শিরোপার লড়াইয়ে মেসি-নেইমার
২২ জুন আর্জেন্টাইন ক্লাব পেনারোলকে ২-১ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্তোস কোপা লিবারতাদোরেসের শিরোপা জয়ের পর থেকেই ক্ষণ গণনা শুরু। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মেসি-নেইমার সম্ভাব্য ফাইনালের অপেক্ষায়। শঙ্কা ছিল, স্যান্তোসের তারকা ফুটবলার নেইমারের ওপর যেভাবে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর শকুনের দৃষ্টি পড়েছে, তাতে না আবার তিনি বিক্রি হয়ে যান! কিন্তু না, বড় বড় প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি নেইমার কিংবা তার ক্লাব স্যান্তোসও।
অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত ক্ষণটি উপস্থিত। মেসি-নেইমার দ্বৈরথ দেখার জন্য ফুটবল ভক্তদের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে আজ। জাপানের ইয়োকোহামা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসি এবং বিশ্বসেরা হওয়ার পথে উঠতি তারকা নেইমার। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে খেলাটি।
সেমিফাইনালে মেসির চাইতে উজ্জ্বল ছিলেন নেইমারই। রেসলের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি গোল করেছেন তিনি। আল সাদের বিপক্ষে একটি গোল করালেও পুরো ম্যাচে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি মেসি। ফাইনালের টিকিট পেতে অবশ্য দু'দলকেই মোকাবেলা করতে হয়েছে এশিয়ান দুটি ক্লাবের। এশিয়ার সেরা কাতারের আল সাদকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা। স্বাগতিক জাপানের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব কাসিওয়া রেসলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্যান্তোস। সেমিফাইনালের মামুলি বাধা শেষে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিণত হয়েছে শেষ পর্যন্ত মেসি-নেইমারের দ্বৈরথে। ম্যাচটাকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই বললেও ভুল হবে না। বার্সেলোনা-স্যান্তোস যে এখানে মুখ্য নয়! আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি আর ব্রাজিলের নেইমার ডা সিলভার এ লড়াইয়ে আপনি চিরন্তন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার রঙও মেখে নিতে পারেন। তবে সব চাপিয়ে এটা দু'ক্লাবের খেলা। যেখানে খেলবেন বিভিন্ন দেশের ফুটবলার। স্যান্তোসের সব ব্রাজিলিয়ান হলেও বার্সেলোনা ক্লাবটি বহুজাতিক। আলভেস, আদ্রিয়ানোর মতো ব্রাজিলিয়ান তারকাও আছেন এই দলে।
স্যান্তোসের চাইতে বার্সেলোনাই এগিয়ে। তবে উঠতি তারকা নেইমার থাকার কারণে স্যান্তোসকে পিছিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই বার্সার। এ কারণে নিজেদের ফেভারিট ভাবতে মোটেও রাজি নন বার্সা কোচ গার্দিওলা। একটাই কারণ, নেইমার। সরাসরিই জানিয়ে দিলেন তিনি, 'নেইমারের মতো তারকার কারণে স্যান্তোসকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এ ছাড়া দলটি কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে বেশি। এ সময় খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন নেইমার।' শুধু নেইমারই নয়, শারীরিক দিক থেকে বার্সা ফুটবলারদের চাইতে স্যান্তোসের ফুটবলাররা অনেক দীর্ঘ এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন। এ কারণে গার্দিওলা স্যান্তোসের কাউন্টার অ্যাটাককে বেশি ভয় পাচ্ছেন। খেলার প্রাথমিক একটা পরিকল্পনাও কাল দাঁড় করিয়ে দিলেন গার্দিওলা, 'ট্যাকটিসের চাইতেও আমরা বল দখলের দিকে মনোযোগ দেব বেশি। যাতে খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে বেশি।' কাতালান অধিনায়ক কার্লোস পুওলের মতো কোচ গার্দিওলাও শুধু নেইমারকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'সবাই শুধু নেইমারের কথা বলছে। আমি মনে করি, তাদের দলে আরও বেশকিছু ভালোমানের উঠতি ফুটবলার রয়েছে। যারা আমাদের বিপদে ফেলতে দারুণভাবে সক্ষম।' মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রিগাসও শুধু নেইমারকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে রাজি নন। 'আমরা খেলব পুরো একটি দলের বিপক্ষে, শুধু নেইমারের বিপক্ষে নয়। তিনি বিশ্বমানের একজন ফুটবলার। বিশ্বের যে কোনো ক্লাবেই খেলার যোগ্যতা রাখেন। বার্সেলোনায়ও আমরা তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে আগামীকাল (আজ) তিনি আমাদের প্রতিপক্ষ।' স্যান্তোস কোচ মারিসি রামালহো বার্সেলোনাকে সমীহ করেই বলছেন, 'আমি জানি বার্সেলোনার বল দখলের হার আমি ঠেকাতে পারব না। এ সময় কোনো ক্লাবই সেটা পারবে না। আমরা শুধু কঠিনভাবে মার্ক করব, চাপ সৃষ্টি করব এবং সুযোগমতো খেলার চেষ্টা করব। গানসো কিংবা এলানোর থ্রো বল থেকে নেইমারই হয়তো কিছু একটা করে দেখাতে পারেন। আমার বিশ্বাস, বার্সার জন্য কেউ যদি হুমকি তৈরি করতে পারেন, তিনি নেইমার।'
