উচ্চশিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি by মাহমুদুল হাসান

ন্নয়ন ও সমৃদ্ধশীল দেশ গড়তে তরুণ সমাজকে উচ্চ শিক্ষা নিতে হবে। সেজন্য দরকার উন্নত মানের শিক্ষা কারিকুলাম। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আছে এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাচ্ছি কর্মমুখী শিক্ষা।' এমনটাই বললেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাসরুম ফারজানা। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়াজ মুর্শেদ, হাসান মাহমুদ খনি, ইজাজুল কবিরসহ আরো অনেকেই।


তাঁদের দাবি_'স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সেরা ক্যাম্পাস।' আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার ও তনি্ন বলেন, 'বাস্তবধর্মী শিক্ষা পাচ্ছি এ প্রতিষ্ঠান থেকে। যা কর্মজীবনে অনেক কাজে আসবে।' একই কথা বললেন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণা, ইবানুল হাসান জান্নাত, রাতুল, রাসেল ও অতুল।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. মজিবুর রহমান বলেন, 'গবেষণা ছাড়া উচ্চশিক্ষা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে না। আমাদের দেশের তাত্তি্বক শিক্ষা বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু ব্যবহারিক দিক দিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে আছে। তাই জাতির ভাগ্য উন্নয়নে চাই গবেষণাধর্মী শিক্ষা।' তিনি জানান, বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। গবেষণাধর্মী শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ল্যাব, লাইব্রেরি, সায়েন্টিফিক গবেষণার জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল, পিএইচডি করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণের বাইরে থেকে পরিচালিত হচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি। তাঁর মতে, মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নজরদারি দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড এডুকেশনের কনসেপ্ট নিয়ে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা ও শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষ সাধনের মহতী প্রচেষ্টা নিয়ে স্টামফোর্ড কলেজ গ্রুপের যাত্রা শুরু। ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। শিক্ষার মান ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ফলে স্টামফোর্ডকে প্রথম সারির ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইউনিভার্সিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থা এএসিএসবি, এসিবিএসপির সদস্যভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি। বর্তমানে এডুকেশন ফর টুমরো'স ওয়ার্ল্ভ্র এই স্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলছে আগামীর পথে। যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্যে নিত্য-নতুন বিষয় চালু করছে কর্তৃপক্ষ। ১৩টি বিভাগের অধীনে ২৬টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ইউজিসির অনুমোদিত ব্যাচেলর অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, থিয়েটার স্টাডিজ, অ্যাপ্লাইড নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়গুলো অতিসত্বর চালুর অপেক্ষায়। বর্তমানে ৫১, সিদ্ধেশ্বরী রোড, সিদ্ধেশ্বরীতে একটি ও ধানমণ্ডিতে একটি ক্যাম্পাসের আওতাধীন তিনটি ব্লক রয়েছে। আগামী ডিসেম্বর-২০১২ সালের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি। আধুনিক ক্লাস রুম, ল্যাব, লাইব্রেরিসহ খেলাধুলার জন্য মাঠের ব্যবস্থা রাখা হবে।
জনসংযোগ নির্বাহী সুপা সাদিয়া সূত্রমতে জানা যায়, ৪০০ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ আরো কয়েকটি দেশের প্রায় ২০০ জন শিক্ষক অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়ে থাকেন। তাত্তি্বক পড়ার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে স্থাপন করেছে ১২টি সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব। আছে বিভাগভিত্তিক ল্যাব। এর মধ্যে ১০টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ল্যাব, আটটি ফার্মেসি ও মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, পাঁচটি সিভিল ল্যাব, তিনটি ডিজাইন ও ড্রইং ল্যাব, ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, এক্যুয়েস্টিক ল্যাব, তিনটি ভিডিও এডিটিং ল্যাব এবং আটটি প্রফেশনাল ক্যামেরা। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য স্টামফোর্ডের ধানমণ্ডি ও সিদ্ধেশ্বরী দুই ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার বই এবং ১৮ হাজার জার্নাল সংবলিত পাঁচটি লাইব্রেরি। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাঁরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।

No comments

Powered by Blogger.