ডিভিডিতে আমার বন্ধু রাশেদ
একটি ছোট ছেলের চোখে দেখা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে তৈরি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'আমার বন্ধু রাশেদ'। মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প অবলম্বনে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের মুক্তিযুদ্ধের শিশুতোষ চলচ্চিত্রটি বানিয়েছেন মোরশেদুল ইসলাম। চলতি বছরের ১ এপ্রিল এটি মুক্তি পায়। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও মনন চলচ্চিত্র। শনিবার ছবিটির ডিভিডি ভার্সন বের হয়েছে।
শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ডিভিডির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। এ সময় ছবিটির পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মনিরা মোরশেদ, চিত্রগ্রাহক রতন পাল ও ডিভিডির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়
পর্বে ছবিটি দেখানো হয়।
ছবির পেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মফস্বলের ছোট একটা শহর। আর চরিত্রগুলো হচ্ছে কয়েক স্কুলছাত্র। মূল চরিত্র রাশেদ হঠাৎ স্কুলে হাজির হয়। তার নাম আসলে রাশেদ নয়, স্কুলের শিক্ষক তার ছাত্রদের নিয়ে রাশেদকে এই নামটি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনীতিসচেতন রাশেদ তখন ঠিক তার মতো করে সেটা সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একদিন এই ছোট শহরেও তারা এসে হাজির হয়। ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে থাকে রাশেদ। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েক বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দি হয়ে যায় তাদের পরিচিত এক মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মুত্যুর হাত থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটি আর নেই। কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন।
১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মোরশেদুল ইসলাম ও বরকত উল্লাহ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, ওয়াহিদা মলি্লক, আরমান পারভেজ মুরাদ, হুমায়রা হিমু, এনামুল হক চৌধুরী, জয়িতা আফনান, রায়হান ইফতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, লিখন রাহী, কাওসার আবেদিন, কাজী রায়হানসহ আরও অনেকে।
শেষ হলো জোটের বিজয় উৎসব : সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চার দিনের বিজয় উৎসবের সমাপনী দিনে গতকাল শনিবার তিনটি ভেন্যুতে ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, গান, নাচ, আবৃত্তি, পথনাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান মঞ্চে (বাহাদুর শাহ পার্ক) দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে দুটি সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী সঙ্গীত পরিবেশন করেন কানন বালা সরকার, শান্তা সরকার, মাহবুব রিয়াজ, শমসের আলী, শিবু রায়, সাধনা মিত্র। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন ও নায়লা তারান্নুুম চৌধুরী কাকলী। পথনাটক মঞ্চস্থ করে ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদের 'আগুনের পরশমণি'।
শিল্পী অজিত রায় মঞ্চে (কামাল আহমেদ মজুমদার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্লবী-মিরপুর) সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটার, সাত্তি্বক নাট্য সম্প্রদায়, উদীচী (পল্লবী শাখা), মুকুল ফৌজ (সেকশন শাখা), মিথস্ক্রিয়া আবৃত্তি পরিসর, মুক্তধারা সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র এবং ঢাকা স্বরকল্পন। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র নাসির উদ্দীন ইউসুফের 'একাত্তরের যীশু'।
মুক্তিযোদ্ধা আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদার মঞ্চে (বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন সড়ক, দনিয়া) দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরতাল সঙ্গীত একাডেমী। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে চিত্রন। পথনাটক মঞ্চস্থ করে খেয়ালী নাট্য গোষ্ঠী, সঞ্চালক (মুন্সীগঞ্জ) এবং ভিশন থিয়েটার। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শেখ আলাউল হক। দেলোয়ার বাউল ও তার দল পরিবেশন করে বাউল গান।
