আত্মবিশ্বাস ফেরাল যে জুটি by নাজমুল হক নোবেল
এ সিরিজে বাংলাদেশের প্রত্যাশা বেশি কিছু ছিল না। পাকিস্তানের বোলিং লাইন দারুণ শক্তিশালী। তার ওপর আছে দুর্দান্ত ফর্মে। শ্রীলংকার মতো দলকে মাত্র গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে তারা। সেই টি২০ থেকে চট্টগ্রাম টেস্ট পর্যন্ত দেখা গেল, পাক বোলাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউট করেছেন খুবই কমই, আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেরাই অকাতরে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করার ধরন দেখে অনেকে তো বাংলাদেশের টেস্ট খেলার
যোগ্যতা নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছিল; কিন্তু একটি মাত্র জুটি বন্ধ করে দিয়েছে সব সমালোচনা। স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রমাণ করে দিয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শট খেলা মানে শুধু উইকেট দিয়ে আসা নয়, তারা রানও করতে পারে।
অবশ্য গত কিছু দিন ধরেই টেস্টে ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছিল না বাংলাদেশের। সেই ২০১০ সালের জুনের পর থেকে টেস্টে কোনো সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি তারা। টেস্ট অঙ্গনে নবীন এ দেশটি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় অনেক কম। তেরো-চোদ্দ মাস পরপর টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেও সেখানে টেস্ট ব্যাটিংয়ের মেজাজটা দেখা যায় না। গতকালও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল অত্যন্ত বাজে। এমনিতেই কুয়াশা এবং কনকনে বাতাসের কারণে বোলারদের অনুকূল পরিবেশ, সে সঙ্গে ছিল টপ অর্ডারের বাজে শট খেলার প্রবণতা এবং আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তও। ফল স্বরূপ, ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ; কিন্তু সেখান থেকে সাকিব-নাফীস জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াল দল। ১৮০ রানের জুটিটি তারা গড়েছেন কোনো আজেবাজে শট ছাড়া। এবং প্রায় সাড়ে তিনের ওপরে ওভারপ্রতি রান। এ জুটিটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কতটা প্রয়োজন ছিল, তা টের পাওয়া যায় শাহরিয়ার নাফীসের কথায়, 'গত ক'দিন ধরে যার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার মুখ থেকেই আমাদের ব্যাটিং সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনেছি। তাই কিছু একটা করার জন্য মরিয়া ছিলাম। দলের জন্য এ জুটিটা ভীষণ প্রয়োজন ছিল।'
দুই বাঁ-হাতির রসায়নটাও ছিল বেশ মজার। নাফীস এখন আর সে আগের ফর্মে নেই। বড় রান পান না অনেক দিন। অন্যদিকে সাকিব গত কিছু দিন ধরে বলতে গেলে একাই টানছিলেন দলকে। নাফীস জানালেন, তারা দু'জন নিজের মতো করেই খেলেছেন, 'সাকিব অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করে। যে কোনো পরিস্থিতি সে ঠাণ্ডা করে দিতে পারে। সে খুব ভালো স্পিন খেলে। তবে আমরা কিন্তু তেমন কোনো পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করিনি। সে তার মতো করে এবং আমি আমার মতো করে ব্যাটিং করেছি। নিজেদের মধ্যে প্রচুর কথা বলেছি। আরেকটা বিষয় হলো, আমরা অনেক সিঙ্গেলস নিয়েছি।'
সাকিব মাঠে নেমেই অত্যন্ত পজেটিভভাবে ব্যাট চালানো শুরু করেন। আর নাফীস অন্য দিনের মতো তাড়াহুড়ো করেননি। বুঝেশুনে শট খেলতে থাকেন। তাদের দু'জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে উমর গুল ও আইজাজ চিমাকে সরিয়ে স্পিনার নিয়ে আসেন পাক অধিনায়ক; কিন্তু সাঈদ আজমল, আবদুর রেহমান এবং মোহাম্মদ হাফিজকেও আস্থার সঙ্গে খেলেন তারা। সাঈদ আজমলকে একটি ব্যাকফুট পাঞ্চে নিজের পঞ্চাশের সঙ্গে জুটির সেঞ্চুরিটাও পূরণ করে নেন সাকিব। ২০১০ সালের জুনে ম্যানচেস্টারে তামিম-ইমরুল সর্বশেষ বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। এরপর তারা পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন রেকর্ডটাও বাগিয়ে নেন। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে কিউইদের বিপক্ষে ১৪৪ রান করে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মেহরাব জুনিয়র; কিন্তু স্মরণীয় একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে রক্ষা করলেও দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফীস। তবে নাফীস না পারলেও তার সঙ্গী সাকিব কিন্তু ঠিকই দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটি তুলে নিয়েছেন। সে সঙ্গে দেশের মাটিতে হাজার রানের মাইলফলকও অতিক্রম করেন তিনি। সত্যিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের 'অক্সিজেন' এ জুটি।
