চারদলীয় জোটের ব্যাপ্তি বাড়ছে নামও বদলাতে পারে by শফিক সাফি
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের পরিধি বাড়ছে। কয়েকটি দলকে সরাসরি জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী বিএনপি। জোটের পরিধি সম্প্রসারণের কারণে 'চারদলীয় ঐক্যজোট' নামটিও থাকছে না। ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করবে জোট। তবে সমমনা হিসেবে পরিচিত দলগুলোকে জোটে অন্তর্ভুক্ত না করে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে চায় বিএনপি। যদিও 'সমমনা দলগুলো' সরাসরি জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্রে এসব তথ্য
জানা গেছে। সূত্র মতে, যেকোনো দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে এলডিপিকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। একইভাবে দলটি জোটকে আরো শক্তিশালী করতে বিকল্প ধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, জেএসডিসহ কয়েকটি দলকে এক কাতারে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ফখরুল। তাঁদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন। এ দুটি দলের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করতে পারেন তিনি। ঐক্যপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং জেএসডি প্রধান আ স ম আবদুর রবের সঙ্গেও ফখরুল কথা বলেছেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা যায়।
এদিকে জোটে দলের সংখ্যা বাড়ায় 'চারদলীয় ঐক্যজোট' নামটি আর থাকছে না। জোটের সম্ভাব্য নতুন নাম নিয়ে বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতারা খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, নতুন নাম হিসেবে 'বৃহত্তর ঐক্যজোট' অথবা 'বৃহত্তর ঐক্যফ্রন্ট' প্রস্তাব করা হয়েছে খালেদা জিয়ার কাছে। এ ছাড়া 'ন্যাশনাল ফ্রন্ট' অথবা সংখ্যাবাচক কোনো নাম রাখারও প্রস্তাব দিয়েছেন কয়েকজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, জোটের পরিধি বাড়ছে এটা নিশ্চিত। দু-একটি দলের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়েছে। বাকিদের সঙ্গে কথা চলছে। জোটের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই নাম পরিবর্তন হবে। তবে কী নামে জোট আত্মপ্রকাশ করবে তা নির্ভর করছে কতগুলো দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হয় তার ওপর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জানান, চারদলীয় জোটে এলডিপি আসছে। বিকল্প ধারাসহ আরো দু-একটি দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, 'গত রবিবার আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলেছি। সে সময় আমাদের অনেকে জোটের নাম প্রস্তাব করেছেন। কেউ ন্যাশনাল ফ্রন্ট রাখা যায় কি না সে বিষয়ে মত দিয়েছেন। কেউ বলেছেন, জোটের শরিক দলের সংখ্যা অনুযায়ী নামকরণ করতে।'
সমমনা দলগুলোকে জোটভুক্ত না করার কারণ : চারদলীয় ঐক্যজোটের শরিক হতে চায় বেশ কিছু 'সমমনা' দল। এ নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অনেকে দেন-দরবার করছেন। কিন্তু তাঁদের এ আবদার মানতে নারাজ বেগম জিয়া। এই দলগুলোকে সরাসরি জোটের শরিক হিসেবে না নিয়ে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে চিন্তা করছে বিএনপি। এ জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ওই লিয়াজোঁ কমিটিতে সমমনা এসব দলের নেতাদের স্থান দেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। কিন্তু তাদের সাংগঠনিক অবস্থা একেবারেই নাজুক। আবার বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী, নির্দলীয় জন আন্দোলন_এসব দলের নির্বাচন কমিশনে কোনো নিবন্ধন নেই। এ অবস্থায় জোটে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে। তাই কৌশলগত কারণে তাদের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, 'সমমনা দলগুলোকে জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবে এখন পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তই রয়েছে।'
জোটে অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও অনেক দলই বিএনপির সঙ্গ ছাড়তে নারাজ।
এ বিষয়ে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, 'আমরা জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। সব নেতাই একবাক্যে বলেছেন, আন্দোলন সফল করতে হলে আমাদের জোটভুক্ত থাকতে হবে। আমাদের বিভিন্ন প্রস্তাব খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুনেছেন। নেত্রী জানিয়েছেন, এগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। শিগগিরই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাঁরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। জোটভুক্তির ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'
