এক যুগ ধরে স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন কাশেম-নজিও কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড
উচ্চাভিলাষী ও খোলামেলা জীবনযাপন করতেন এনজিও কর্মকর্তা আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা কায়সার লাইজু। স্বামী ও ছেলের অবর্তমানে তিনি খালি বাসায় তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে উঠতেন। এক যুগে গৃহশিক্ষক ও গাড়িচালকসহ একাধিক পুরুষের সঙ্গে লাইজু অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এসব বিষয়ে তাকে কিছু বলতে গেলে তিনি স্বামীর গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করতেন না। তাদের এ দাম্পত্য কলহ নিয়ে স্বজনরা বহুবার
সালিশ করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এসব ঘটনার জের ধরে কোনো এক পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় লাইজু পরিকল্পিতভাবে নিজ স্বামীকে খুন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার এসআই নাজমুল জানান, শুরুতে লাইজু তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও রিমান্ডে তার বক্তব্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়ে। তার বক্তব্যের সূত্র ধরেই গাড়িচালক আমিনুর রহমান ও গৃহশিক্ষক সালাউদ্দিনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপর এক সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মা গ্রেফতার হওয়ায় এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া তাদের একমাত্র সন্তান তৌছিদ ইভান। ছোটবেলা থেকে মা-বাবার মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখতে দেখতে ইভান সবসময় মানসিকভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। মায়ের উচ্চাভিলাষী ও খোলামেলা জীবনের কিছু বিষয় টের পেয়ে ইভান নিজেকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন।
ইভান পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ইভানকে ঘুম থেকে তুলে লাইজু জানান, তার বাবা কাশেম রাত ৩টায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। এ সময় ইভান মায়ের কাছে জানতে চান কেন ওই সময় তাকে ডাকা হলো না। ছেলের এ প্রশ্নের জবাবে লাইজু জানান, কাশেম তাকে বলেছিলেন আমার কিছুই হয়নি। ইভানকে ডাকার দরকার নেই। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের গলায় ফাঁস দেওয়ার কালো দাগ ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা। স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, তিনি বাথরুমে পড়ে গিয়ে রাতেই মারা গেলে কেন স্বজনদের সকালে খবর দেওয়া হলো এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়নি কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় বসে লাইজু কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে কাশেমের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে লাইজু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মামলার বাদী নুরুজ্জামান ঝন্টু জানান, ১৯৮৬ সালে শরীয়তপুরের ডামুড্যার সাতিয়ানি গ্রামের গোলাম আলী মাতুব্বরের ছেলে আবুল কাশেমের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সোহাগী গ্রামের ডা. এ গনীর মেয়ে ফাতেমা কায়সার লাইজুর বিয়ে হয়। রাজধানীর গ্রিন রোডের ৫১/৫২, সুবাস্তু এডিফিশ অ্যাপার্টমেন্টের ১/এইচ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আবুল কাশেমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার এসআই নাজমুল জানান, শুরুতে লাইজু তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও রিমান্ডে তার বক্তব্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়ে। তার বক্তব্যের সূত্র ধরেই গাড়িচালক আমিনুর রহমান ও গৃহশিক্ষক সালাউদ্দিনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপর এক সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মা গ্রেফতার হওয়ায় এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ূয়া তাদের একমাত্র সন্তান তৌছিদ ইভান। ছোটবেলা থেকে মা-বাবার মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখতে দেখতে ইভান সবসময় মানসিকভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। মায়ের উচ্চাভিলাষী ও খোলামেলা জীবনের কিছু বিষয় টের পেয়ে ইভান নিজেকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন।
ইভান পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ইভানকে ঘুম থেকে তুলে লাইজু জানান, তার বাবা কাশেম রাত ৩টায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। এ সময় ইভান মায়ের কাছে জানতে চান কেন ওই সময় তাকে ডাকা হলো না। ছেলের এ প্রশ্নের জবাবে লাইজু জানান, কাশেম তাকে বলেছিলেন আমার কিছুই হয়নি। ইভানকে ডাকার দরকার নেই। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের গলায় ফাঁস দেওয়ার কালো দাগ ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা। স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, তিনি বাথরুমে পড়ে গিয়ে রাতেই মারা গেলে কেন স্বজনদের সকালে খবর দেওয়া হলো এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়নি কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় বসে লাইজু কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে কাশেমের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে লাইজু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
মামলার বাদী নুরুজ্জামান ঝন্টু জানান, ১৯৮৬ সালে শরীয়তপুরের ডামুড্যার সাতিয়ানি গ্রামের গোলাম আলী মাতুব্বরের ছেলে আবুল কাশেমের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সোহাগী গ্রামের ডা. এ গনীর মেয়ে ফাতেমা কায়সার লাইজুর বিয়ে হয়। রাজধানীর গ্রিন রোডের ৫১/৫২, সুবাস্তু এডিফিশ অ্যাপার্টমেন্টের ১/এইচ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আবুল কাশেমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
No comments