অবশ্য গত কিছু দিন ধরেই টেস্টে ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছিল না বাংলাদেশের। সেই ২০১০ সালের জুনের পর থেকে টেস্টে কোনো সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি তারা। টেস্ট অঙ্গনে নবীন এ দেশটি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় অনেক কম। তেরো-চোদ্দ মাস পরপর টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেও সেখানে টেস্ট ব্যাটিংয়ের মেজাজটা দেখা যায় না। গতকালও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল অত্যন্ত বাজে। এমনিতেই কুয়াশা এবং কনকনে বাতাসের কারণে বোলারদের অনুকূল পরিবেশ, সে সঙ্গে ছিল টপ অর্ডারের বাজে শট খেলার প্রবণতা এবং আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তও। ফল স্বরূপ, ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ; কিন্তু সেখান থেকে সাকিব-নাফীস জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াল দল। ১৮০ রানের জুটিটি তারা গড়েছেন কোনো আজেবাজে শট ছাড়া। এবং প্রায় সাড়ে তিনের ওপরে ওভারপ্রতি রান। এ জুটিটি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কতটা প্রয়োজন ছিল, তা টের পাওয়া যায় শাহরিয়ার নাফীসের কথায়, 'গত ক'দিন ধরে যার সঙ্গে দেখা হয়েছে তার মুখ থেকেই আমাদের ব্যাটিং সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনেছি। তাই কিছু একটা করার জন্য মরিয়া ছিলাম। দলের জন্য এ জুটিটা ভীষণ প্রয়োজন ছিল।'
দুই বাঁ-হাতির রসায়নটাও ছিল বেশ মজার। নাফীস এখন আর সে আগের ফর্মে নেই। বড় রান পান না অনেক দিন। অন্যদিকে সাকিব গত কিছু দিন ধরে বলতে গেলে একাই টানছিলেন দলকে। নাফীস জানালেন, তারা দু'জন নিজের মতো করেই খেলেছেন, 'সাকিব অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করে। যে কোনো পরিস্থিতি সে ঠাণ্ডা করে দিতে পারে। সে খুব ভালো স্পিন খেলে। তবে আমরা কিন্তু তেমন কোনো পরিকল্পনা করে ব্যাটিং করিনি। সে তার মতো করে এবং আমি আমার মতো করে ব্যাটিং করেছি। নিজেদের মধ্যে প্রচুর কথা বলেছি। আরেকটা বিষয় হলো, আমরা অনেক সিঙ্গেলস নিয়েছি।'
সাকিব মাঠে নেমেই অত্যন্ত পজেটিভভাবে ব্যাট চালানো শুরু করেন। আর নাফীস অন্য দিনের মতো তাড়াহুড়ো করেননি। বুঝেশুনে শট খেলতে থাকেন। তাদের দু'জনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে উমর গুল ও আইজাজ চিমাকে সরিয়ে স্পিনার নিয়ে আসেন পাক অধিনায়ক; কিন্তু সাঈদ আজমল, আবদুর রেহমান এবং মোহাম্মদ হাফিজকেও আস্থার সঙ্গে খেলেন তারা। সাঈদ আজমলকে একটি ব্যাকফুট পাঞ্চে নিজের পঞ্চাশের সঙ্গে জুটির সেঞ্চুরিটাও পূরণ করে নেন সাকিব। ২০১০ সালের জুনে ম্যানচেস্টারে তামিম-ইমরুল সর্বশেষ বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। এরপর তারা পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন রেকর্ডটাও বাগিয়ে নেন। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে কিউইদের বিপক্ষে ১৪৪ রান করে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মেহরাব জুনিয়র; কিন্তু স্মরণীয় একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে রক্ষা করলেও দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফীস। তবে নাফীস না পারলেও তার সঙ্গী সাকিব কিন্তু ঠিকই দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটি তুলে নিয়েছেন। সে সঙ্গে দেশের মাটিতে হাজার রানের মাইলফলকও অতিক্রম করেন তিনি। সত্যিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের 'অক্সিজেন' এ জুটি।
No comments