খুলনা শিপইয়ার্ডের অগ্রবর্তী ইয়ার্ড নির্মাণ শুরু by কনক রহমান
আন্তর্জাতিক মানের বড় জাহাজ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য মংলার জয়মনিরঘোলে অগ্রবর্তী ইয়ার্ড নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে এখন বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার পাশাপাশি চলছে অন্যান্য প্রস্তুতি। এ ইয়ার্ডে ৩ হাজার টনেরও বেশি ওজনের বড় জাহাজ তৈরি করা হবে। নৌবাহিনীর পরিচালনাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) ক্যাপ্টেন
আনিসুর রহমান মোল্লা জানান, খুলনা মহানগরীর লবণচরায় অবস্থিত শিপইয়ার্ডে বর্তমানে ১৮০ ফুট দীর্ঘ ও সর্বোচ্চ ৭০০ টন ওজনের জাহাজ তৈরি করা সম্ভব হয়। জায়গার অভাবসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এখানে বর্তমানে বড় জাহাজ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, এসব বিষয় বিবেচনায় এনে প্রায় আড়াই বছর আগে মংলাবন্দর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীরে মংলার জয়মনিরঘোলে খুলনা শিপইয়ার্ডের অগ্রবর্তী আরেকটি ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ওই ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ৪২ দশমিক ৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে শিপইয়ার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এরপর ওই জমিতে মাটি ভরাট করা হবে।
শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজার জানান, ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট কোলাবরেশনে (যৌথ ব্যবস্থাপনায়) ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য কিছুদিন আগে তাদের ওয়েবসাইটে ইওআই বা এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (আগ্রহ প্রকাশপত্র) চাওয়া হয়। চীনা ও মালয়েশিয়ান দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালের ২৩ নভেম্বর ৬৮ দশমিক ৯৭ একর জমির ওপর শিপইয়ার্ড উদ্বোধন হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত শিপইয়ার্ড লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে বাড়তে থাকে লোকসান। অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দায়দেনা, মূলধন স্বল্পতার কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় শিপইয়ার্ডটি। এ অবস্থায় ১৯৯৯ সালে শিপইয়ার্ডকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছর ৩ অক্টোবর শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনী দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় রুগ্ণ ও লোকসানি এ প্রতিষ্ঠান লাভজনকে পরিণত করে।
শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজার জানান, ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট কোলাবরেশনে (যৌথ ব্যবস্থাপনায়) ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য কিছুদিন আগে তাদের ওয়েবসাইটে ইওআই বা এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (আগ্রহ প্রকাশপত্র) চাওয়া হয়। চীনা ও মালয়েশিয়ান দুটি কোম্পানিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালের ২৩ নভেম্বর ৬৮ দশমিক ৯৭ একর জমির ওপর শিপইয়ার্ড উদ্বোধন হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত শিপইয়ার্ড লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু ১৯৮৫ সাল থেকে বাড়তে থাকে লোকসান। অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দায়দেনা, মূলধন স্বল্পতার কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় শিপইয়ার্ডটি। এ অবস্থায় ১৯৯৯ সালে শিপইয়ার্ডকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছর ৩ অক্টোবর শিপইয়ার্ডকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নৌবাহিনী দায়িত্বভার গ্রহণের পর তাদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় রুগ্ণ ও লোকসানি এ প্রতিষ্ঠান লাভজনকে পরিণত করে।
No comments