সেমিফাইনালে মেসির চাইতে উজ্জ্বল ছিলেন নেইমারই। রেসলের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি গোল করেছেন তিনি। আল সাদের বিপক্ষে একটি গোল করালেও পুরো ম্যাচে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি মেসি। ফাইনালের টিকিট পেতে অবশ্য দু'দলকেই মোকাবেলা করতে হয়েছে এশিয়ান দুটি ক্লাবের। এশিয়ার সেরা কাতারের আল সাদকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সা। স্বাগতিক জাপানের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব কাসিওয়া রেসলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্যান্তোস। সেমিফাইনালের মামুলি বাধা শেষে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিণত হয়েছে শেষ পর্যন্ত মেসি-নেইমারের দ্বৈরথে। ম্যাচটাকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই বললেও ভুল হবে না। বার্সেলোনা-স্যান্তোস যে এখানে মুখ্য নয়! আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি আর ব্রাজিলের নেইমার ডা সিলভার এ লড়াইয়ে আপনি চিরন্তন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার রঙও মেখে নিতে পারেন। তবে সব চাপিয়ে এটা দু'ক্লাবের খেলা। যেখানে খেলবেন বিভিন্ন দেশের ফুটবলার। স্যান্তোসের সব ব্রাজিলিয়ান হলেও বার্সেলোনা ক্লাবটি বহুজাতিক। আলভেস, আদ্রিয়ানোর মতো ব্রাজিলিয়ান তারকাও আছেন এই দলে।
স্যান্তোসের চাইতে বার্সেলোনাই এগিয়ে। তবে উঠতি তারকা নেইমার থাকার কারণে স্যান্তোসকে পিছিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই বার্সার। এ কারণে নিজেদের ফেভারিট ভাবতে মোটেও রাজি নন বার্সা কোচ গার্দিওলা। একটাই কারণ, নেইমার। সরাসরিই জানিয়ে দিলেন তিনি, 'নেইমারের মতো তারকার কারণে স্যান্তোসকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এ ছাড়া দলটি কাউন্টার অ্যাটাকে খেলে বেশি। এ সময় খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন নেইমার।' শুধু নেইমারই নয়, শারীরিক দিক থেকে বার্সা ফুটবলারদের চাইতে স্যান্তোসের ফুটবলাররা অনেক দীর্ঘ এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন। এ কারণে গার্দিওলা স্যান্তোসের কাউন্টার অ্যাটাককে বেশি ভয় পাচ্ছেন। খেলার প্রাথমিক একটা পরিকল্পনাও কাল দাঁড় করিয়ে দিলেন গার্দিওলা, 'ট্যাকটিসের চাইতেও আমরা বল দখলের দিকে মনোযোগ দেব বেশি। যাতে খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে বেশি।' কাতালান অধিনায়ক কার্লোস পুওলের মতো কোচ গার্দিওলাও শুধু নেইমারকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে রাজি নন। তিনি বলেন, 'সবাই শুধু নেইমারের কথা বলছে। আমি মনে করি, তাদের দলে আরও বেশকিছু ভালোমানের উঠতি ফুটবলার রয়েছে। যারা আমাদের বিপদে ফেলতে দারুণভাবে সক্ষম।' মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রিগাসও শুধু নেইমারকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে রাজি নন। 'আমরা খেলব পুরো একটি দলের বিপক্ষে, শুধু নেইমারের বিপক্ষে নয়। তিনি বিশ্বমানের একজন ফুটবলার। বিশ্বের যে কোনো ক্লাবেই খেলার যোগ্যতা রাখেন। বার্সেলোনায়ও আমরা তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে আগামীকাল (আজ) তিনি আমাদের প্রতিপক্ষ।' স্যান্তোস কোচ মারিসি রামালহো বার্সেলোনাকে সমীহ করেই বলছেন, 'আমি জানি বার্সেলোনার বল দখলের হার আমি ঠেকাতে পারব না। এ সময় কোনো ক্লাবই সেটা পারবে না। আমরা শুধু কঠিনভাবে মার্ক করব, চাপ সৃষ্টি করব এবং সুযোগমতো খেলার চেষ্টা করব। গানসো কিংবা এলানোর থ্রো বল থেকে নেইমারই হয়তো কিছু একটা করে দেখাতে পারেন। আমার বিশ্বাস, বার্সার জন্য কেউ যদি হুমকি তৈরি করতে পারেন, তিনি নেইমার।'
No comments