শিল্পকলা একাডেমী : বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানমালার সপ্তম দিনে শনিবার একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পী পরিবেশন করেন একক ও দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, শিশুদের সঙ্গীত পরিবেশনা, প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গীত পরিবেশনা, একক আবৃত্তি, বৃন্দ আবৃত্তি, লোক সঙ্গীত ও বাউল সঙ্গীত, জাদু। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ছিল উত্তরাধিকারের 'মৃত্যুপাখী'র প্রদর্শনী। স্টুডিও হলে নাগরিক নাট্যাঙ্গন (বাংলাদেশ) মঞ্চস্থ করে 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি'। একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার মঞ্চস্থ করে পথনাটক 'নতুন প্রজন্ম'। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদের 'আগুনের পরশমণি'। বরাবরের মতো গতকালও জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। আজ রোববারও সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
'না মানুষ' চলচ্চিত্রের দৃশায়ন শুরু : শনিবার সন্ধ্যায় এফডিসির কড়ূইতলায় একটি আইটেম গান দৃশ্য ধারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে 'না মানুষ' চলচ্চিত্রের দৃশায়ন। অনিমেষ আইচের পরিচালনা ও মাহিনা আরেফিন প্রযোজিত নেবুলা প্রডাকশনের ব্যানারে ছবিটিতে অভিনয় করছেন লাক্স সুন্দরী মৌমি ও দীপাক মান। ছবিটিতে নয়নতারা চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্র নায়িকা সিমলা।
শিল্পাঙ্গনে 'অবসরের গান' :ধানমণ্ডির শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে শনিবার শুরু হয়েছে শিল্পী মন্দিরা ভাদুড়ীর অভিষেক একক প্রদর্শনী 'অবসরের গান'। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। এ সময় বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও কবি স্থপতি রবিউল হুসাইন উপস্থিত ছিলেন।
শিকাগো প্রবাসী শিল্পী মন্দিরা ভাদুড়ী তার দেখা প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীবনযাত্রার চিত্র ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে ধরেছেন। মিশ্র মাধ্যম, অ্যাক্রিলিক, কালি-কলমসহ নানা মাধ্যমে আঁকা শিল্পীর ৩২টি চিত্রকর্ম দিয়ে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে। যেখানে রঙের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে নীল, সবুজ, সাদা, কালোসহ গাঢ় রঙ। তবে প্রবাসী এ শিল্পীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আরও তিন শিল্পী জাভেদ জলিল, আমজাদ আকাশ ও রফিক নবীর দুটি করে চিত্র এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সেমিনার ও প্রামাণ্যচিত্র : বিজয়ের চার দশক উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ শনিবার আয়োজন করে সেমিনার ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলানায়তনে 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রামাণ্যচিত্রের অর্জন ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র সমালোচক মাহমুদুল হোসেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন মফিদুল হক, মানজারেহাসীন মুরাদ, হারুন হাবীব. ফৌজিয়া খান ও পলাশ রসুল।
পর্বে ছবিটি দেখানো হয়।
ছবির পেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মফস্বলের ছোট একটা শহর। আর চরিত্রগুলো হচ্ছে কয়েক স্কুলছাত্র। মূল চরিত্র রাশেদ হঠাৎ স্কুলে হাজির হয়। তার নাম আসলে রাশেদ নয়, স্কুলের শিক্ষক তার ছাত্রদের নিয়ে রাশেদকে এই নামটি দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনীতিসচেতন রাশেদ তখন ঠিক তার মতো করে সেটা সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
একসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একদিন এই ছোট শহরেও তারা এসে হাজির হয়। ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে থাকে রাশেদ। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে সে। সঙ্গে কয়েক বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দি হয়ে যায় তাদের পরিচিত এক মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মুত্যুর হাত থেকে।
কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিষ্কার করে রাশেদ নামের বিচিত্র ছেলেটি আর নেই। কিন্তু রাশেদের স্মৃতি তার বন্ধুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকে চিরদিন।
১০০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মোরশেদুল ইসলাম ও বরকত উল্লাহ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, ওয়াহিদা মলি্লক, আরমান পারভেজ মুরাদ, হুমায়রা হিমু, এনামুল হক চৌধুরী, জয়িতা আফনান, রায়হান ইফতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, লিখন রাহী, কাওসার আবেদিন, কাজী রায়হানসহ আরও অনেকে।
শেষ হলো জোটের বিজয় উৎসব : সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চার দিনের বিজয় উৎসবের সমাপনী দিনে গতকাল শনিবার তিনটি ভেন্যুতে ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, গান, নাচ, আবৃত্তি, পথনাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল কাজী নূরুজ্জামান মঞ্চে (বাহাদুর শাহ পার্ক) দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে দুটি সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী সঙ্গীত পরিবেশন করেন কানন বালা সরকার, শান্তা সরকার, মাহবুব রিয়াজ, শমসের আলী, শিবু রায়, সাধনা মিত্র। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন ও নায়লা তারান্নুুম চৌধুরী কাকলী। পথনাটক মঞ্চস্থ করে ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদের 'আগুনের পরশমণি'।
