নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত এমপির সদস্যপদ বাতিলের আবেদন- শুনানি করবেন না ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
ভারতে কোনো এমপি বা এমএলএ নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করার আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালত ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত বিচার এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব আইন বাস্তবায়ন করার পক্ষে বলে মত দিয়েছেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পর এই আদালতে দুটি জনস্বার্থ-সংক্রান্ত মামলার শুনানির আবেদন জমা পড়ে। গতকাল শুক্রবার বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণ ও বিচারপতি দীপক মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ আবেদনের শুনানি করতে অস্বীকার করেন।
বেঞ্চ জানান, আদালত নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সরকারের প্রতি নোটিশ দিতে পারেন। কিন্তু এই দুটি আবেদনে যা বলা হয়েছে, তা বিচার বিভাগের এখতিয়ার-বহির্ভূত।
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা প্রমীলা শঙ্কর ও সমাজকর্মী অমিকা দুবে এই আবেদন দুটি করেন।
বিচারকেরা বলেন, ‘এমপি বা এমএলএর সদস্যপদ বাতিল করার বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে।’ আবেদনকারীদের উদ্দেশে বিচারকেরা বলেন, কোনো মামলার তদন্ত সঠিক হয়নি মনে হলে, একে তদন্তকারী কর্মকর্তার ‘অসদাচরণ’ বলে ধরে নিতে হবে। আদালত এই বিষয়টি বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটিকে অবহিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কমিটি ভারতে বিদ্যমান ধর্ষণবিরোধী ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইন পর্যালোচনা করে দেখছে।
ফৌজদারি অপরাধে জড়িত রাজনীতিকদের সদস্যপদ বাতিল-সংক্রান্ত অপর একটি আবেদনের শুনানিতে এই আদালত বলেন, তাঁদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।
বিচারকেরা জানান, ভারতে মোট চার হাজার ৮৩৫ জন এমপি ও এমএলএর মধ্যে এক হাজার ৪৪৮ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
‘ভারতে নয়, ইন্ডিয়ায় ধর্ষণ হচ্ছে’
কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবৎ গত মঙ্গলবার বলেছেন, বিভিন্ন শহরে পশ্চিমা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অনুকরণের কারণে গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। তিনি দাবি করেন, শহরের এমন ঘটনা ঘটলেও পল্লি এলাকায় ঘটে না। ভগবৎ বলেন, ‘ভারতে নয়, ইন্ডিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।’ দ্য হিন্দু, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বেঞ্চ জানান, আদালত নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সরকারের প্রতি নোটিশ দিতে পারেন। কিন্তু এই দুটি আবেদনে যা বলা হয়েছে, তা বিচার বিভাগের এখতিয়ার-বহির্ভূত।
অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা প্রমীলা শঙ্কর ও সমাজকর্মী অমিকা দুবে এই আবেদন দুটি করেন।
বিচারকেরা বলেন, ‘এমপি বা এমএলএর সদস্যপদ বাতিল করার বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে।’ আবেদনকারীদের উদ্দেশে বিচারকেরা বলেন, কোনো মামলার তদন্ত সঠিক হয়নি মনে হলে, একে তদন্তকারী কর্মকর্তার ‘অসদাচরণ’ বলে ধরে নিতে হবে। আদালত এই বিষয়টি বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটিকে অবহিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওই কমিটি ভারতে বিদ্যমান ধর্ষণবিরোধী ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইন পর্যালোচনা করে দেখছে।
ফৌজদারি অপরাধে জড়িত রাজনীতিকদের সদস্যপদ বাতিল-সংক্রান্ত অপর একটি আবেদনের শুনানিতে এই আদালত বলেন, তাঁদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।
বিচারকেরা জানান, ভারতে মোট চার হাজার ৮৩৫ জন এমপি ও এমএলএর মধ্যে এক হাজার ৪৪৮ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
‘ভারতে নয়, ইন্ডিয়ায় ধর্ষণ হচ্ছে’
কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবৎ গত মঙ্গলবার বলেছেন, বিভিন্ন শহরে পশ্চিমা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ অনুকরণের কারণে গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। তিনি দাবি করেন, শহরের এমন ঘটনা ঘটলেও পল্লি এলাকায় ঘটে না। ভগবৎ বলেন, ‘ভারতে নয়, ইন্ডিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।’ দ্য হিন্দু, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments