আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন না ধোনি!

স্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনের ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরে হয়তো খেলবেন না ভারতীয় দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি! ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন এক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। বিশ্বকাপ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া সফর শুরুর আগে এমন সম্ভাবনার কারণও ব্যাখ্যা করলেন ২০০৫ সাল থেকে ভারতীয় দলে নিয়মিত ধোনি। বললেন, ২০১৫ সাল আসতে এখনও সাড়ে তিন বছর বাকি। আমি নিজেই জানি না, সে সময় আমার অবস্থানটি


কী থাকবে? ২০১৩ সালে সবকিছু ভালো চললে হয়তো ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। তাই বলছিলাম যে, আগামী বিশ্বকাপে খেলা না খেলার নিয়ে সিদ্ধান্তটি নেব ২০১৩ সালে। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ধোনি বিষয়টির আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, আপনি নিজেও তো চাইবেন না দলটিতে এমন একজন উইকেটকিপার থাকুক যার খেলা ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ৮০ বা ১০০। নতুন কাউকে প্রস্তুত করতে সে ক্ষেত্রে সময় প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ২০১৩ সালই সবচেয়ে ভালো।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ভারতের ব্যস্ত সূচির মধ্যে যোগ হয়েছে আইপিএল। এ কারণে ধোনি নিজেও গুরুত্বপূর্ণ সফরের আগে ক্রিকেটারদের বিশ্রামে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। বিশ্বকাপ ধকলের পর ধোনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাননি, দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরতি ওয়ানডে সিরিজেও খেলেননি। দু'দফাতেই ধোনির বদলি হিসেবে ভারতীয় দলে ছিলেন পার্থিব প্যাটেল।
ধোনির ট্রফি রাখার জায়গাটি প্রতি বছরই স্ফীত হচ্ছে। এরই মধ্যে সেখানে যোগ হয়েছে সীমিত আর সংক্ষিপ্ত দুটি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি, আছে আইপিএলের দুটি আসরের ট্রফি। আছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ট্রফিটিও। এত ট্রফির মধ্যে নিশ্চিত করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফিই সেরা। হবেই না কেন... শ্রীলংকার বিপক্ষে ফাইনালে ৯১ রানের ঝকমকে ইনিংসে নিজে ম্যাচসেরা তো বটেই, সে সঙ্গে চার বছরের জন্য ক্রিকেট বিশ্বের কর্তৃকটাও তাদের কাছে। সে দিনের সেই অনুভূতির কথাও জানালেন ধোনি। বললেন, হ্যাঁ আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। জীবনেও সেই দিনটির কথা ভুলব না। আবেগ ধরে রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেছিলাম। এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফিরতে চেয়েছিলাম; কিন্তু দেখলাম, আমার বেশকিছু সতীর্থের চোখেও আনন্দ অশ্রু। আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। তাদের ধরে কেঁদে ফেলেছিলাম। একসময় নিজেকে উদ্ধার করলাম একদল সমর্থকের সামনে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য এটি একটি বড় অর্জন। ২৮ বছর আগে একবার বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। সে কারণেই আমাদের সমর্থকরা মনে প্রাণে আরেকবার শিরোপার স্বাদ পেতে চাইছিল। কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি যখন সাজঘরে ঢুকেছিল, তখনও সতীর্থরা আরেক দফা কেঁদে ফেলেছিল। খেয়াল করলে দেখবেন শুধু আমি নই, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে দলের সব ক্রিকেটারই কেঁদেছিল।
অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে ধোনি কথা বললেন নিজের ট্রেডমার্ক শট 'হেলিকপ্টার শট' নিয়েও। ঝাড়খণ্ডে ১৬ু১৮ গজের উইকেটে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলার কারণেই ধোনির এই আবিষ্কার।

No comments

Powered by Blogger.