্রাটকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরদিন থেকে শুরু হয় এক মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি। গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়, মঈন ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার হন। এ সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
এছাড়া যৌন হয়রানির দায়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফেরদৌস রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব, আফম কামাল উদ্দিন হলের ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজুল ইসলাম ও নুরুন্নবী নবীন, মোঃ আশিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী মমিন উদ্দিন, রাবিব হাসান, রসায়ন বিভাগের ছাত্র জিকুর নেতৃত্বে অনিক সরকার সম্পদ, সাইফুল ইসলাম অপু অভিযুক্ত হয়ে বহিষ্কার হন। এদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যও ছাত্রদল কর্মীদের নিতে হয় বিশেষ নিরাপত্তা। পরীক্ষার হলগুলোতে গিয়ে খুুঁজে খুঁজে ছাত্রদল কর্মীদের নির্যাতন করলেও এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।
এছাড়া জাকসুর সাবেক নেতা ও ছাত্রদলের মোখলেছুর রহমান ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। এক্ষেত্রেও দায় এড়ানোর অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের স্থগিতকৃত কমিটির সহ-সভাপতি রাশেদ রেজা ডিকেনকে ভাসানী হলে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আনুকূল্যে পার পেয়ে যান আজগর আলী।
গত নভেম্বরে জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহমেদ রিয়াদকে মারধর করে সজীব, সোহেল, শামীম, রোজেনসহ ৫/৬ ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ৩ মাসের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হলেও তারা এখনও ক্যাম্পাস দাবড়ে বেড়াচ্ছে।
ছাত্রলীগের রাজনীতির ব্যাপারে অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ বলেন, বলা হচ্ছে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নেই। তাহলে হলের গেটে তালা লাগিয়ে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে আসতে বাধ্য করে, তারা কারা? অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, যেহেতু এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এখন জনসমক্ষে দায় অস্বীকার শোভনীয় নয়।
সাবেক উপাচার্য খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলীয় লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষসহসহ সব পদে দলীয় শিক্ষকদের বসিয়েছেন, যা ন্যক্কারজনক।
যারা ক্ষমতা ব্যবহার করে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ ফরহাদ হোসেন।
স্থগিতকৃত কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য বলেন, ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বিশেষ দয়া নিয়ে একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে। এদিকে খুন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গতকাল এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রের অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ছাত্রলীগ সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। প্রশাসনের নির্দেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বিশেষ অঞ্চলের গ্রুপ তৈরি ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ছাত্রলীগের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত গ্রুপগুলো বিশেষ অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জ কোরামের নাহিদুজ্জামান খান সাগর, শেখ নিয়ামুুল পারভেজ, এসএম শামীমকে নিয়ে গড়ে ওঠে বেপরোয়া একটি বাহিনী।
এদিকে ২০১০ সালের ১৯ মে রাশেদুল ইসলাম শাফিনকে সভাপতি ও নির্ঝর আলম সাম্যকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই কমিটির নেতৃত্বে অনুপস্থিত থাকেন গোপালগঞ্জ কোরামের নেতাকর্মীরা। উপাচার্য বলয়ের প্রভাবশালী এক শিক্ষক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে উপাচার্য আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের কাছে ঘোষিত তৎকালীন কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি।
২০১০ সালের ৫ জুলাই সংঘটিত হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট সূত্র। এরপর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দু'শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়। ৬ জন আজীবনসহ ২৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গোপালগঞ্জ কোরামের শেখ শরীফুল ইসলাম, এসএম শামীম ও নেয়ামুল পারভেজকে দিয়ে গঠন করা হয় আধিপত্য বিস্তারকারী বাহিনী। এর মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় নেয়ামুল পারভেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেও রয়ে গেছেন অপর দু'জন। সঙ্গে যোগ দেন ছাত্রত্ব শেষ হওয়া অপর নেতা আজগর আলী।
ছাত্রলীগ নামধারী নেতাকর্মীদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একের পর এক অপকর্ম করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে নামমাত্র ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এসএম শামীম ও মেহেদী হাসান সম্রাটকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরদিন থেকে শুরু হয় এক মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি। গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়, মঈন ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার হন। এ সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
এছাড়া যৌন হয়রানির দায়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফেরদৌস রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব, আফম কামাল উদ্দিন হলের ছাত্রলীগ কর্মী মিরাজুল ইসলাম ও নুরুন্নবী নবীন, মোঃ আশিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী মমিন উদ্দিন, রাবিব হাসান, রসায়ন বিভাগের ছাত্র জিকুর নেতৃত্বে অনিক সরকার সম্পদ, সাইফুল ইসলাম অপু অভিযুক্ত হয়ে বহিষ্কার হন। এদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যও ছাত্রদল কর্মীদের নিতে হয় বিশেষ নিরাপত্তা। পরীক্ষার হলগুলোতে গিয়ে খুুঁজে খুঁজে ছাত্রদল কর্মীদের নির্যাতন করলেও এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।
এছাড়া জাকসুর সাবেক নেতা ও ছাত্রদলের মোখলেছুর রহমান ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। এক্ষেত্রেও দায় এড়ানোর অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের স্থগিতকৃত কমিটির সহ-সভাপতি রাশেদ রেজা ডিকেনকে ভাসানী হলে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আনুকূল্যে পার পেয়ে যান আজগর আলী।
গত নভেম্বরে জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহমেদ রিয়াদকে মারধর করে সজীব, সোহেল, শামীম, রোজেনসহ ৫/৬ ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ৩ মাসের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হলেও তারা এখনও ক্যাম্পাস দাবড়ে বেড়াচ্ছে।
ছাত্রলীগের রাজনীতির ব্যাপারে অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ বলেন, বলা হচ্ছে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নেই। তাহলে হলের গেটে তালা লাগিয়ে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে আসতে বাধ্য করে, তারা কারা? অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, যেহেতু এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এখন জনসমক্ষে দায় অস্বীকার শোভনীয় নয়।
সাবেক উপাচার্য খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দলীয় লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষসহসহ সব পদে দলীয় শিক্ষকদের বসিয়েছেন, যা ন্যক্কারজনক।
যারা ক্ষমতা ব্যবহার করে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ ফরহাদ হোসেন।
স্থগিতকৃত কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য বলেন, ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বিশেষ দয়া নিয়ে একটি গ্রুপ ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে। এদিকে খুন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গতকাল এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রের অবসানের দাবি জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ছাত্রলীগ সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। প্রশাসনের নির্দেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বিশেষ অঞ্চলের গ্রুপ তৈরি ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
No comments