শিল্পী অজিত রায় মঞ্চে (কামাল আহমেদ মজুমদার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্লবী-মিরপুর) সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটার, সাত্তি্বক নাট্য সম্প্রদায়, উদীচী (পল্লবী শাখা), মুকুল ফৌজ (সেকশন শাখা), মিথস্ক্রিয়া আবৃত্তি পরিসর, মুক্তধারা সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র এবং ঢাকা স্বরকল্পন। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র নাসির উদ্দীন ইউসুফের 'একাত্তরের যীশু'।
মুক্তিযোদ্ধা আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদার মঞ্চে (বর্ণমালা স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন সড়ক, দনিয়া) দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরতাল সঙ্গীত একাডেমী। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে চিত্রন। পথনাটক মঞ্চস্থ করে খেয়ালী নাট্য গোষ্ঠী, সঞ্চালক (মুন্সীগঞ্জ) এবং ভিশন থিয়েটার। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শেখ আলাউল হক। দেলোয়ার বাউল ও তার দল পরিবেশন করে বাউল গান।
শিল্পকলা একাডেমী : বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানমালার সপ্তম দিনে শনিবার একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পী পরিবেশন করেন একক ও দলীয় সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, শিশুদের সঙ্গীত পরিবেশনা, প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গীত পরিবেশনা, একক আবৃত্তি, বৃন্দ আবৃত্তি, লোক সঙ্গীত ও বাউল সঙ্গীত, জাদু। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ছিল উত্তরাধিকারের 'মৃত্যুপাখী'র প্রদর্শনী। স্টুডিও হলে নাগরিক নাট্যাঙ্গন (বাংলাদেশ) মঞ্চস্থ করে 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি'। একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার মঞ্চস্থ করে পথনাটক 'নতুন প্রজন্ম'। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদের 'আগুনের পরশমণি'। বরাবরের মতো গতকালও জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। আজ রোববারও সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
'না মানুষ' চলচ্চিত্রের দৃশায়ন শুরু : শনিবার সন্ধ্যায় এফডিসির কড়ূইতলায় একটি আইটেম গান দৃশ্য ধারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে 'না মানুষ' চলচ্চিত্রের দৃশায়ন। অনিমেষ আইচের পরিচালনা ও মাহিনা আরেফিন প্রযোজিত নেবুলা প্রডাকশনের ব্যানারে ছবিটিতে অভিনয় করছেন লাক্স সুন্দরী মৌমি ও দীপাক মান। ছবিটিতে নয়নতারা চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্র নায়িকা সিমলা।
শিল্পাঙ্গনে 'অবসরের গান' :ধানমণ্ডির শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে শনিবার শুরু হয়েছে শিল্পী মন্দিরা ভাদুড়ীর অভিষেক একক প্রদর্শনী 'অবসরের গান'। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। এ সময় বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও কবি স্থপতি রবিউল হুসাইন উপস্থিত ছিলেন।
শিকাগো প্রবাসী শিল্পী মন্দিরা ভাদুড়ী তার দেখা প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীবনযাত্রার চিত্র ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে ধরেছেন। মিশ্র মাধ্যম, অ্যাক্রিলিক, কালি-কলমসহ নানা মাধ্যমে আঁকা শিল্পীর ৩২টি চিত্রকর্ম দিয়ে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে। যেখানে রঙের মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে নীল, সবুজ, সাদা, কালোসহ গাঢ় রঙ। তবে প্রবাসী এ শিল্পীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আরও তিন শিল্পী জাভেদ জলিল, আমজাদ আকাশ ও রফিক নবীর দুটি করে চিত্র এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সেমিনার ও প্রামাণ্যচিত্র : বিজয়ের চার দশক উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ শনিবার আয়োজন করে সেমিনার ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলানায়তনে 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রামাণ্যচিত্রের অর্জন ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র সমালোচক মাহমুদুল হোসেন। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন মফিদুল হক, মানজারেহাসীন মুরাদ, হারুন হাবীব. ফৌজিয়া খান ও পলাশ রসুল।
No comments