বাড়িঘরে লুকানো অ্যালার্জেন by মো. শহীদুল্লাহ
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ আমাদের চারপাশে পরিবেশে কিছু কিছু জিনিস আছে, যেগুলোর সংস্পর্শে এলে আমাদের হাঁচি হয়, কাশি হয়, হাঁপানি হয়, শরীর চুলকায় ইত্যাদি।
এসব জিনিসের মধ্যে আছে ধুলাবালি, ফুলের রেণু, ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস ইত্যাদি। এগুলো হচ্ছে ‘অ্যালার্জেন’। এগুলোর জন্য আমাদের অ্যালার্জি হয়। ফলে হাঁচি-কাশি হয়, হাঁপানি হয়, শরীর চুলকায়। আমাদের বাড়িঘরে এরূপ অনেক অ্যালার্জেন লুকিয়ে থাকে। এগুলোর লুকিয়ে থাকার জায়গাগুলো শনাক্ত করে আমরা যেসব পরিষ্কার রেখে হাঁচি, কাশি ও হাঁপানি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
বাড়িঘরের যেসব স্থানে অ্যালার্জেন লুকিয়ে থাকতে পারে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
বিছানাপত্র: বিছানার চাদর, বালিশের কভার, বালিশ, লেপ, তোশক, মেট্রেস, কাঁথা ও কম্বল—এসবে থাকে ধুলাবালি ও ঘরোয়া জীবাণু ডাস্ট মাইট। ডাস্ট মাইটগুলো মাকড়সাজাতীয় ক্ষুদ্র কীট। লম্বায় এক মিলিমিটারের তিন ভাগের এক ভাগেরও কম। আমাদের শরীরের ত্বক থেকে প্রতিনিয়ত ঝরে যাওয়া অসংখ্য মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে এসব জীবাণু। এরা প্রতিনিয়ত প্রচুর বিষ্ঠা ত্যাগ করে। ঘরদোর, বিছানা ইত্যাদি যখন ঝাঁট দেওয়া হয়, তখন এই বিষ্ঠাগুলো বাতাসে ভেসে ওঠে এবং সারা বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। এই বিষ্ঠাই আমাদের অনেকের অ্যালার্জির কারণ।
টিপস: বিছানার ধুলাবালি আর ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার, লেপের কভার ধুয়ে দিতে হবে। লেপ, কাঁথা, কম্বল রোদে দিতে হবে। তোশক, মেট্রেসও রোদে দেওয়া উচিত। রোদের আলট্রাভায়োলেট রশ্মিতে হাউস ডাস্ট মাইট মারা যায়।
আসবাবপত্র: চেয়ার, টেবিল, সোফা, খাট, আলমারি, ওয়্যারড্রোব ইত্যাদির ওপরে ও ফাঁকে ফাঁকে ধুলাবালি ও ডাস্ট মাইট থাকে।
টিপস: এগুলো প্রতিদিনই ঝাড়া-মোছা করতে হবে।
বইপুস্তক: টেবিলে, বইয়ের তাকে বা আলমারিতে রাখা বই দীর্ঘদিন নাড়াচাড়া না করলে এগুলোতে ধুলা জমে, ডাস্ট মাইট বাসা বাঁধে। আর্দ্র জায়গা হলে ছত্রাকও জন্মায়। ছত্রাকও অ্যালার্জেন।
টিপস: বই যত্ন করে শুধু তুলে না রেখে নিয়মিত নাড়াচাড়া করতে হবে, পড়তে হবে। তাহলে পরিষ্কার থাকবে। ধুলা জমবে না, ডাস্ট মাইট ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না।
কার্পেট, ম্যাট: ঘরের মেঝেতে বিছানো কার্পেট ও ম্যাট প্রচুর ধুলা ও ডাস্ট মাইট জমা হওয়ার উৎকৃষ্ট স্থান।
টিপস: নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মেঝেতে কার্পেট বা ম্যাট বিছানো না থাকলে প্রতিদিনই ঘর ঝাঁট দিয়ে ঘরের মেঝে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।
দরজা, জানালা, দরজা-জানালার পর্দা: দরজা-জানালায় জমে থাকে ধুলাবালি, মাকড়সার জাল, ডাস্ট মাইট দরজা-জানালার পর্দায়ও এসব অ্যালার্জেন জমে বেশ।
