র ঙ বে র ঙ-পতঙ্গভুক গাছ
প্রকৃতির সবকিছুই সুন্দর। বিশেষত উদ্ভিদ জগৎ। তবে এর কিছু উপাদান ভীষণ ভয়ঙ্কর। অবশ্য সেগুলোকে আমরা ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য বলেই আখ্যায়িত করি। এমনই একটি উদ্ভিদ 'কোবরা লিলি', যা দেখতে খুব সুন্দর। তবে ভয়ঙ্কর। কিং কোবরার মতোই সারাক্ষণ ফণা তুলে থাকে। অবশ্য উদ্ভিদটির স্বভাবও আগ্রাসী অর্থাৎ মাংসাশী। কীটপতঙ্গ উদ্ভিদটির ওপর বসলে আর রক্ষা নেই।
মুহূর্তেই সাবাড়! এ উদ্ভিদটি প্রথম চোখে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উদ্ভিদবিদ উইলিয়াম ডারলিংটন ব্রোকনরিজের চোখে। তিনি ১৮৪১ সালে সাস্তা পর্বতে এটি আবিষ্কার করেন। উদ্ভিদবিদ জন টোরি ছিলেন ভীষণ রসিক। তিনি ১৮৫৩ সালে আদর করে উদ্ভিদটির নাম রাখেন 'ডারলিংটোনিয়া ক্যালিফোর্নিয়া'। কোবরা লিলি বিরল প্রজাতির এক কলস উদ্ভিদ। এটি সাধারণত পরিষ্কার জলাভূমি অর্থাৎ যেখানে পরিষ্কার পানির চোয়ানো স্রোত আছে, সেখানে জন্মে। উদ্ভিদটির গায়ের রঙ হলুদাভ সবুজ। উদ্ভিদটির বিশেষত্ব হচ্ছে, ফণার নিচেই সঞ্চিত থাকে মধু। পোকামাকড় সেই মধুর ঘ্রাণে দূর থেকে ছুটে আসে তা পান করার জন্য। এসেই পড়ে উদ্ভিদটির ফাঁদে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একবার ফাঁদে পড়লে কীটপতঙ্গ আর বের হওয়ার পথ পায় না। কারণ ফণার ভেতর অংশ মোড়ানো থাকে কিছু আঁশ দিয়ে, যা ঢুকতে দেয়, কিন্তু বের হতে দেয় না। এ ছাড়া ভেতরের নলটাও বেশ পিচ্ছিল। ফলে পোকামাকড় নলের তরলে হাবুডুবু খায়। মরে গেলে কিংবা কীটটি দুর্বল হয়ে পড়ার পর একসময় কোবরা লিলি ওটাকে হজম করে নেয়। উদ্ভিদটি আলো খুব ভালোবাসে। তবে সরাসরি সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না। অন্য মাংসাশী উদ্ভিদের মতোই এটিরও বেশি আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন হয়।
কোবরা লিলি শূন্য থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে। মজার ব্যাপার হলো, উজ্জ্বল আলোতে জন্মে উদ্ভিদটি মেলে ধরে এর রূপ-রস-সৌন্দর্য। কিন্তু কম আলো পেলে কোবরা লিলির রঙ সবুজাভ এবং আকার বড় হয়ে যায়। শীত শেষে বসন্তকালে উদ্ভিদটি বেড়ে ওঠে। সুন্দর অবয়ব এবং কোবরার মতো ফণা তোলা রূপের কারণে শখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কোবরা লিলির বাগান করেছেন। তবে সহজলভ্য। দাম অনেক বেশি। কিন্তু এ অদ্ভুত উদ্ভিদটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না। চেষ্টা করলে হয়তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর বংশ বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আর এর জন্য প্রয়োজন উৎসাহী সংগ্রাহকের। বাংলাদেশি কোনো শৌখিন সংগ্রাহক একদিন ঠিকই সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ার এ ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের উদ্ভিদটি নিজ বাগানে জায়গা দেবেন, তা বিশ্বাস করাই যায়।
সোহাগ আহমেদ
কোবরা লিলি শূন্য থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে। মজার ব্যাপার হলো, উজ্জ্বল আলোতে জন্মে উদ্ভিদটি মেলে ধরে এর রূপ-রস-সৌন্দর্য। কিন্তু কম আলো পেলে কোবরা লিলির রঙ সবুজাভ এবং আকার বড় হয়ে যায়। শীত শেষে বসন্তকালে উদ্ভিদটি বেড়ে ওঠে। সুন্দর অবয়ব এবং কোবরার মতো ফণা তোলা রূপের কারণে শখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কোবরা লিলির বাগান করেছেন। তবে সহজলভ্য। দাম অনেক বেশি। কিন্তু এ অদ্ভুত উদ্ভিদটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না। চেষ্টা করলে হয়তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর বংশ বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আর এর জন্য প্রয়োজন উৎসাহী সংগ্রাহকের। বাংলাদেশি কোনো শৌখিন সংগ্রাহক একদিন ঠিকই সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ার এ ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের উদ্ভিদটি নিজ বাগানে জায়গা দেবেন, তা বিশ্বাস করাই যায়।
সোহাগ আহমেদ
No comments