নতুন যুগের ব্ল্যাক
গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রামে এবং ১৩ অক্টোবর ঢাকায় জার্মানির পপ ধারার ব্যান্ড 'ইয়ানস ফ্রিবে'র সঙ্গে দুটি কনসার্টে অংশ নেয় 'ব্ল্যাক'। একই সঙ্গে জার্মানির এই ব্যান্ডের সঙ্গে যৌথ একটি অ্যালবামও বের হয় তাদের। কনসার্ট দুটি যাঁরা দেখেছেন, টিকিটের সঙ্গে সেই অ্যালবামও হাতে পেয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও জার্মানি_দুই দেশেই পাওয়া যাচ্ছে অ্যালবামটি। ব্ল্যাকের সদস্য জাহান বলেন, 'ইয়ানস ফ্রিবের সদস্যরা আমাদের হাজারখানেক অ্যালবাম নিয়ে গেছেন।
তাঁরা অ্যালবামগুলো তাঁদের শ্রোতাদের হাতে তুলে দেবেন। এতে করে জার্মান শ্রোতারাও আমাদের গান শুনতে পাবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এমন একটি সুন্দর উদ্যোগের জন্য আমরা জার্মান কালচারাল সেন্টারকে ধন্যবাদ জানাই।'
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে ব্ল্যাকের আলো। ব্ল্যাকের শুরুটা ১৯৯৮ সালে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন বন্ধু_জাহান, টনি আর জন। একই ক্লাসের একই শাখায় পড়তেন তাঁরা। টনি ছিলেন চঞ্চল, জাহান একটু জ্ঞানী স্বভাবের আর সব সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন জন। সেই তিন বন্ধু মিলেই একদিন গড়লেন একটি ব্যান্ড। নাম দিলেন 'ব্ল্যাক'।
এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। এ সময়ের মধ্যে ব্যান্ডটি শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে, প্রকাশ পেয়েছে তাদের চারটি অ্যালবাম_'আমার পৃথিবী' (২০০২), 'উৎসবের পর' (২০০৩), 'আবার' (২০০৮) ও 'ব্ল্যাক' (গত ঈদে)। জনপ্রিয় হয়েছে 'হাত বাড়াও', 'তুমি কি সাড়া দেবে', 'আমার পৃথিবী', 'আমরা', 'পেপার রেডিও টিভি'সহ বেশ কিছু গান। এ সময়ে ব্যান্ডের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন তিন হাজারের মতো কনসার্টে। গান করেছেন দেশের বাইরে গিয়েও। শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে জন বললেন, 'প্রথম মঞ্চে গান করি ২০০০ সালে, কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। গান গেয়ে আমরা ছয় হাজার টাকা পেয়েছিলাম। প্রথম দিকে প্র্যাকটিস হতো জাহানের বাসায়। এরপর পাড়ি জমাই শাহবাগের আজিজ সুপারমার্কেটের বেইজমেন্টে। ওখানকার পরিবেশটা ছিল অনেকটা ভুতুড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সেখানে চার ঘণ্টা প্র্যাকটিস করতাম। এভাবেই অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি।' জনের কথার রেশ ধরেই জাহান বলেন, 'একবার সেখানে আগুন লাগলে আমরা জায়গা বদল করি। প্র্যাকটিস শুরু করি মগবাজারের বিভিন্ন প্র্যাকটিস প্যাডে।'
রক মিউজিকে এলেন কেন? জবাব দিলেন টনি, 'রক গান হলো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। আর ওই বয়সে রক গান সবাইকে খুব টানে। আমরা শুরু থেকেই বেসিক রক ধারাটা চর্চা করছি। তবে গান তৈরির সময় আশপাশের অনেক বিষয় নিয়ে ভাবি।' জাহান বললেন, 'আমাদের ধারাটা বিদেশি, ভাষাটা দেশি। তবে পুরো ব্যাপারটার মধ্যে একটা ফিউশন কাজ করে।'
কথায় কথায় চলে এল ব্ল্যাকের যুগপূর্তির প্রসঙ্গ। যুগপূর্তি উদ্যাপন কিভাবে করবেন? জাহান জানান, 'যুগপূর্তি সামনে রেখে আগামী বছরের শুরুতেই আমরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তবে পুরো আয়োজনের পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভাবছি সেই অনুষ্ঠানে গান হবে, হবে বিভিন্ন সময়ের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটা ফটোগ্রাফি মেলা এবং নিজেদের নিয়ে তৈরি একটা ডকুমেন্টারি। আর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের অংশগ্রহণও থাকবে এ কনসার্টে।'
এত বছর পর গত ঈদে স্বনামে অ্যালবাম করেছে ব্ল্যাক। হঠাৎ স্বনামে অ্যালবাম করার কারণ প্রসঙ্গে জাহান বললেন, "এত বছর কাজ করতে করতে আমাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে নিজেদের মেলে ধরেছি এ অ্যালবামে। অর্থাৎ আমরা কী, তা বোঝাতে চেয়েছি অ্যালবামটিতে। আর তাই অ্যালবামটির নামও দিয়েছি 'ব্ল্যাক'। অ্যালবামটির জন্য শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পেয়েছি।"
গত বছর প্রায় কাছাকাছি সময়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ব্ল্যাকের সদস্যরা। বিষয়টিতে বেশ মজা পেয়েছেন তাঁদের ভক্তরা। এটা কি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে? কথাটা শুনে হাসলেন সবাই! তবে উত্তরটা এল জাহানের মুখ থেকে, 'এটা আমরা কোনো পরিকল্পনা করে করিনি। হতে হতে হয়ে গেছে। সবই কপাল বুঝলেন! আমরাও বিষয়টিতে অনেক মজা পেয়েছি।' বিয়ের পর থেকে ব্ল্যাকের সদস্যদের দেখলে পরিচিতজনদের কেউ কেউ হেসে উঠে বলেন, 'বিবাহিত ব্ল্যাক!' একটা কথা সবাই জানালেন, গানের পাশাপাশি ব্ল্যাকের ঘর-সংসারটাও নাকি চলছে দারুণ!
