ছয় বছরে পাঁচ শিক্ষার্থী খুন by নাজমুল আলম শিশির
ছয় বছরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৫ সালে লিটন হত্যার মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল আর সর্বশেষ গতকাল শনিবার লাশ হলেন দীপঙ্কর ঘোষ অনিক ও খায়রুল কবীর। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্র খুন হয় ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই। ছাত্রদলের
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী লিটনকে প্রকাশ্য দিবালোকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে লিটন হত্যার অপরাধে কারো কোনো সাজা হয়নি আজও।
লিটন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ১৩ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছিল। ওই বহিষ্কারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হত্যাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চলে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. সাজেদুল করিম সে সময় লিটনের খুনিদের দুই-এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের লোক দেখানো শাস্তি দিয়েছিলেন। সে সময় লিটনের পরিবার মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে সাজা দেওয়া হয়নি। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ সবাই জানে লিটনের খুনি কারা!
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিবিএর ছাত্র মোশাররফ হোসেন শামীম। ২০০৬ সালের ১৪ মে মারা যান শামীম। ওই বছরের ১২ মে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পাশের রাগিব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে দিন রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর গুলি ছোড়া হলে ছয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৪ মে ভোরে মারা যান মোশাররফ হোসেন শামীম। এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে ছয় মাস। কিন্তু শামীম হত্যার কোনো বিচার হয়নি আজও।
শামীম হত্যার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই সময়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হাবিবুল আহসানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
২০০৮ সালের ২৯ মার্চ কে বা কারা সিলেট নগরীর পাঠানটুলা রাস্তায় মেরে ফেলে রেখেছিল বিবিএর ছাত্র আমিনুল ইসলাম মিলনকে। ওই হত্যাকাণ্ডেরও কোনো বিচার বা তদন্ত হয়নি।
সর্বশেষ গত শুক্রবার বেড়াতে গিয়ে হত্যার শিকার হলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ অনিক ও খায়রুল কবীর।
শাবি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে সিইপি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হবে_তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য শুক্রবার রাজধানীতে মানববন্ধন করব।'
লিটন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ১৩ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছিল। ওই বহিষ্কারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হত্যাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চলে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. সাজেদুল করিম সে সময় লিটনের খুনিদের দুই-এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের লোক দেখানো শাস্তি দিয়েছিলেন। সে সময় লিটনের পরিবার মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে সাজা দেওয়া হয়নি। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ সবাই জানে লিটনের খুনি কারা!
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিবিএর ছাত্র মোশাররফ হোসেন শামীম। ২০০৬ সালের ১৪ মে মারা যান শামীম। ওই বছরের ১২ মে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পাশের রাগিব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে দিন রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর গুলি ছোড়া হলে ছয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৪ মে ভোরে মারা যান মোশাররফ হোসেন শামীম। এ ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে ছয় মাস। কিন্তু শামীম হত্যার কোনো বিচার হয়নি আজও।
শামীম হত্যার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই সময়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হাবিবুল আহসানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
২০০৮ সালের ২৯ মার্চ কে বা কারা সিলেট নগরীর পাঠানটুলা রাস্তায় মেরে ফেলে রেখেছিল বিবিএর ছাত্র আমিনুল ইসলাম মিলনকে। ওই হত্যাকাণ্ডেরও কোনো বিচার বা তদন্ত হয়নি।
সর্বশেষ গত শুক্রবার বেড়াতে গিয়ে হত্যার শিকার হলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ অনিক ও খায়রুল কবীর।
শাবি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে সিইপি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ভুঁইয়া জুয়েল বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হবে_তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য শুক্রবার রাজধানীতে মানববন্ধন করব।'
No comments