গর্ভবতী মায়ের চেক-আপ
গর্ভকালীন সময় স্বামীতো বটেই পরিবারের সবার উচিত বাড়তি মায়ের সেবা ব্যবস্থা করা। খাবার : পুষ্টিকর খাবার, ডিম, দুধ, কলা ও বিভিন্ন ফল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। এসিডিটি থাকলে ঝাল, বাসি ও ভাজাপোড়া খাবেন না। বিশ্রাম : এ সময় দুপুরে ২ ঘণ্টা বিশ্রাম ও রাতে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কাজকর্ম : হালকা কাজকর্ম করতে পারেন। ভারী কাজ যেমন_ কাপড় ধোয়া, মসলা পেষা, ঘর মোছা, উপুড় হয়ে কাজ করা, ভারী
জিনিস তোলা নিষেধ। ভ্রমণ : ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় চলাফেরা করা বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের ভ্রমণ খারাপ। এ সময় ট্রেন ও প্লেন ভ্রমণ মোটামুটি নিরাপদ।
পোশাক : ঢিলেঢালা নরম কাপড়ের পোশাক আরামদায়ক। পেটে টাইট করে কাপড় পরবেন না।
চেকআপ : প্রতি মাসে একবার। শেষের দিকে মাসে ২ বার অথবা ডাক্তারের নির্দেশমতো চেকআপ করাবেন (কমপক্ষে ৪ বার)।
টিটি টিকা : ৫টি টিকা (ধনুস্টংকার) দেওয়া থাকলে আর দরকার নেই। না হলে নিয়ম অনুযায়ী (গর্ভ) প্রথমবার দুটি, পরবর্তী প্রতিবার এনটি করে নিতে হবে।
ডেলিভারি : নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রসব ব্যথা না উঠলে ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখের ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বা হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
সহবাস : প্রথম দিকে ২-৩ মাস সহবাস ঝুঁকিপূর্ণ এবং শেষ এক মাস সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে না।
গর্ভাবস্থায় : আয়রন, ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম গর্ভবতী ও শিশুর জন্য অপরিহার্য। এতে বাচ্চার রক্ত তৈরি ও হাড় সুগঠিত হয়। বাচ্চা বড় হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বংশগত রোগ : যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো রোগ আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।
বল্গাড গ্রুপ : গর্ভবতী মহিলার বল্গাড গ্রুপ নেগেটিভ থাকলে এবং স্বামীর পজিটিভ থাকলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়মিত করাতে হবে।
সতর্কতা : মানসিকভাবে সব সময় হাসি-খুশি ও উৎফুল্ল থাকা ভালো। বিষাদগ্রস্ত থাকলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। সে জন্য পরিবারের সদস্য যেমন_ স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি বা অন্যদের সতর্ক থাকতে হবে।
সচেতন : গর্ভকালীন বিপদ চিহ্নগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। হাত-পায়ে অতিরিক্ত পানি বা ফোলা, দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা, গর্ভকালীন রক্তস্রাব, রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা বেশি, খিঁচুনি হওয়া, পানি ভেঙে যাওয়া, জ্বর হওয়া_ এমন হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
জরুরি বিষয় : জরুরি সময়ের জন্য লোকবল, গাড়ির ব্যবস্থা আগে থেকেই ঠিক রাখতে হবে। কোথায় ডেলিভারি হবে তাও ঠিক করে রাখতে হবে।
অর্থিক ব্যাপার : প্রতি মাসে সাধ্যমতো অল্প করে টাকা জমাতে হবে।
যোগাযোগ : নিজ এলাকায় ডাক্তার, নার্স, সিএসবির ফোন নম্বর রেখে যোগাযোগ করবেন।
ঝুঁকি : ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভ/জটিল গর্ভ (ঐরময জরংশ চৎবমহধহপু) থাকলে আগেই ডাক্তারের নির্দেশমতো হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
কেবল একজন সুস্থ মা-ই পারেন একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে।
অেধ্যাপক নাসিমা বেগম
মহাসচিব, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)
পোশাক : ঢিলেঢালা নরম কাপড়ের পোশাক আরামদায়ক। পেটে টাইট করে কাপড় পরবেন না।
চেকআপ : প্রতি মাসে একবার। শেষের দিকে মাসে ২ বার অথবা ডাক্তারের নির্দেশমতো চেকআপ করাবেন (কমপক্ষে ৪ বার)।
টিটি টিকা : ৫টি টিকা (ধনুস্টংকার) দেওয়া থাকলে আর দরকার নেই। না হলে নিয়ম অনুযায়ী (গর্ভ) প্রথমবার দুটি, পরবর্তী প্রতিবার এনটি করে নিতে হবে।
ডেলিভারি : নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রসব ব্যথা না উঠলে ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখের ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বা হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
সহবাস : প্রথম দিকে ২-৩ মাস সহবাস ঝুঁকিপূর্ণ এবং শেষ এক মাস সহবাস থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে না।
গর্ভাবস্থায় : আয়রন, ফলিক এসিড ও ক্যালসিয়াম গর্ভবতী ও শিশুর জন্য অপরিহার্য। এতে বাচ্চার রক্ত তৈরি ও হাড় সুগঠিত হয়। বাচ্চা বড় হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বংশগত রোগ : যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো রোগ আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে।
বল্গাড গ্রুপ : গর্ভবতী মহিলার বল্গাড গ্রুপ নেগেটিভ থাকলে এবং স্বামীর পজিটিভ থাকলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়মিত করাতে হবে।
সতর্কতা : মানসিকভাবে সব সময় হাসি-খুশি ও উৎফুল্ল থাকা ভালো। বিষাদগ্রস্ত থাকলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। সে জন্য পরিবারের সদস্য যেমন_ স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি বা অন্যদের সতর্ক থাকতে হবে।
সচেতন : গর্ভকালীন বিপদ চিহ্নগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। হাত-পায়ে অতিরিক্ত পানি বা ফোলা, দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা, গর্ভকালীন রক্তস্রাব, রক্তচাপ ১৪০/৯০ বা বেশি, খিঁচুনি হওয়া, পানি ভেঙে যাওয়া, জ্বর হওয়া_ এমন হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
জরুরি বিষয় : জরুরি সময়ের জন্য লোকবল, গাড়ির ব্যবস্থা আগে থেকেই ঠিক রাখতে হবে। কোথায় ডেলিভারি হবে তাও ঠিক করে রাখতে হবে।
অর্থিক ব্যাপার : প্রতি মাসে সাধ্যমতো অল্প করে টাকা জমাতে হবে।
যোগাযোগ : নিজ এলাকায় ডাক্তার, নার্স, সিএসবির ফোন নম্বর রেখে যোগাযোগ করবেন।
ঝুঁকি : ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভ/জটিল গর্ভ (ঐরময জরংশ চৎবমহধহপু) থাকলে আগেই ডাক্তারের নির্দেশমতো হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
কেবল একজন সুস্থ মা-ই পারেন একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে।
অেধ্যাপক নাসিমা বেগম
মহাসচিব, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)
No comments