নরসিংদী পৌর নির্বাচন-আ. লীগের সভায় মন্ত্রী রাজুর পক্ষে সাফাই নিয়ে বিতণ্ডা-লোকমানের বাড়িতে আলাদা সভা
নরসিংদী পৌর উপনির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার জরুরি সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সড়ক রোডের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভা হয়। তবে সভার বেশির ভাগ সময় মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী ঘটনার আলোচনা হয়েছে। এতে লোকমান হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে সদরের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরুর (বীরপ্রতীক) সঙ্গে জেলা
আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এ হাদীর মৃদু বাগ্বিতণ্ডা হয়। সভায় মেয়র লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভঁূইয়ার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। তাঁদের ভালো মানুষ উল্লেখ করে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন না বলে কয়েকজন নেতা দাবি তোলেন। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। জেলা আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। এদিকে সন্ধ্যায় শহরের বাসাইল মহল্লায় মেয়র ভবনে প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের বাড়িতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শহর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভায় দলের জেলা সহসভাপতি এস এ হাদীকে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞাকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে উপদেষ্টা করা হয়েছে জেলার চার সসংদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ পাঁচজনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, জি এম তালেব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরুল হক ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক সেন্টু মিয়া, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম ফারুক, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফছার উদ্দিন মাস্টার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু। বোর্ডের আহ্বায়কসহ বেশির ভাগ সদস্য পৌর এলাকার বাইরের হওয়ায় মনোনয়ন বোর্ড নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সভায় অংশ নেওয়া নেতারা জানান, সভার শুরুতেই মেয়র লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু ও মোন্তাজ উদ্দিন ভঁূইয়ার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার বা অব্যাহতির দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাক আহমেদ ভঁূইয়া। তিনি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই। তাঁর সঙ্গে একই দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য আসাদুজ্জামান খোকন। সভায় এস এ হাদী গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, 'মানুষ পরিচিত হয় বাবার পরিচয়ে, ভাইয়ের পরিচয়ে নয়। কিন্তু মেয়র লোকমানের হত্যাকাণ্ডে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ভাইয়ের নাম আসে কেন?' ব্যক্তির জন্য ভাইকে দোষারোপ করা ঠিক হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন।
তবে সভায় সদরের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, মাননীয় মন্ত্রীর (ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু) সঙ্গে মেয়র লোকমানের বিরোধ ছিল। এ কথা বলতেই সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন এস এ হাদী। তিনি সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে লোকমানের বিরোধ ছিল না, বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। তখন সংসদ সদস্য উদাহরণ টেনে বলেন, বিরোধ না থাকলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নরসিংদীতে ঝাড়ু মিছিল হলো কেন? এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মৃদু বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হলে অন্যদের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়।
সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আসাদুজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'দলের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয়, দলকে যাতে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রেখে মনোনয়ন কমিটি তাদের কাজ করে যাবে। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে, প্রয়োজনে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সব কিছু ঠিক করব।'
লোকমানের বাড়িতে সভা : মেয়র ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের মা মাজেদা বেগম বলেন, 'নরসিংদী শহরের উন্নয়নের জন্য আমার বুক থেকে এক ছেলে চলে গেছে। এর পরও মা হয়ে শহরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আপনাদের হাতে আমার আরেক ছেলেকে তুলে দিলাম। আপনারা আমার ছেলেকে নিজের সন্তানের মতো দেখে রাখবেন। মা হয়ে কথা দিলাম, কামরুজ্জামান লোকমান হোসেনের মতো আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে পাশে থাকবে।' এ সময় সভায় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকমান হোসেনের ছোট ভাই মেয়র পদপ্রার্থী কামরুজ্জামান, নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফছার উদ্দিন মাস্টার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু, নরসিংদী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জহিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, পৌরসভার সব কাউন্সিলরসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। গত ১ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
আওয়ামী লীগের সভায় দলের জেলা সহসভাপতি এস এ হাদীকে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞাকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যের মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে উপদেষ্টা করা হয়েছে জেলার চার সসংদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ পাঁচজনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, জি এম তালেব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরুল হক ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক সেন্টু মিয়া, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ খান, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম ফারুক, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফছার উদ্দিন মাস্টার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু। বোর্ডের আহ্বায়কসহ বেশির ভাগ সদস্য পৌর এলাকার বাইরের হওয়ায় মনোনয়ন বোর্ড নিয়ে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সভায় অংশ নেওয়া নেতারা জানান, সভার শুরুতেই মেয়র লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু ও মোন্তাজ উদ্দিন ভঁূইয়ার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার বা অব্যাহতির দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তাক আহমেদ ভঁূইয়া। তিনি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার বড় ভাই। তাঁর সঙ্গে একই দাবি জানান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সদস্য আসাদুজ্জামান খোকন। সভায় এস এ হাদী গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, 'মানুষ পরিচিত হয় বাবার পরিচয়ে, ভাইয়ের পরিচয়ে নয়। কিন্তু মেয়র লোকমানের হত্যাকাণ্ডে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ভাইয়ের নাম আসে কেন?' ব্যক্তির জন্য ভাইকে দোষারোপ করা ঠিক হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন।
তবে সভায় সদরের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, মাননীয় মন্ত্রীর (ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু) সঙ্গে মেয়র লোকমানের বিরোধ ছিল। এ কথা বলতেই সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন এস এ হাদী। তিনি সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে লোকমানের বিরোধ ছিল না, বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। তখন সংসদ সদস্য উদাহরণ টেনে বলেন, বিরোধ না থাকলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নরসিংদীতে ঝাড়ু মিছিল হলো কেন? এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মৃদু বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হলে অন্যদের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়।
সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আসাদুজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'দলের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয়, দলকে যাতে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রেখে মনোনয়ন কমিটি তাদের কাজ করে যাবে। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে, প্রয়োজনে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সব কিছু ঠিক করব।'
লোকমানের বাড়িতে সভা : মেয়র ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রয়াত মেয়র লোকমান হোসেনের মা মাজেদা বেগম বলেন, 'নরসিংদী শহরের উন্নয়নের জন্য আমার বুক থেকে এক ছেলে চলে গেছে। এর পরও মা হয়ে শহরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আপনাদের হাতে আমার আরেক ছেলেকে তুলে দিলাম। আপনারা আমার ছেলেকে নিজের সন্তানের মতো দেখে রাখবেন। মা হয়ে কথা দিলাম, কামরুজ্জামান লোকমান হোসেনের মতো আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে পাশে থাকবে।' এ সময় সভায় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকমান হোসেনের ছোট ভাই মেয়র পদপ্রার্থী কামরুজ্জামান, নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আফছার উদ্দিন মাস্টার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু, নরসিংদী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জহিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ, পৌরসভার সব কাউন্সিলরসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। গত ১ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
No comments