পাকিস্তানে সংঘাত অনিবার্য!
মানবজমিন ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজনীতি এখন অস্থির। একদিকে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে পারভেজ মোশাররফ, ইমরান খান ও সুপ্রিম কোর্ট। কার্যত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনের বিরুদ্ধেই চলে গিয়েছেন পারভেজ মোশাররফ, ইমরান খান ও সুপ্রিম কোর্ট। রাজনীতির লড়াইয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করার লড়াইয়ে লিপ্ত। এরই পৃষ্ঠা ৮ কলাম ১
মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে সুপ্রিম কোর্ট একজন অসৎ মানুষ বলে অভিহিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ও তাকে ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। এ মাসেই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। অন্যদিকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও তেহরিকে ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন আঘাত হানা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গতকাল এমন অনেক রিপোর্টে সয়লাব ছিল ওয়েবসাইটগুলো। এতে বলা হয়- গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক নিয়ম উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন। মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পক্ষ নেয়ায় আদালত এমন মন্তব্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা পুনরুজ্জীবনের জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। বেঞ্চ সরকারকে এ ক্ষেত্রে ৬টি অপশন দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেয়া, তাকে ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা। এসব বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহৎ বেঞ্চ গঠনের কথাও বলা হয়। ওই বেঞ্চে ১৬ই জানুয়ারি শুনানি হবে। অন্যদিকে, এ মাসেই স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। তবে তিনি দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি এ মাসেই দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আগে তিনি সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তবে সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তার দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ কোন মন্তব্য করেনি। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমান সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানিকে তিনিই ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ওদিকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার-কাম রাজনীতিক ইমরান খান। তেহরিকে ইনসাফ দলের প্রধান তিনি। তিনি সরকারকে বলেছেন, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে সরকার গণতন্ত্র ও পার্লামেন্ট রক্ষার নামে যদি সুপ্রিম কোর্ট বা প্রধান বিচারপপতির বিরুদ্ধে আঘাত হানার চেষ্টা করে তাহলে তার দল প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনে যাবে। গতকাল তিনি মজলিশে ওযাহদাতুল মুসলিমিনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার একা হয়ে পড়ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলছি- যদি তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা দল তার কঠোর প্রতিবাদ জানাবে। এখন বিভিন্ন দলের অনেক নেতা তাহরিকে ইনসাফে যোগ দেয়ার লাইনে রয়েছেন। তিনি বলেন, তার দল যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মতো করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করবেন পাকিস্তানকে। একই সঙ্গে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে জোট বাঁধার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। ওদিকে মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শুজা পাশা অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। চীনের অনলাইন পিপলস ডেইলি পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের যে দূরত্ব বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, পাকিস্তানে তিনিই সফল নেতা। অন্যরা ব্যর্থ। তিনি বলেন, আমার ক্ষমতার সময়ে একটি কারণে আমি পরিচিত ছিলাম। তাহলো আমাকে মানুষ একজন সৎলোক এবং আমার সরকারকে সৎ সরকার হিসেবে জানতো। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে সুপ্রিম কোর্ট একজন অসৎ মানুষ বলে অভিহিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট ও তাকে ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। এ মাসেই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। অন্যদিকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও তেহরিকে ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন আঘাত হানা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। গতকাল এমন অনেক রিপোর্টে সয়লাব ছিল ওয়েবসাইটগুলো। এতে বলা হয়- গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রধানমন্ত্রী তার সাংবিধানিক নিয়ম উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন। মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পক্ষ নেয়ায় আদালত এমন মন্তব্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত এক বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা পুনরুজ্জীবনের জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। বেঞ্চ সরকারকে এ ক্ষেত্রে ৬টি অপশন দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেয়া, তাকে ৫ বছরের জন্য পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা। এসব বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহৎ বেঞ্চ গঠনের কথাও বলা হয়। ওই বেঞ্চে ১৬ই জানুয়ারি শুনানি হবে। অন্যদিকে, এ মাসেই স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। তবে তিনি দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি এ মাসেই দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আগে তিনি সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তবে সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তার দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ কোন মন্তব্য করেনি। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমান সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানিকে তিনিই ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ওদিকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার-কাম রাজনীতিক ইমরান খান। তেহরিকে ইনসাফ দলের প্রধান তিনি। তিনি সরকারকে বলেছেন, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে সরকার গণতন্ত্র ও পার্লামেন্ট রক্ষার নামে যদি সুপ্রিম কোর্ট বা প্রধান বিচারপপতির বিরুদ্ধে আঘাত হানার চেষ্টা করে তাহলে তার দল প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনে যাবে। গতকাল তিনি মজলিশে ওযাহদাতুল মুসলিমিনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার একা হয়ে পড়ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলছি- যদি তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা দল তার কঠোর প্রতিবাদ জানাবে। এখন বিভিন্ন দলের অনেক নেতা তাহরিকে ইনসাফে যোগ দেয়ার লাইনে রয়েছেন। তিনি বলেন, তার দল যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মতো করে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করবেন পাকিস্তানকে। একই সঙ্গে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে জোট বাঁধার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। ওদিকে মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শুজা পাশা অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাদের বক্তব্য জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। চীনের অনলাইন পিপলস ডেইলি পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের যে দূরত্ব বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, পাকিস্তানে তিনিই সফল নেতা। অন্যরা ব্যর্থ। তিনি বলেন, আমার ক্ষমতার সময়ে একটি কারণে আমি পরিচিত ছিলাম। তাহলো আমাকে মানুষ একজন সৎলোক এবং আমার সরকারকে সৎ সরকার হিসেবে জানতো। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
No comments