শেখ হাসিনাকে আগরতলায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
পরিতোষ পাল, কলকাতা থেকে: ত্রিপুরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম সফরে গতকাল বিকালে আগরতলায় এসেছেন। দু’দিনের এই পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৫
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন তার ছোট বোন শেখ রেহেনাও। এছাড়া এসেছেন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা ও বুদ্ধজীবীসহ ১০৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২৮ জন ব্যবসায়ীও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগরতলার সিঙ্গেরবিল বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারত সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবাল ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে আগরতলার কুঞ্জবনে রাষ্ট্রীয় অতিথি আবাসে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের মানুষ হাত নেড়ে, মৈত্রী স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। অনেকের হাতে ছিল দুই দেশের পতাকাও। রাষ্ট্রীয় অতিথি আবাসে শেখ হাসিনাকে ত্রিপুরা রাইফেলসের জওয়ানরা গার্ড অব অনার জানান। পরে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত দুই দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে তার বক্তব্য দেন। এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবাল ও ত্রিপুরার গভর্নর ডি ওয়াই পাতিল। সন্ধ্যায় রাজভবনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতে গভর্নরের দেয়া নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অংশ নেন। এই নৈশভোজে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও উপস্থিত ছিলেন। আজ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাম্মানিক ডি-লিট সম্মান তুলে দেবেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম কোন বিদেশী অতিথিকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান করছে। দুপুরে অসাম রাইফেলসের ময়দানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর পরই শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামপ্রতিককালে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে দু’দেশের পারস্পরিক কল্যাণে এ সুযোগ যাতে বিফলে না যায় সেদিকে প্রত্যেককে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বিকালে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার বিশাল ক্ষেত্র বিদ্যমান। সত্যিকার সহযোগিতা তখনই সম্ভব যখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসবেন, যাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশেষ করে ত্রিপুরার জনগণ লাভবান হয়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জনগণের ভাগ্য একই সুতায় গাঁথা। বিভিন্ন কারণে আমাদের এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। আমি মনে করি, দারিদ্র্যই আমাদের এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু।’ তিনি বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উভয় দেশ একযোগে কাজ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অনেকটা সহজ হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার মধ্যে বন্ধুত্বের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, জাতিসত্তা এবং মূল্যবোধও প্রায় একই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী এই বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছেন।’ তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ উদ্বাস্তুকে এ রাজ্যের মানুষ আশ্রয় দিয়েছেন। তারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিয়ে অসহায় মানুষের সাহায্য করেছেন। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধা চিরদিনের জন্য শায়িত আছেন এ ত্রিপুরার মাটিতে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরা থেকে সরাসরি অথবা যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীরা বিকাল ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বিমানবন্দরে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার পল্ল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এছাড়াও কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক মিশনের ডিন, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও দলের সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন তার ছোট বোন শেখ রেহেনাও। এছাড়া এসেছেন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা ও বুদ্ধজীবীসহ ১০৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২৮ জন ব্যবসায়ীও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগরতলার সিঙ্গেরবিল বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারত সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবাল ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে আগরতলার কুঞ্জবনে রাষ্ট্রীয় অতিথি আবাসে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের মানুষ হাত নেড়ে, মৈত্রী স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। অনেকের হাতে ছিল দুই দেশের পতাকাও। রাষ্ট্রীয় অতিথি আবাসে শেখ হাসিনাকে ত্রিপুরা রাইফেলসের জওয়ানরা গার্ড অব অনার জানান। পরে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত দুই দেশের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে তার বক্তব্য দেন। এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিবাল ও ত্রিপুরার গভর্নর ডি ওয়াই পাতিল। সন্ধ্যায় রাজভবনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতে গভর্নরের দেয়া নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অংশ নেন। এই নৈশভোজে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও উপস্থিত ছিলেন। আজ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাম্মানিক ডি-লিট সম্মান তুলে দেবেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম কোন বিদেশী অতিথিকে সাম্মানিক ডি-লিট প্রদান করছে। দুপুরে অসাম রাইফেলসের ময়দানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর পরই শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামপ্রতিককালে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে দু’দেশের পারস্পরিক কল্যাণে এ সুযোগ যাতে বিফলে না যায় সেদিকে প্রত্যেককে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বিকালে আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার বিশাল ক্ষেত্র বিদ্যমান। সত্যিকার সহযোগিতা তখনই সম্ভব যখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসবেন, যাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশেষ করে ত্রিপুরার জনগণ লাভবান হয়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জনগণের ভাগ্য একই সুতায় গাঁথা। বিভিন্ন কারণে আমাদের এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। আমি মনে করি, দারিদ্র্যই আমাদের এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু।’ তিনি বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উভয় দেশ একযোগে কাজ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অনেকটা সহজ হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার মধ্যে বন্ধুত্বের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, জাতিসত্তা এবং মূল্যবোধও প্রায় একই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী এই বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছেন।’ তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ উদ্বাস্তুকে এ রাজ্যের মানুষ আশ্রয় দিয়েছেন। তারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিয়ে অসহায় মানুষের সাহায্য করেছেন। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধা চিরদিনের জন্য শায়িত আছেন এ ত্রিপুরার মাটিতে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রিপুরা থেকে সরাসরি অথবা যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীরা বিকাল ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বিমানবন্দরে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার পল্ল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। এছাড়াও কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক মিশনের ডিন, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও দলের সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
No comments