ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ৪০তম বিজয় বার্ষিকী
ব্র্রিটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একমাত্র এমপি রোশনারা আলীর উদ্যোগে এবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী। আর এই বিজয়বার্ষিকীতে অংশ নেন পার্লামেন্টের স্পিকার, মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় চল্লিশ জন এমপি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং রোশনারা আলীর নির্বাচনী এলাকা পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের কয়েকটি স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। ১৪ ডিসেম্বর বুধবার পার্লামেন্টের স্পিকার হাউসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ৪০তম বিজয় বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্পিকার জন বারকো, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরেন অফিস মিনিস্টার জেরিমি ব্রাউন এমপি ও শ্যাডো ফরেন অফিস মিনিস্টার ডগলাস আলেকজান্ডার এমপি।
সিনিয়র রাজনীতিক ও এমপিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ব্লাংকেট এমপি, সাবেক হোম অফিস মিনিস্টার অ্যালান মিচেল এমপি, শ্যাডো ইন্টারন্যাশনেল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার ইভান লিউইচ এমপি, জনাথন অ্যাশওয়ার্থ এমপি, মার্ক লেজারোউইচ এমপি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ এমপি, লর্ড কিনক, ব্যরোনেস কিনক, ব্যারোনেস উইটেকার ও লর্ড এবং লেডি গাভরন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এমপিরা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে রোশনারা তার বক্তৃতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪০তম বার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ‘জন্মের মাত্র চল্লিশ বছরের মাথায় বাংলাদেশ আজ নতুন আরেক সংকটে নিপতিত। বাংলাদেশের জন্যে নতুন ঝুঁকি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপদ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় নিজেদের ক্যাম্পেইনের কথা উল্লেখ করে রোশনারা বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাইমেট চেঞ্জ ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সংগ্রহের ক্যাম্পেইন করছে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রিটিশ এমপিদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন রোশনারা। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
রোশনারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির জন্যে বাংলাদেশ বা এই দেশের জনগণ দায়ী নয়। তাহলে কেন তারা এর দায় একা বহন করবে। তিনি এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রাদায়কে বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করার আন্দোলনে ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের হোস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার জন বারকো বাংলাদেশের জন্মের ৪০তম বার্ষিকীতে দেশটির সরকার ও জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকেও বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ব্রিটেন-বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এটিই হোক আজকের এই শুভদিনে আমাদের সবার কামনা। স্পিকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তার বক্তৃতায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ৪০তম বিজয় বার্ষিকীতে রোশনারা আলীর উদ্যোগে ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের প্রতি যে সম্মান জানালেন তাতে তিনি অভিভূত।
দীপু মনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনীতিকদের সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অংশ।
ব্রিটেন-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটেন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। আর রোশনারা আলীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যে ক্যাম্পেইন হচ্ছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। আশাকরি, জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্র্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে ব্রিটেন।’ এই ক্যাম্পেইনে ব্রিটেনের নেতৃত্ব চান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চল্লিশতম বিজয় বার্ষিকী উদযাপন করার আগে সেদিনই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বেও রোশনারা আলী জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহবান জানান।
সিনিয়র রাজনীতিক ও এমপিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ব্লাংকেট এমপি, সাবেক হোম অফিস মিনিস্টার অ্যালান মিচেল এমপি, শ্যাডো ইন্টারন্যাশনেল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার ইভান লিউইচ এমপি, জনাথন অ্যাশওয়ার্থ এমপি, মার্ক লেজারোউইচ এমপি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ এমপি, লর্ড কিনক, ব্যরোনেস কিনক, ব্যারোনেস উইটেকার ও লর্ড এবং লেডি গাভরন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এমপিরা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে রোশনারা তার বক্তৃতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪০তম বার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ‘জন্মের মাত্র চল্লিশ বছরের মাথায় বাংলাদেশ আজ নতুন আরেক সংকটে নিপতিত। বাংলাদেশের জন্যে নতুন ঝুঁকি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপদ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় নিজেদের ক্যাম্পেইনের কথা উল্লেখ করে রোশনারা বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাইমেট চেঞ্জ ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সংগ্রহের ক্যাম্পেইন করছে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্রিটিশ এমপিদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন রোশনারা। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
রোশনারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির জন্যে বাংলাদেশ বা এই দেশের জনগণ দায়ী নয়। তাহলে কেন তারা এর দায় একা বহন করবে। তিনি এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রাদায়কে বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করার আন্দোলনে ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের হোস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার জন বারকো বাংলাদেশের জন্মের ৪০তম বার্ষিকীতে দেশটির সরকার ও জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকেও বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ব্রিটেন-বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এটিই হোক আজকের এই শুভদিনে আমাদের সবার কামনা। স্পিকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তার বক্তৃতায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ৪০তম বিজয় বার্ষিকীতে রোশনারা আলীর উদ্যোগে ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের প্রতি যে সম্মান জানালেন তাতে তিনি অভিভূত।
দীপু মনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনীতিকদের সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অংশ।
ব্রিটেন-বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিটেন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। আর রোশনারা আলীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যে ক্যাম্পেইন হচ্ছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। আশাকরি, জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্র্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করবে ব্রিটেন।’ এই ক্যাম্পেইনে ব্রিটেনের নেতৃত্ব চান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চল্লিশতম বিজয় বার্ষিকী উদযাপন করার আগে সেদিনই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বেও রোশনারা আলী জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহবান জানান।
No comments