স্ত্রী’র পিটুনি খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা
মানবজমিন ডেস্ক: স্ত্রী’র হাতে মার খাওয়ার অপমান সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্বামী। ভারতের ভিলে পারলির বামানবাদের বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত (৩২) ঘরজামাই থাকতেন। গত শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী সংগীতার সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়রা তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেই মারের অপমান সইতে না পেরে দুই সন্তানের জনক চন্দ্রকান্ত সোমবার শ্বশুর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করেন। ভিলে পারলি পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতি ১১ বছর আগে শিরধি মন্দিরে প্রথম দেখায় একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেমের এক পর্যায়ে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিলে সংগীতার বাবার বাড়িতে এসেও উঠেন চন্দ্রকান্ত। সেই থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন বেশ সুখেই কাটছিল। সংগীতার কোলজুড়ে দু’টি ফুটফুটে শিশুরও জন্ম হয়েছিল। কিন্তু তাদের এই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। একপর্যায়ে তারা প্রায়ই ঝগড়াঝাটি শুরু করেন। তাদের এই ঝগড়া প্রায়ই মারামারিতে রূপ নিতো। ফলে গত ৪ বছর ধরে চন্দ্রকান্ত স্ত্রী ও সন্তান থেকে দূরে বসবাস করছিলেন। কিন্তু স্ত্রী’র হাতে মার খেয়ে শেষ পর্যন্ত দুনিয়া ছেড়েই চলে গেলেন।
No comments