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে ব্ল্যাকের আলো। ব্ল্যাকের শুরুটা ১৯৯৮ সালে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন বন্ধু_জাহান, টনি আর জন। একই ক্লাসের একই শাখায় পড়তেন তাঁরা। টনি ছিলেন চঞ্চল, জাহান একটু জ্ঞানী স্বভাবের আর সব সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতেন জন। সেই তিন বন্ধু মিলেই একদিন গড়লেন একটি ব্যান্ড। নাম দিলেন 'ব্ল্যাক'।
এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। এ সময়ের মধ্যে ব্যান্ডটি শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে, প্রকাশ পেয়েছে তাদের চারটি অ্যালবাম_'আমার পৃথিবী' (২০০২), 'উৎসবের পর' (২০০৩), 'আবার' (২০০৮) ও 'ব্ল্যাক' (গত ঈদে)। জনপ্রিয় হয়েছে 'হাত বাড়াও', 'তুমি কি সাড়া দেবে', 'আমার পৃথিবী', 'আমরা', 'পেপার রেডিও টিভি'সহ বেশ কিছু গান। এ সময়ে ব্যান্ডের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন তিন হাজারের মতো কনসার্টে। গান করেছেন দেশের বাইরে গিয়েও। শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে জন বললেন, 'প্রথম মঞ্চে গান করি ২০০০ সালে, কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। গান গেয়ে আমরা ছয় হাজার টাকা পেয়েছিলাম। প্রথম দিকে প্র্যাকটিস হতো জাহানের বাসায়। এরপর পাড়ি জমাই শাহবাগের আজিজ সুপারমার্কেটের বেইজমেন্টে। ওখানকার পরিবেশটা ছিল অনেকটা ভুতুড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সেখানে চার ঘণ্টা প্র্যাকটিস করতাম। এভাবেই অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমরা আজকের অবস্থানে এসেছি।' জনের কথার রেশ ধরেই জাহান বলেন, 'একবার সেখানে আগুন লাগলে আমরা জায়গা বদল করি। প্র্যাকটিস শুরু করি মগবাজারের বিভিন্ন প্র্যাকটিস প্যাডে।'
রক মিউজিকে এলেন কেন? জবাব দিলেন টনি, 'রক গান হলো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। আর ওই বয়সে রক গান সবাইকে খুব টানে। আমরা শুরু থেকেই বেসিক রক ধারাটা চর্চা করছি। তবে গান তৈরির সময় আশপাশের অনেক বিষয় নিয়ে ভাবি।' জাহান বললেন, 'আমাদের ধারাটা বিদেশি, ভাষাটা দেশি। তবে পুরো ব্যাপারটার মধ্যে একটা ফিউশন কাজ করে।'
কথায় কথায় চলে এল ব্ল্যাকের যুগপূর্তির প্রসঙ্গ। যুগপূর্তি উদ্যাপন কিভাবে করবেন? জাহান জানান, 'যুগপূর্তি সামনে রেখে আগামী বছরের শুরুতেই আমরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তবে পুরো আয়োজনের পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভাবছি সেই অনুষ্ঠানে গান হবে, হবে বিভিন্ন সময়ের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটা ফটোগ্রাফি মেলা এবং নিজেদের নিয়ে তৈরি একটা ডকুমেন্টারি। আর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের অংশগ্রহণও থাকবে এ কনসার্টে।'
এত বছর পর গত ঈদে স্বনামে অ্যালবাম করেছে ব্ল্যাক। হঠাৎ স্বনামে অ্যালবাম করার কারণ প্রসঙ্গে জাহান বললেন, "এত বছর কাজ করতে করতে আমাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে নিজেদের মেলে ধরেছি এ অ্যালবামে। অর্থাৎ আমরা কী, তা বোঝাতে চেয়েছি অ্যালবামটিতে। আর তাই অ্যালবামটির নামও দিয়েছি 'ব্ল্যাক'। অ্যালবামটির জন্য শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়াও পেয়েছি।"
গত বছর প্রায় কাছাকাছি সময়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ব্ল্যাকের সদস্যরা। বিষয়টিতে বেশ মজা পেয়েছেন তাঁদের ভক্তরা। এটা কি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে? কথাটা শুনে হাসলেন সবাই! তবে উত্তরটা এল জাহানের মুখ থেকে, 'এটা আমরা কোনো পরিকল্পনা করে করিনি। হতে হতে হয়ে গেছে। সবই কপাল বুঝলেন! আমরাও বিষয়টিতে অনেক মজা পেয়েছি।' বিয়ের পর থেকে ব্ল্যাকের সদস্যদের দেখলে পরিচিতজনদের কেউ কেউ হেসে উঠে বলেন, 'বিবাহিত ব্ল্যাক!' একটা কথা সবাই জানালেন, গানের পাশাপাশি ব্ল্যাকের ঘর-সংসারটাও নাকি চলছে দারুণ!
No comments