টিপস: নিয়মিত ঝেড়ে-মুছে দরজা-জানালা পরিষ্কার রাখতে হবে। দরজা-জানালার পর্দা ঘন ঘন ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
রান্নাঘর: আর্দ্র রান্নাঘরে বাসা বাঁধতে পারে ছত্রাক। রান্নাঘরের ধোঁয়া, তা-ও অ্যালার্জেন।
টিপস: কাজ শেষে রান্নাঘর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে শুকনো রাখতে হবে। সব সময় যেন কল থেকে পানি পড়তে না থাকে। রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া বাইরে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
গোসলখানা: গোসলখানা যদি সব সময় আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে থাকে, তাহলে সেখানেও রান্নাঘরের মতো ছত্রাক জন্মাতে পারে।
টিপস: গোসলখানা শুকনো রাখতে হবে। কল বা গোসলের ঝরনা থেকে সব সময় যেন পানি পড়তে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিশুর খেলনা: শিশুর নরম খেলনা, যেগুলোর ওপরে কাপড়ের আবরণ বা প্রাণীর লোমের মতো থাকে, সেগুলোতে ধুলা ও ডাস্ট মাইট জমে থাকে।
টিপস: ধোয়া যায়, এমন খেলনাগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। অন্যগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে দিতে হবে।
পোষা প্রাণী: পোষা প্রাণীর লালা, প্রস্রাব, বিষ্ঠা ও ঝরে যাওয়া ত্বকের মৃত কোষ—এ সবই অ্যালার্জেন। প্রাণীর লোমের ফাঁকে ফাঁকে ধুলাবালিও থাকতে পারে।
টিপস: ঘরদোর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। হাত দিয়ে প্রাণী ছোঁয়ার পর ভালো করে সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
ফুলের গাছের টব: ঘরে রাখা টবে মাটি থাকে, সার হিসেবে একটু গোবর বা প্রাণীর বিষ্ঠা থাকে। টবে নিয়মিত পানি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তাতে ছত্রাক জন্মানোর একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হয়।
টিপস: টব ও গাছ পরিষ্কার রাখতে হবে। তাতে পানি দিতে হবে পরিমিত, বেশি নয়।
বাড়িঘরের যেসব স্থানে অ্যালার্জেন লুকিয়ে থাকতে পারে, সেগুলোর মধ্যে আছে—
বিছানাপত্র: বিছানার চাদর, বালিশের কভার, বালিশ, লেপ, তোশক, মেট্রেস, কাঁথা ও কম্বল—এসবে থাকে ধুলাবালি ও ঘরোয়া জীবাণু ডাস্ট মাইট। ডাস্ট মাইটগুলো মাকড়সাজাতীয় ক্ষুদ্র কীট। লম্বায় এক মিলিমিটারের তিন ভাগের এক ভাগেরও কম। আমাদের শরীরের ত্বক থেকে প্রতিনিয়ত ঝরে যাওয়া অসংখ্য মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে এসব জীবাণু। এরা প্রতিনিয়ত প্রচুর বিষ্ঠা ত্যাগ করে। ঘরদোর, বিছানা ইত্যাদি যখন ঝাঁট দেওয়া হয়, তখন এই বিষ্ঠাগুলো বাতাসে ভেসে ওঠে এবং সারা বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। এই বিষ্ঠাই আমাদের অনেকের অ্যালার্জির কারণ।
টিপস: বিছানার ধুলাবালি আর ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার, লেপের কভার ধুয়ে দিতে হবে। লেপ, কাঁথা, কম্বল রোদে দিতে হবে। তোশক, মেট্রেসও রোদে দেওয়া উচিত। রোদের আলট্রাভায়োলেট রশ্মিতে হাউস ডাস্ট মাইট মারা যায়।
আসবাবপত্র: চেয়ার, টেবিল, সোফা, খাট, আলমারি, ওয়্যারড্রোব ইত্যাদির ওপরে ও ফাঁকে ফাঁকে ধুলাবালি ও ডাস্ট মাইট থাকে।
