যা নিয়ে আছি-অনলাইনেই গান শুনি
কাজী আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশের রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ। মাসুদ রানার স্রষ্টা, সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার, রহস্যপত্রিকার সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ও গায়ক সেই ষাটের দশকে। এখন যা পড়ছি বই আর অনেক দিন ধরে সেভাবে পড়া হয়ে ওঠে না। তাই পত্রপত্রিকা থেকেই বিভিন্ন জনের লেখা, বিশেষত গল্প ও উপন্যাস পড়ে ফেলি। হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আনিসুল হকের লেখা বেশি পড়ি। দেশ পত্রিকা হাতে
পেলেই গল্পগুলো পড়ে ফেলি। কেউ বই পাঠালে উল্টেপাল্টে কিছুটা পড়ার চেষ্টা করি। বই পড়তে সময় বেশি লাগে। অথচ কাজের চাপে দিনে দিনে সময় কমে আসছে।
গানের জগতে
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে গিয়েই গান শুনি। পছন্দের বা বারবার শুনতে চাই এমন গান নামিয়ে ফেলি। নিয়মিত শুনি ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খান, ফৈয়াজ খাঁ, আবদুল করিম খাঁ, রশিদ খাঁর ক্লাসিক্যাল। রাসুলান বাঈ ও বেগম আখতারের ঠুমরি-গজল। আর শুনি বাজনা—ওস্তাদ বিলায়েত হোসেন খাঁ ও রবিশঙ্করের সেতার, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি, বিসমিল্লা খাঁর সানাই, আলী আকবর খানের সরোদ। একসময় পান্নালালের বাঁশিও খুব প্রিয় ছিল। মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের গানও শুনি—জ্ঞান গোঁসাই, অখিল বন্ধু ঘোষ, বিশেষ করে অজয় চক্রবর্তীর গাওয়া সেমি-ক্লাসিক্যাল গান।
যা আর হয়ে ওঠে না
একসময় বেশ যেতাম বিচিত্রা অফিসে। যাওয়া-আসা ছিল একাধিক আসরে। অভ্যাসটা ছুটে গেল। অথচ সব সময়ই মনে হয়, যেতে পারলে ভালো লাগত। পুরোনোরা সরে গেছে, নতুনরা আসছে, তাদের কাউকে চিনি না। হঠাৎ কখনো কোথাও গেলে চেনা মুখ পাই না। মাছ ধরার পালাটা চুকে গেছে সেই কবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আউটিংয়ে গিয়ে টুকটাক পাখি শিকার করতাম, সেই সব অতীত। কয়েকজন মিলে সপ্তাহে এক দিন যে মেডিটেশনে বসতাম, সেটাও বন্ধ। মেডিটেশনের চর্চাটাও কিছুটা অনিয়মিত হয়ে গেছে। নিজে নিজে গিটার বাজিয়ে গান গাইতাম। সেটা আর হয়ে ওঠে না।
এখন সবচেয়ে আনন্দ
আমার দুই নাতি সামিন ও রামিন। একজন প্রায় চার, আরেকজন এক বছরের। ওরা দুজনই এখন আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। লেখালেখি আর ব্যবসা সামলানোর খাটুনি ও ব্যস্ততার কারণে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হলেও সামিন-রামিনের সান্নিধ্য আমাকে ভরিয়ে রাখে আনন্দে। সব মিলিয়ে সুখেই আছি।
গ্রন্থনা: আসজাদুল কিবরিয়া
গানের জগতে
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে গিয়েই গান শুনি। পছন্দের বা বারবার শুনতে চাই এমন গান নামিয়ে ফেলি। নিয়মিত শুনি ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খান, ফৈয়াজ খাঁ, আবদুল করিম খাঁ, রশিদ খাঁর ক্লাসিক্যাল। রাসুলান বাঈ ও বেগম আখতারের ঠুমরি-গজল। আর শুনি বাজনা—ওস্তাদ বিলায়েত হোসেন খাঁ ও রবিশঙ্করের সেতার, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশি, বিসমিল্লা খাঁর সানাই, আলী আকবর খানের সরোদ। একসময় পান্নালালের বাঁশিও খুব প্রিয় ছিল। মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের গানও শুনি—জ্ঞান গোঁসাই, অখিল বন্ধু ঘোষ, বিশেষ করে অজয় চক্রবর্তীর গাওয়া সেমি-ক্লাসিক্যাল গান।
যা আর হয়ে ওঠে না
একসময় বেশ যেতাম বিচিত্রা অফিসে। যাওয়া-আসা ছিল একাধিক আসরে। অভ্যাসটা ছুটে গেল। অথচ সব সময়ই মনে হয়, যেতে পারলে ভালো লাগত। পুরোনোরা সরে গেছে, নতুনরা আসছে, তাদের কাউকে চিনি না। হঠাৎ কখনো কোথাও গেলে চেনা মুখ পাই না। মাছ ধরার পালাটা চুকে গেছে সেই কবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আউটিংয়ে গিয়ে টুকটাক পাখি শিকার করতাম, সেই সব অতীত। কয়েকজন মিলে সপ্তাহে এক দিন যে মেডিটেশনে বসতাম, সেটাও বন্ধ। মেডিটেশনের চর্চাটাও কিছুটা অনিয়মিত হয়ে গেছে। নিজে নিজে গিটার বাজিয়ে গান গাইতাম। সেটা আর হয়ে ওঠে না।
এখন সবচেয়ে আনন্দ
আমার দুই নাতি সামিন ও রামিন। একজন প্রায় চার, আরেকজন এক বছরের। ওরা দুজনই এখন আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ। লেখালেখি আর ব্যবসা সামলানোর খাটুনি ও ব্যস্ততার কারণে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হলেও সামিন-রামিনের সান্নিধ্য আমাকে ভরিয়ে রাখে আনন্দে। সব মিলিয়ে সুখেই আছি।
গ্রন্থনা: আসজাদুল কিবরিয়া
No comments