প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
একটি পৌরসভা ও ২৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রায়পুরা উপজেলা। ইংরেজ আমল থেকেই এ থানাটি বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। রায়পুরায় জনসংখ্যা প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে চরাঞ্চলে বাস তিন লক্ষাধিক মানুষের। নতুন করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করায় উপজেলার মরজাল, উত্তরবাখর নগর ও ডৌকারচর ইউনিয়ন নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
দেশে অনুষ্ঠিত ৯টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে রায়পুরাবাসী পাঁচবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি ও একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনেক কিন্তু কোনো সংসদ সদস্যই এলাকার উন্নয়ন ও মৌলিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন রাজু। যার ফলশ্রুতিতে এবার উপজেলায় যোগাযোগ খাতে পরিবর্তন এলেও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা রয়েছে জনগণের অধরায়।
রায়পুরার মধ্য দিয়ে চলে গেছে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথ। সারা দিন রায়পুরাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে ঝক ঝক করে ট্রেন ছুটে যায়। কিন্তু উপজেলায় সাতটি রেলস্টেশন থাকলেও কোনো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এমনকি অনেক লোকাল ট্রেনেরও যাত্রাবিরতি নেই স্টেশনগুলোতে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার রায়পুরার বিভিন্ন স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও রেলপথ অবরোধ করেছে।
পরে স্থানীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নিলেও আজও এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সবজির জন্য খ্যাত নরসিংদীর সবজির অন্যতম জোগানদাতা রায়পুরার কৃষকরা। কিন্তু হিমাগারের অভাবে উৎপাদিত সবজির একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘদিন থেকে সবজি সংরক্ষণের জন্য উপজেলায় একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ফড়িয়াদের কাছে জিম্মি সাধারণ কৃষকরা।
মেঘনা নদী উপজেলার আটটি ইউনিয়নকে করেছে বিচ্ছিন্ন। ফলে উপজেলার চরাঞ্চল হিসেবে খ্যাত একটি বিরাট অংশ মূল খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এলাকার মানুষ বর্ষাকালে নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে যাতায়াত করে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি, উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি চরাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মেঘনা নদীর ওপর সেতু ও সড়ক নির্মাণের।
পাশাপাশি চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিদ্যুৎবঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা গোষ্ঠীগত সংঘাত। এরই ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ভয়ঙ্কর টেঁটাযুদ্ধ।
জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনেক কিন্তু কোনো সংসদ সদস্যই এলাকার উন্নয়ন ও মৌলিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন রাজু। যার ফলশ্রুতিতে এবার উপজেলায় যোগাযোগ খাতে পরিবর্তন এলেও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা রয়েছে জনগণের অধরায়।
রায়পুরার মধ্য দিয়ে চলে গেছে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথ। সারা দিন রায়পুরাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে ঝক ঝক করে ট্রেন ছুটে যায়। কিন্তু উপজেলায় সাতটি রেলস্টেশন থাকলেও কোনো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এমনকি অনেক লোকাল ট্রেনেরও যাত্রাবিরতি নেই স্টেশনগুলোতে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার রায়পুরার বিভিন্ন স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও রেলপথ অবরোধ করেছে।
পরে স্থানীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নিলেও আজও এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সবজির জন্য খ্যাত নরসিংদীর সবজির অন্যতম জোগানদাতা রায়পুরার কৃষকরা। কিন্তু হিমাগারের অভাবে উৎপাদিত সবজির একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘদিন থেকে সবজি সংরক্ষণের জন্য উপজেলায় একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ফড়িয়াদের কাছে জিম্মি সাধারণ কৃষকরা।
মেঘনা নদী উপজেলার আটটি ইউনিয়নকে করেছে বিচ্ছিন্ন। ফলে উপজেলার চরাঞ্চল হিসেবে খ্যাত একটি বিরাট অংশ মূল খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এলাকার মানুষ বর্ষাকালে নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে যাতায়াত করে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি, উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি চরাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য মেঘনা নদীর ওপর সেতু ও সড়ক নির্মাণের।
পাশাপাশি চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিদ্যুৎবঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা গোষ্ঠীগত সংঘাত। এরই ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ভয়ঙ্কর টেঁটাযুদ্ধ।
No comments