জোটে জায়গা না হলে পক্ষ ত্যাগ করবেন কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, 'এখানে মান-অভিমানের কোনো স্থান নেই। সবার সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।'
এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু বলেন, 'আমরা জোটে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোটভুক্ত না হলে সেখানে থাকব কি না সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে চারদলীয় জোটে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নেত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ফখরুল। তাঁদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন। এ দুটি দলের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করতে পারেন তিনি। ঐক্যপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং জেএসডি প্রধান আ স ম আবদুর রবের সঙ্গেও ফখরুল কথা বলেছেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা যায়।
এদিকে জোটে দলের সংখ্যা বাড়ায় 'চারদলীয় ঐক্যজোট' নামটি আর থাকছে না। জোটের সম্ভাব্য নতুন নাম নিয়ে বিএনপি ও অন্যান্য দলের নেতারা খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, নতুন নাম হিসেবে 'বৃহত্তর ঐক্যজোট' অথবা 'বৃহত্তর ঐক্যফ্রন্ট' প্রস্তাব করা হয়েছে খালেদা জিয়ার কাছে। এ ছাড়া 'ন্যাশনাল ফ্রন্ট' অথবা সংখ্যাবাচক কোনো নাম রাখারও প্রস্তাব দিয়েছেন কয়েকজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, জোটের পরিধি বাড়ছে এটা নিশ্চিত। দু-একটি দলের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়েছে। বাকিদের সঙ্গে কথা চলছে। জোটের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই নাম পরিবর্তন হবে। তবে কী নামে জোট আত্মপ্রকাশ করবে তা নির্ভর করছে কতগুলো দল জোটে অন্তর্ভুক্ত হয় তার ওপর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জানান, চারদলীয় জোটে এলডিপি আসছে। বিকল্প ধারাসহ আরো দু-একটি দলের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, 'গত রবিবার আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলেছি। সে সময় আমাদের অনেকে জোটের নাম প্রস্তাব করেছেন। কেউ ন্যাশনাল ফ্রন্ট রাখা যায় কি না সে বিষয়ে মত দিয়েছেন। কেউ বলেছেন, জোটের শরিক দলের সংখ্যা অনুযায়ী নামকরণ করতে।'
সমমনা দলগুলোকে জোটভুক্ত না করার কারণ : চারদলীয় ঐক্যজোটের শরিক হতে চায় বেশ কিছু 'সমমনা' দল। এ নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অনেকে দেন-দরবার করছেন। কিন্তু তাঁদের এ আবদার মানতে নারাজ বেগম জিয়া। এই দলগুলোকে সরাসরি জোটের শরিক হিসেবে না নিয়ে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে চিন্তা করছে বিএনপি। এ জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ওই লিয়াজোঁ কমিটিতে সমমনা এসব দলের নেতাদের স্থান দেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। কিন্তু তাদের সাংগঠনিক অবস্থা একেবারেই নাজুক। আবার বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ন্যাপ ভাসানী, নির্দলীয় জন আন্দোলন_এসব দলের নির্বাচন কমিশনে কোনো নিবন্ধন নেই। এ অবস্থায় জোটে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে। তাই কৌশলগত কারণে তাদের ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, 'সমমনা দলগুলোকে জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবে এখন পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তই রয়েছে।'
জোটে অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও অনেক দলই বিএনপির সঙ্গ ছাড়তে নারাজ।
এ বিষয়ে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, 'আমরা জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। সব নেতাই একবাক্যে বলেছেন, আন্দোলন সফল করতে হলে আমাদের জোটভুক্ত থাকতে হবে। আমাদের বিভিন্ন প্রস্তাব খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুনেছেন। নেত্রী জানিয়েছেন, এগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। শিগগিরই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাঁরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। জোটভুক্তির ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'
জোটে জায়গা না হলে পক্ষ ত্যাগ করবেন কি না জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, 'এখানে মান-অভিমানের কোনো স্থান নেই। সবার সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।'
এনপিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু বলেন, 'আমরা জোটে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোটভুক্ত না হলে সেখানে থাকব কি না সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে চারদলীয় জোটে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নেত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
No comments