হাসিনা, খালেদা একইভাবে কথা বলেনঃ ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন
রাজনীতিকে সফল, সার্থক ও কল্যাণমুখী করতে হলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। কোনো সরকার এ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাকে গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। সংবাদপত্রের সমালোচনা বা কণ্ঠরোধ নয়, সংবাদ আধেয়ের প্রতি সরকারকে নজর দিতে হবে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। আয়োজকদের ভাষায়, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন বলেন, এখন আর শেখ হাসিনার কথা শুনতে ইচ্ছা করে না। খালেদা জিয়াও একইভাবে কথা বলেন। এগুলো তাঁরা তাঁদের সাম্রাজ্যবাদী প্রভুর নির্দেশে করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, এ সরকারের সময় অনেক অন্যায়, অসাংবিধানিক কার্যক্রম সাধিত হয়েছে। সাংবাদিকদের নির্যাতন, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া, কণ্ঠরোধ—এসব নািসবাদের লক্ষণ আখ্যা দিয়ে তিনি সরকারকে এসব ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
প্রবীণ সাংবাদিক আতাউস সামাদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘পৃথিবী বদলে গেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন থাকতে দিন।’
আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, পঁচাত্তর সালে শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশে গভর্নর নিয়োগ দিয়েছিলেন। এটি বাকশালী শাসনব্যবস্থার একটি মৌলিক দিক। এখন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় লোক নিয়োগ দেওয়ার সঙ্গে গভর্নর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘পিতা যে বাকশালী শাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন, তা মাত্র ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল। এখন কন্যা সেই বাকশালী শাসন দেশে চাপিয়ে দিয়েছেন।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমীন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
No comments