কক্সবাজারে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস! ফটোকপি বিক্রি হাজার হাজার টাকায়
এসএসসি পরীার ২ দিন আগে পরীাথর্ীর হাতে পৌঁছে গেছে প্রশ্নপত্র। সংঘবদ্ধ একটি চক্র নগদমূল্যে এসএসসি পরীার প্রশ্ন হিসেবে নিশ্চয়তা দিয়ে এসব প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রম্নয়ারি) কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। প্রশ্নসমূহ এসএসসি পরীার প্রশ্ন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও পরীাথর্ীরা প্রস্তুতির পরিবর্তে প্রশ্ন সংগ্রহে ব্যসত্ম হয়ে উঠেছে। ফটোকপি বিক্রেতাদের দাবি, এসএসসি পরীার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে এবং ওই প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি করা হচ্ছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রম্নয়ারি) থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরম্ন হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীা। কিন্তু ২ দিন আগে কক্সবাজারের শিার্থীর হাতে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র পৌঁছে গেছে। প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় প্রশ্নপত্র নিয়ে অবস্থান করছে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এসব সদস্য নগদ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরীাথর্ীদের ইংরেজী, গণিতসহ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন সংগ্রহের খবর পাওয়া গেছে। বিক্রেতারা প্রতিটি বিষয়ের ক, খ ও গ সেটের তিনটি করে প্রশ্নপত্র দিচ্ছে। প্রতি বিষয়ের ৩ সেট প্রশ্নপত্রের ফটোকপির মূল্য নিচ্ছে ৫শ' থেকে ৫ হাজার টাকা করে। ফলে অনেক শিাথর্ী এক সাথে জোট বেঁধে প্রশ্ন ক্রয় করে যাচ্ছে। বিক্রেতারা পরীাথর্ীদের নিশ্চয়তা দিচ্ছে এসএসসি পরীার প্রশ্নের সাথে মিল না থাকলে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেবে। প্রশ্নপত্র ক্রয়ের জন্য অনেক শিাথর্ী অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকরাও বেকায়দায় পড়েছে। এক শিাথর্ীর অভিভাবক জানিয়েছে, এসএসসি পরীার প্রশ্ন কিনা নিশ্চিত না হলে সনত্মানের দাবির কারণে প্রশ্নপত্র ক্রয় করতে হচ্ছে।আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিা বোর্ডের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকতর্া-কর্মচারীর নেতৃত্বে একটি চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গোপনে বিক্রি শুরম্ন করেছে। না হয় প্রতারকচক্র প্রশ্নপত্র বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশলে এ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক গিয়াসউদ্দিন আহমেদকে এ ব্যাপারে অভিহিত করলে তিনি জানান, বিষয়টি অত্যনত্ম স্পর্শকাতর। এ ব্যাপারে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপকে অবহিত করা হবে।
No comments