আজ সব পরীক্ষা বন্ধ-ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে শাবি রণক্ষেত্র আহত ৩০
জামায়াতের সাবেক আমির, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত গোলাম আযমকে গ্রেফতারের জের ধরে গতকাল বুধবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ পরান ও দ্বিতীয় ছাত্র হলে শিবির নিয়ন্ত্রিত ৭০টি কক্ষের দরজা-জানালা ভাংচুর এবং আসবাবপত্র তছনছ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষকালে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে। মুখোমুখি অবস্থানে থাকা দু'পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাত রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা বসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে হল
প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন। রাত ১০টায় বৈঠক শেষে সহকারী প্রক্টর নিলয় সরকার সমকালকে জানান, বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কিংবা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে রাত সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিল। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে শিবিরের নেতাকর্মীরা আশপাশের দলীয় নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেস ও বাসা-বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শিবির নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়ার দাবি জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহ পরান হলে গিয়ে শিবির সভাপতি মোজাহিদ রুমিসহ নেতাকর্মীদের মারধর করে বের করে দেয়। এ সময় শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোর দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং অগি্নসংযোগ করা হয়। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় ছাত্র হল থেকে শিবিরের ৩০-৪০ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের মোস্তফা ও সুপ্রাজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোজাহিদ রুমি, সেক্রেটারি জাকির হোসেনসহ কয়েকজনকে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বাকি আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সামনে শিবিরের হামলায় মহানগর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক রুহেল তরফদার, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক জায়েদ ও সদস্য ফরিদ মিয়া আহত হন। শিবিরকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করে বলে জানিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত তরফদার। পরে শহর থেকে আসা মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শাহ পরান ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের দিকে যেতে থাকলে শিবিরকর্মীরা হল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ দ্বিতীয় ছাত্র হলের শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলো ভাংচুর ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সত্যজিৎ দাস নামে এক ছাত্রলীগকর্মীর ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাহ পরান ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডি রাতেই বৈঠকে বসেন। জালালাবাদ থানার ওসি সেলিম আহমদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাঈম হাসান অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিলে শিবির ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে শিবির ক্যাডাররা। অন্যদিকে শিবির দাবি করেছে, ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হলের ২০-২৫টি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা বসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে হল
প্রভোস্ট, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন। রাত ১০টায় বৈঠক শেষে সহকারী প্রক্টর নিলয় সরকার সমকালকে জানান, বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ কিংবা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে রাত সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিল। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরে শিবিরের নেতাকর্মীরা আশপাশের দলীয় নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন মেস ও বাসা-বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। মিছিল শেষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে শিবির নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়ার দাবি জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহ পরান হলে গিয়ে শিবির সভাপতি মোজাহিদ রুমিসহ নেতাকর্মীদের মারধর করে বের করে দেয়। এ সময় শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলোর দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং অগি্নসংযোগ করা হয়। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় ছাত্র হল থেকে শিবিরের ৩০-৪০ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে ছাত্রলীগের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগের মোস্তফা ও সুপ্রাজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোজাহিদ রুমি, সেক্রেটারি জাকির হোসেনসহ কয়েকজনকে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বাকি আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের সামনে শিবিরের হামলায় মহানগর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক রুহেল তরফদার, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক জায়েদ ও সদস্য ফরিদ মিয়া আহত হন। শিবিরকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করে বলে জানিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত তরফদার। পরে শহর থেকে আসা মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শাহ পরান ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের দিকে যেতে থাকলে শিবিরকর্মীরা হল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ দ্বিতীয় ছাত্র হলের শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলো ভাংচুর ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সত্যজিৎ দাস নামে এক ছাত্রলীগকর্মীর ওপর হামলা চালায় শিবিরকর্মীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাহ পরান ও দ্বিতীয় ছাত্র হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডি রাতেই বৈঠকে বসেন। জালালাবাদ থানার ওসি সেলিম আহমদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাঈম হাসান অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিলে শিবির ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে শিবির ক্যাডাররা। অন্যদিকে শিবির দাবি করেছে, ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হলের ২০-২৫টি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
No comments