টিপস: এগুলো প্রতিদিনই ঝাড়া-মোছা করতে হবে।
বইপুস্তক: টেবিলে, বইয়ের তাকে বা আলমারিতে রাখা বই দীর্ঘদিন নাড়াচাড়া না করলে এগুলোতে ধুলা জমে, ডাস্ট মাইট বাসা বাঁধে। আর্দ্র জায়গা হলে ছত্রাকও জন্মায়। ছত্রাকও অ্যালার্জেন।
টিপস: বই যত্ন করে শুধু তুলে না রেখে নিয়মিত নাড়াচাড়া করতে হবে, পড়তে হবে। তাহলে পরিষ্কার থাকবে। ধুলা জমবে না, ডাস্ট মাইট ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না।
কার্পেট, ম্যাট: ঘরের মেঝেতে বিছানো কার্পেট ও ম্যাট প্রচুর ধুলা ও ডাস্ট মাইট জমা হওয়ার উৎকৃষ্ট স্থান।
টিপস: নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মেঝেতে কার্পেট বা ম্যাট বিছানো না থাকলে প্রতিদিনই ঘর ঝাঁট দিয়ে ঘরের মেঝে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।
দরজা, জানালা, দরজা-জানালার পর্দা: দরজা-জানালায় জমে থাকে ধুলাবালি, মাকড়সার জাল, ডাস্ট মাইট দরজা-জানালার পর্দায়ও এসব অ্যালার্জেন জমে বেশ।
টিপস: নিয়মিত ঝেড়ে-মুছে দরজা-জানালা পরিষ্কার রাখতে হবে। দরজা-জানালার পর্দা ঘন ঘন ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
রান্নাঘর: আর্দ্র রান্নাঘরে বাসা বাঁধতে পারে ছত্রাক। রান্নাঘরের ধোঁয়া, তা-ও অ্যালার্জেন।
টিপস: কাজ শেষে রান্নাঘর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে শুকনো রাখতে হবে। সব সময় যেন কল থেকে পানি পড়তে না থাকে। রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া বাইরে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
গোসলখানা: গোসলখানা যদি সব সময় আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে থাকে, তাহলে সেখানেও রান্নাঘরের মতো ছত্রাক জন্মাতে পারে।
টিপস: গোসলখানা শুকনো রাখতে হবে। কল বা গোসলের ঝরনা থেকে সব সময় যেন পানি পড়তে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিশুর খেলনা: শিশুর নরম খেলনা, যেগুলোর ওপরে কাপড়ের আবরণ বা প্রাণীর লোমের মতো থাকে, সেগুলোতে ধুলা ও ডাস্ট মাইট জমে থাকে।
টিপস: ধোয়া যায়, এমন খেলনাগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। অন্যগুলো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে দিতে হবে।
পোষা প্রাণী: পোষা প্রাণীর লালা, প্রস্রাব, বিষ্ঠা ও ঝরে যাওয়া ত্বকের মৃত কোষ—এ সবই অ্যালার্জেন। প্রাণীর লোমের ফাঁকে ফাঁকে ধুলাবালিও থাকতে পারে।
টিপস: ঘরদোর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। হাত দিয়ে প্রাণী ছোঁয়ার পর ভালো করে সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
ফুলের গাছের টব: ঘরে রাখা টবে মাটি থাকে, সার হিসেবে একটু গোবর বা প্রাণীর বিষ্ঠা থাকে। টবে নিয়মিত পানি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তাতে ছত্রাক জন্মানোর একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হয়।
টিপস: টব ও গাছ পরিষ্কার রাখতে হবে। তাতে পানি দিতে হবে পরিমিত, বেশি নয়।
No comments